ইস্তানবুল বিজয়ের ৫৬১ বছর...
লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ০৩ জুন, ২০১৪, ০৩:৪৩:৫৬ রাত
আয়া সুফিয়া আজ থেকে ঠিক ৫৬১ বছর দুই দিন আগে ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর নামাজের জন্য খুলে দেয়া হয় বিজেতা সুলতান ফাতিহ মেহমেদের আদেশে। সেই আয়া সুফিয়া কামাল
আতাতুরকের আমলে মিউজিয়ামে রুপান্তরিত করা হয়। এখনো তুরস্কের মানুষের মনে হাহাকার করছে কবে আবার আয়া সুফিয়ার মিনার থেকে আজানের সুমধুর সুর ভেসে আসবে কবে আবার আল্লাহু আকবার মুখরিত হবে আয়া সুফিয়া। কবে আবার আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পদচারণায় মুখরিত হবে আয়া সুফিয়া। সেই উদ্দেশ্যে আনাতুলিয়ান যুব সংগঠন ১ কোটি সাক্ষর সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দেন এবং অবিলম্বে মসজিদ হিসেবে খুলে দেয়ার দাবি জানান। এবং গত ৩১ মে আয়া সুফিয়ার সামনের মাঠে কাবা
শরিফের ইমাম শায়খ আব্দুল্লাহ বাসফারের ইমামতিতে ফজরের নামাজ আদায় করে আরও একবার জোরালো দাবি জানানো হয় মসজিদ হিসেবে খুলে দেয়ার।
উল্লেখ্য যে, আয়া সুফিয়া হল ইস্তানবুল বিজয়ের নিদশন হিসেবে গির্জা থেকে মসজিদে রুপান্তরিত করা হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ তুরুস্কের মুসলিমদের বোঝার শক্তি দিন - যে এটা অন্যায়। বাইজাইনটাইন খৃষ্টান যাদের ধর্মীয় প্রধান ঘর আয়া সুফিয়া - তাকে মসজিদ বানানোতে কোন সৎ চিন্তা কিংবা ভাল কোন ফলাফল কিংবা আল্লাহকে খুশী করার বিষয় হতে পারেনা, শত্রুতা হতে পারে।
আল্লাহ এ নিয়ে ইতোমধ্য অনেক ষঢ়যন্ত্র হয়েছে আজ এত বছর পর যখন আমরা প্রায় শেষ জামানায় এসে পৌছেছি - যদি এ প্রচেষ্টার মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র থাকে তবে মুসলিমদের সে ষড়যন্ত্র বোঝার ও তা হতে মুক্তি পাবার সুযোগ দিন।
তৎকালিন বাইজান্টাইন শাসক কিছু বাড়াবাড়ির প্রতিবাদ হিসেবে যুদ্ধে বিজয়ি হলে একে মসজিদ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যা তৎকালিন খৃষ্টান নেতৃবর্গ মেনে নেন।
আমার খুব উপকার হত - যদি আমাকে আপনি সংশ্লিষ্ট কোন রেফারেন্স দিতে পারতেন - যাতে এটা প্রমান করা যায় যে - এ সন্ধিটা সরাসরি কোরআন ও হাদীস কে কন্ট্রাডিক্ট করেনি।
রিসেন্টলী - আমি যে ইসলামীক আলোচনাগুলো শুনছি - তার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে তৎকালীন মুসলিম ও বাইজাইনটাইন খৃষ্টান সম্পর্কিত, তাদের সিমিলারিটস, কম্প্রোমাইজ, কনট্রাডিকশান, যুদ্ধ, অটোমান সাম্রাজ্যের কনটিনিউয়াস যুদ্ধের ধারনা, স্লেভারী, মুক্তি পন হিসাবে ইয়াং কিডস কনফিসকেশান ও ফরমাল ফোর্স সৃষ্টি ইত্যাদি।
এ আলোচনায় অন্যতম একটি দিক হল - মোহাম্মদ সঃ এর প্রফেসি - যেখানে তিনি বলেছেন - শেষ জামানায় মুসলিম দের সাথে নাছারাদের (বাইজাইনটাইন) একটা মৈত্রী হবে তথা একে অপরের এ্যালী হবে। আর মুসলিম ও বাইজাইনটাইন খৃষ্টানদের সাথে তৎকালীন আমলের মেইন কনফ্লিক্ট এ ইন্ধন জুগিয়েছে - কনভার্টেড ইহুদী (বনী ইসরাইল নয়) ও স্যেকুলার / রোমান খৃষ্টান জোট।
অন্যদিকে বাইজাইনটাইন খৃষ্টানদের মধ্যে মুসলিম বিদ্বেষের প্রধান কারনগুলোর মধ্যে অণ্যতম একটি হল আয়া সোফিয়া। আপনার সন্ধির কথা শুনে মনে হচ্ছে - বিষয়টা কি এমন হতে পারে - পরাজিত বাহিনী (বাইজাইনটাইন) জয়ী বাহিনীর অনৈসলামিক শর্ত মেনে নিয়েছিল - এবং যেহেতু তা অনৈসলামিক - আমরা মুসলিমরা তৎকালীন আমলে ইমোশনালী তার প্রতি সমর্থন জুগিয়েছিলাম এখন আবার সে ইমোশানকে উসকে দিচ্ছে কেউ?
আজ যখন প্রায় জুদায়ো-খৃষ্টান মৈত্রীর দ্বারা মুসলিম বিশ্ব এ্যানস্লেইভমেন্ট এ পড়ে আছে - এবং বাইজাইনটাইনদের সাথে মুসলিমদের এ্যালায়েন্স এর পসিবিলিটি বাড়ছে - তখন নতুন করে গুলেন মুভমেন্টকে দিয়ে এটা করানো হচ্ছে - যাতে করে কোন অবস্থাতেই বাইজাইনটাইন মুসলিম এ্যালায়েন্স না হয় বা হতে পারে, মুসলিমদের প্রতি ঘৃনা বাড়ে সাধারন বাইজাইনটাইনদের মধ্যে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন