একে পার্টি ও সমকালীন তুরস্কঃ পর্ব দুই (টার্নিয় এজ)
লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৫৪:২১ রাত
গ্রেট মিডল ইষ্ট প্রজেক্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে দাবী করে এরদোগান বলেন ‘’আমেরিকার পরিকপ্লনায় যে গ্রেট মিডল ইষ্ট প্রজেক্ট আছে, দেয়ারবাকির(তুরস্কের একটি জেলার নাম) হল এ প্রজেক্টের একটা তারকা, এটা একটা সেন্টার বা কেন্দ্রবিন্দুও হতে পারে, এটাতে আমাদের সফল হতে হবে।’’ (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ channel D Tek tek program)। বিগত ১০ বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায় মদ্যপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদসহ অন্যান্য সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইয়ুদি লবি এবং আমেরিকার পরিকল্পনার আদলে গড়ে উঠা সংগঠনগুলি আরও বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইহুদী লবি ও আমেরিকা পরিকল্পনার আদলে গড়ে উঠা সংগঠন গুলো আরও বহুগুণে শক্তিশালী হয়েছে। একেপার্টির সফলতা তাঁরা এই সকল কর্মকাণ্ড করার পরও তাঁরা তাদের জনসমর্থন ধরে রাখতে পেরেছেন মুলতঃ এরদোগানের কারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণে। তাঁর ২০১২ সালের কর্মকাণ্ড থেকে দিবালোকের মত স্পস্ট যে তিনি ইসরাইল এবং ইহুদিদের সাথে সকল চুক্তি ভঙ্গ করে আবার তিনি ঈমানী চেতনায় জেগে উঠেছেন। তিনি গ্রেট মিডল ইষ্ট প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকা-ইসরাইলকে সাহায্য করার পথ থেকে ফিরে এসেছেন। তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করার পর থেকে দেশের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন। তাঁর শাসন আমলের এ দশ বছর সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। এশিয়া-ইউরোপকে পৃথককারী প্রণালী বসফরাস প্রণালীর নিচ দিয়ে রেল লাইন টানাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। বিশেষ করে বিগত দুই বছর ধরে তিনি মুসলমানদের জন্য উনেক কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁর সব বক্তব্যে উঠে আসছে নির্যাতিত মুসলমানদের কথা। সোমালিয়াসহ আফ্রিকার গরিব দেশ গুলোতে সাহায্য করে আসছেন বরাবরই। আরাকানে গণহত্যার সময় সেখানকার মুসমানদের সমবেদনায় সেখানে পাঠিয়ে দেন তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে। জানিয়ে আসেন আমরা তোমাদের পাশে আছি থাকব ইনশাআল্লাহ। এমনকি বাংলাদেশের মুসলমানদের দুর্ভোগেও তিনি সারাক্ষণ পাশে ছিলেন। আবদুল কাদের মোল্লা সাহেবের শাহাদাতের দিন ইজমিরে একটি জনসভায় তিন থেকে চার মিনিট মোল্লা ভাই সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং তিনি বলেন ‘’বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমি ফোন ৪৫ মিনিট কথা বলেছি, কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেননি। বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভুল করেছে। মিশরের ব্যাপারে শুরু থেকেই তিনি কঠোর অবস্থানে আছেন। মুরসি সরকারের বিরুদ্ধে সিসি’র আগ্রাসনের পর থেকে তিনি মিশরের অবৈধ সরকারের সাথে কোন ধরনের সম্পর্ক রাখবেননা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেলকে আলাদা স্থানে প্রতিস্থাপন করার নির্দেশসনা দেয়ার পাশাপাশি রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত মদের ক্রয়-বিক্রয়কে নিষিদ্ধ করেন। মাদরাসা ছাত্রদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দান করেন। সবচেয়ে যুগান্তকারী যে পদক্ষেপটা নিয়েছেন তা হল হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। উল্লেখ্য যে, আগে হিজাব পরা অবস্থায় মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারতনা। মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইহুদী প্রভাব কমানুর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাই তাঁর এসব আচরনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ইহুদী ও তাদের দুষররা এরদোগানের বিরুদ্ধে শুরু করেছে নানাবিধ ষড়যন্ত্র। তিনি যখন আধিপত্যবাদী শক্তিকে ঘৃণাভরে দূরে সরিয়ে দিয়ে আবারও মুসলিমদের সমৃদ্ধি ও প্রাচ্যের সাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে ডি-৮ সহ আরও অনেক প্রজেক্ট হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেন তখনি তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় নানাবিধ ষড়যন্ত্র। গেজিপার্ক থেকে শুরু করে তথকথিত দুর্নীতির অভিযোগসহ একেপার্টিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা হিসেবে অভিযোগ করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন শক্তি। তবে আলহামদুলিল্লাহ যে দেশের জনগণ তাঁর উপর থেকে আস্থা হারায়নি। তার প্রমাণ আমরা পাই দুই সপ্তাহ আগের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল দেখে। উল্লেখ্য যে, সে নির্বাচনে এরদোগানের একে পার্টি প্রায় ৪৬% ভোট পায়। তিনি দেরীতে হলেও তাঁর ভুল বুঝতে পেরে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কাজ করা শুরু করেছেন। দোয়া করি তাঁকে আল্লাহ্ যেন সঠিক পথে রেখে সব বাঁধা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে মজলুম মুসলমানদের ত্রাণকর্তার ভুমিকা রাখার তাওফিক দান করেন, আমীন
-শেষ
বিষয়: বিবিধ
১৩৫১ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6483/Mother/41925#.U0m3j1WSwZs ।
================
ইতিহাস অপেক্ষা করছে, ফেতনার যুগে যুদ্ধ সংক্রান্ত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহীহ ভবিষতবাণী সমূহ বাস্তবায়িত হবে, নাকি নাবীর বানী মিথ্যা প্রমাণিত করে রক্তপাত হীন ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা হবে।
===========
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, তার ভবিষৎ বাণীর প্রতি দৃঢ় আস্তা স্থাপন করেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন