পবিত্র রমজানে শিশু-কিশোরদেরকে মসজিদমুখী করুন।

লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ২০ জুন, ২০১৪, ০৬:২৮:৩৯ সন্ধ্যা



বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমর, বরকত ও মাগফেরাতকে সাথে আবার আসছে মাহে রমজান। মাত্র হাতে গুনা কয়েকটা দিন বাকি। পবিত্র এ মাসকে স্বাগত জানাতে কি আমরা প্রস্তুত? রাসুল পাক সাঃ পবিত্র রামজানের আগমনের দুই মাস আগে থেকে এ মাসের প্রস্তুতি নিতেন এবং সাহাবীদেরকেও এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন। হাদিস শরীফে আছে রাসুল আকরাম সঃ রজব মাস শুরু হওয়ার পর এ দোয়াটি সবসময় পড়তেন اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِى رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَان '('আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শা'বান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।)''

অর্থাৎ ''হে আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামিন তুমি রজব ও শা'বান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করে দাও এবং আমাদেরকে রামাজান মাসে উপনীত কর।''

রামজানের রোজাকে আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের উপর ফরজ করেছেন এবং তিনি এও বলেছেন যে এটা শুধু উম্মতে মুহাম্মাদির উপর না বরং এর আগে আগত অন্যান্য নবীদের আঃ উম্মতদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। আল্লাহ তায়া'লা সুরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন,

''হে ইমানদারগন! তোমাদের উপর রমজান মাসের রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, আশা করা যায় যে, তোমরা পরহেজগারির পথ অবলম্বন করতে পারবে।''

রমজানের রোজার পুরস্কার একমাত্র আল্লাহই দিবেন, তিনি হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ করেন,

''নিশ্চয়ই রোজা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দিবো।''

সুতরাং মহান আল্লাহ নিজেই যেহেতু পুরস্কার দিবেন সেহেতু তা যেমন তেমন পুরস্কার হতে পারেনা। তাই পবিত্র রমজানে আপনাদের ছোট শিশু অথবা ছোট ভাইদেরকে মসজিদমুখী করুন, তারা যেন পবিত্র রমজানে ইবাদাত বন্দেগী শুরু করার মাধ্যমে পরবর্তী মাস গুলোতেও এর প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করুন। আমাদের জেনে রাখতে হবে যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম যদি কোরআন-হাদিস ও ইসলামী শিক্ষা থেকে দূরে সরে যায় তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছ থেকে গঠনমূলক কিছু আশা করতে পারবোনা। তাদেরকে মসজিদের দিকে উৎসাহিত করুন। কোরআন শিক্ষা কোর্সে ভর্তি করিয়ে দিন। মসজিদের বারান্দায় তাদের খেলার ব্যবস্থা করুন। তারা হয়ত শোরগোল করতে পারে। শোরগোল করলে তাদেরকে ধমক দিবেননা। ধমক দিয়ে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দিবেননা, মারধর করবেন না। এরকম করলে তারা মসজিদে আসার আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলবে। মসজিদকে একটা ভীতিময় স্থান হিসেবে গণ্য করবে। এর রকম ঘটনা অতীতে ঘটেছে যার সাক্ষী আমি নিজেই, চট্টগ্রামের বাশখালি থানার পুইছড়ী গ্রামের বড় মসজিদের রমজান মাসে তারাবীর নামাজের সময় পিছনে ছোট ছেলেরা দুষ্টুমি করত। এক লোক ছিল যে একটা ঝাড়ু নিয়ে ঐ ছেলেদেরকে পিঠিয়েছিল, এ ঘটনার কয়েকদিন পর থেকে আর কোন শিশুই মসজিদে আসেনি। এসব কাজ মোটেই ঠিক নয়। আপনার বুঝা উচিৎ তারা এখনও শিশু, বুঝেনা তাই দুষ্টামি করে। আপনি শিশুকালে বুঝি দুষ্টামি করেননি! তাই তাদেরকে তাদের মত থাকতে দিন, মসজিদের প্রতি উৎসাহী করুন, কোরআন-হাদিস শিক্ষার প্রতি উৎসাহী করুন। আর সে উদ্যোগ আপনাকেই নিতে হবে এবংএখন থেকেই...

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুষ্ঠুমত রমজানের রোজা রাখার তাওফিক দান করুক এবং আমাদের রোজাসমুহ কবুল করুক, আমিন।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

236863
২০ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
২০ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
183388
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। Good Luck
236903
২০ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
নোমান২৯ লিখেছেন : সুন্দর ভাবনা ।মসজিদে আসা শিশুদের প্রতি ব্যবহারে আমাদের যথেষ্ট ভুল আছে । এই ভুল শুধ্রে নেয়া দরকার।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টির জন্য।
২১ জুন ২০১৪ রাত ০৩:২৭
183600
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File