ইস্তানবুলে প্রিয় নবীর যত সাহাবীঃ একঃ হযরত আবু জার গিফারি রাঃ।

লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ০৮ মে, ২০১৪, ০৫:৪২:২৩ সকাল



প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাঃ এর সাহচর্য লাভে ধন্য সে সব সোনার মানুষদের আলোচনা যখন পড়ি অথবা শুনি তখন নিজেকে যেন কোথায় হারিয়ে ফেলি। তাঁদের ত্যাগ আর ঈমানের গভীরতার কথা পড়ে অনুপ্রানিত হই। তাই বারবার পড়ি, বারবার। শুনেছিলাম ইস্তানবুলের বুককে ধন্য করে শুয়ে আছেন আল্লাহর হাবীবের সাঃ এর ২৯ জন সাহাবী। তাঁদের সম্পর্কে

আপনাদের সামনে তুলে না ধরা পর্যন্ত আমার অন্তরাত্মা শান্ত হবেনা। তাই শত ব্যস্থতার মাঝেও লিখতে বসে গেলাম। আচ্ছা যাই হউক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাই মূল কথায়। যেই মহাপুরুষ আজকের এই আলোচনার মধ্যমণি উনি আর কেউ নন মহানবি হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর অলৌকিক স্পর্শে যারা পরশ পাথরে রূপান্তরিত হয়েছিলেন সেসব সৌভাগ্যবান মহা পুরুষদের অন্যতম হযরত আবু জার গিফারি রাঃ। উনাকে জুনদব বা জুনাদাহ নামে ডাকা হত। জানা যায় উনি হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা সাঃ এর সাথে সাক্ষাতের আগেও যে কয়জন ব্যক্তি এক আল্লাহ্‌র একত্বাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন তাঁদের অন্যতম ছিলেন। আর যখন প্রিয় নবি সাঃ এর আগমনের খবর তাঁর কাছে পৌঁছে তখন তিনি তাঁর ভাইকে খবর যাচাই করার জন্য মক্কায় পাঠান। কিন্তু তিনি তাঁর ভাইয়ের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে না পেরে নিজেই মক্কা গমন করেন। এক বর্ণনায় পাওয়া যায় তিনি আবু বকর রাঃ এর মাধ্যমে কা’বা ঘরে হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর সাথে সাক্ষাত করেন অপর এক বর্ণনায়, আলী রাঃ অতি গোপনে তাঁকে রাসুল আকরাম সাঃ এর দরবারে নিয়ে যান। রাসুলের সাঃ দরবারে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঈমান আনেন এবং তাঁকে ঈমান আনয়নকারীদের মধ্যে পঞ্চম এবং এমনকি কোন কোন বর্ণনায় চতুর্থ হিসেবে ধরা হয়। এরপর তিনি মহানবি হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর সাথে মদিনা হিজরত করেন এবং পরিখা তথা খন্দকের যুদ্ধ পর্যন্ত তথায় অবস্থান করেন। খন্দকের যুদ্ধের পর নিজ কউমের কাছে ফিরে যান। এবং পরবর্তীতে তিনি সিরিয়ায় গমন করেন। অতঃপর উসমান রাঃ এর শাসনামলে মুয়াবিয়ার রাঃ আনীত নালিশের কারণে উসমান রাঃ তাঁকে অবসর দেন কোন কোন বর্ণনায় রাবাদা নামক স্থানে পাঠিয়ে দেন। যেখানে তিনি হিজরি ৩১/৩২ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি অনেক বড় জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। ধর্মীয় জ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁকে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর সমকক্ষ মনে করা হয়। তিনি ২৮১টি হাদিস বর্ণনা করেন যার মধ্যে বুখারি ও মুসলিম একত্রে ৩১ টি বর্ণনা করেন। (Encyclopedia of Islam)।

তিনি হলেন সেই সৌভাগ্যবান সাহাবী যার সম্পর্কে রাসুল সাঃ এরশাদ করেন, ‘আবু জর রাঃ এর চেয়ে সত্যবাদী এবং বিশ্বস্ত কাউকে ভূপৃষ্ঠ কোনদিন বহন করেনি বা আসমান কোনদিন আবৃত করেনি।’ (Hāmid, Companions, 1:131-2)

ওসমানী খেলাফাতের সময় উনার কবরকে রাবাদা থেকে সরিয়ে ইস্তানবুলে নিয়ে আসা হয়। গোল্ডেন হর্ন এর পাশে আবু জর গিফারি জা’মে মসজিদের পাশে উনাকে সমাহিত করা হয়।

Picture:1) Tomb of Hz. Abu Dharr ghifari Ra.

2) Abu Dhar Ghifari Ra. Mসque, Golden Horn, Istanbul, Turkey

বিষয়: বিবিধ

২৮৮৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

218888
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৮:১১
মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস লিখেছেন : জেনে খুব ভাল লাগলো, আরো বেশ কিছু সাহাবীর জীবনী এবং তাদের রওজার ছবি দেয়ার জন্য অনুরুধ রইলো
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:১৯
169293
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ।।
218949
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
আবু বকর সিদ্দিক লিখেছেন : ভালো লাগলো। নতুন কিছু বিষয় জানা হল।
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
169296
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই।
219004
০৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
আবদুল আলিম লিখেছেন : ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
169298
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
219437
০৯ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
এরবাকান লিখেছেন : Thank You so much Brother saami for you valuable writtings..
১৫ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
169300
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : jazakaAllahu khairan Brother.
223096
১৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
স্বপ্নচারী কিশোর লিখেছেন : সামনে এগিয়ে যান ভাই
229824
০৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:৪৬
মুহামমাদ সামি লিখেছেন : ভাই ফাইনাল পরিক্ষা চলতেছে তাই লিখার সময় পাচ্ছিলাম না। ইনশাআল্লাহ অতি শিঘ্রই শুরু করব আবার।। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File