ইস্তাম্বুলে মুসলিম স্কলার্স ও যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত

লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ০৪ জুন, ২০১৪, ১২:৩৭:০৬ রাত

২৩ম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অফ দ্যা ইউনিয়ন অফ মুসলিম কমিউনিটিস সম্মেলন এবং ৮ম মুসলিম যুব সম্মেলন সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে শেষ হয়েছে।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক রিসার্চ সেন্টার (ঊংধস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরাম (ওণঋঙ) কতৃক আয়োজিত ২৩ম ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অফ দ্যা ইউনিয়ন অফ মুসলিম কমিউনিটিস এবং , “বৈশ্বিক হুমকি এবং ইসলামি বিশ্বের করণীয় “শীর্ষক সম্মেলন গতকাল শেষ হয়েছে। এসামের সম্মেলন গত ২৯-৩০ এবং ওণঋঙ’র সম্মেলন ৩১ মে এবং ১ জুন সংগঠিত হয়। এসামের প্রেসিডেন্ট রেজাই কুঁতান দুই সম্মেলনেই সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের প্রায় ১৫০-এর অধিক ইসলামিক স্কলার, রাজনীতিবিদ, ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ইসলামী বিশ্বের সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

আলোচনায় তুরস্কের ইসলামিক দল সাদাত পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুস্তাফা কামালআক বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায় মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নিজেদের মধ্যে শত্রুতাভাব থাকার কারণে ইসলাম বিদ্বেষী রাষ্ট্রগুলো মুসলিম দেশ সমূহকে নিয়ন্ত্রণ করার সাহস পেয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর, বাংলাদেশ, আরাকান, নাইজেরিয়া ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং আরো অনেক দেশে নিরীহ মুসলমানরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে এই গণহত্যা প্রতিরোধে মুসলমান নেতাদেরকে সক্রিয় ভুমিকা রাখার আহবান জানান।

মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান হাজি আব্দুল হাদি বিন আওাং বলেন, “মুসলমানরা পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হল শিক্ষা, বিশেষ করে মুসলমান দেশসমূহকে আধুনিক এবং ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে নিজেদের গঠন করতে হবে। “উল্লেখ্য, সম্মেলনের শেষে হঠাৎ করে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সম্মেলনে তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী এমরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর, বাংলাদেশ, আরাকান, নাইজেরিয়া, ফিলিফাইনসহ বিশ্ব ইসলামিক স্কলাররা।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় সকল দেশের প্রতিনিধিরা মুসলমানদের মানবাধিকার রক্ষা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মুসলিম সরকার সমূহের প্রতি আহ্বান জানান। সম্মেলন শেষে তুরুস্কের ইসলামি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মরহুম নাজিম উদ্দিন আরবাকানের জন্য দোয়া করা হয়। এসামের সম্মেলন শেষে প্রতিবছরের মত এবারও ওণঋঙ’র সম্মেলন অনুস্থিত হয়। এ সম্মেলনে মুসলিম দেশসমুহের যুবক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাংলাদেশ, জম্মুকাশ্মির, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, সুদান, কুয়েত, মিশর, কাতারসহ সব মুসলিম দেশের ছাত্র সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। মুহসিনুল কবির সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলেন, “মুসলমানদের সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিকল্প নেই।”

দুই সম্মেলনের মাঝামাঝি সময়ে ৩১মে ইস্তাম্বুলের ৫৬১তম বিজয় উদযাপন করা হয় কোযায়েলি শহরের ইস্মত পাশা স্টেডিয়ামে। অনুষ্ঠান শেষে মুনাজাত করেন কা’বা শরিফের ইমাম শায়খ আব্দুল্লাহ বাস্ফার।

বিষয়: বিবিধ

১০৪২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

230283
০৪ জুন ২০১৪ রাত ০১:২২
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো
০৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
178155
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
230296
০৪ জুন ২০১৪ রাত ০২:৩২
গেরিলা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
০৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
178156
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ Good Luck
230318
০৪ জুন ২০১৪ সকাল ০৬:২৬
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : উত্তম উদ্যোগ ।
০৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
178157
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : Good Luck
230343
০৪ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
egypt12 লিখেছেন : ভালো উদ্যোগ Happy
০৬ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:০৯
178158
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File