ওসমানী খলীফাদের দেশে ঈদুল আযহা নামাজ সম্পন্নঃ
লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ১৫ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:২৫:৪৭ রাত
তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশে আজ(মঙ্গলবার) মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদের নামাজ সম্পন্ন হল।তুরস্কের ইস্তানবুলে ঈদের নামাজ সকাল ৮ ঘটিকায় সম্পন্ন হল।তুরস্কে কোরবানির ঈদটা কাটে বেশ আয়োজনেই।নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে সবার কাছে "টার্কিশ ডিলাইট'' নামের তুরস্কের বিশেষ এবং ঐতিহাসিক এক মিষ্টি বিতরণ করা হয়।"টার্কিশ ডিলাইট''বিতরণের পূর্বে মোসাফাহা করে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মত কোলাকোলির ব্যবস্থাটা খুব একটা চোখে পড়েনা।ঈদের নামাজ শেষে ছোটরা বড়দের হাতে চুমু খাওয়াটা এদেশের একটা ঐতিহ্য।
এবং বড়রা ছোটদেরকে টাকা আর মিষ্টি তথা "টার্কিশ ডিলাইট'' বিতরণ করে।
ঈদের আগে বাড়ি থেকে দূরে অবস্থানরত অধিকাংশই নিজ নিজ বাড়িতে মা-বাবা ভাই বোনের সাথে একত্রে ঈদ করতে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিজের বাড়িতে যায়।অনেকেই কাজ বা পড়ালেখার চাপে যেতে পারেন না।সে রকম কয়েকজনের সাথেই কথা বলে জানা গেল তারা নিজ বাড়িতেই ঈদ করতে বেশী সাচ্ছ্যন্দ্যবোধ করে।এমিনে নামের এক বন্ধুকে ঈদ কিভাবে কাটান জিজ্ঞেস করতেই উনি শৈশবকালে ফিরে গেলেন।ওনার ভাষায় '' শৈশবকালে ঈদের দিন আমাদের দাদার বাসায় যেতাম,নিয়ম অনুযায়ী দাদা-দাদি,চাচা-চাচীর হাতে চুমু দিতাম।অনারা মিষ্টি আর টাকা দিতেন।উনি হাঁসতে হাঁসতে বললেন একবার আমি ১ কেজি মত টার্কিশ ডিলাইট জমা করেছিলাম'' এবং ওনার মতে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।উনার মতে ''পরিবার-পরিজন ছাড়া ঈদতো কল্পনাই করা যায়না''। আরেকবন্ধু আহমেদের কাছেও পরিবার পরিজন ছাড়া ঈদ কপ্লনাই করা যায়না ।তাই সে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মা-বাবার সাথে ঈদ করতে চলে গেছে ভার্সিটি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই। ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ফরহাদ এর সাথে কথা বলে জানা গেল সে এবার ঈদ করবে পরিবার-পরিজন ছাড়াই করবে।কারণ ঈদের পরপরেই মিড টার্ম পরীক্ষা তাঁর।তাঁর ভাষায় ''ভার্সিটি প্রথম সেমিস্টার থেকেই ভাল একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে পার করতে চাই,তাই একটু সেক্রিফাইসতু করতেই হবে,ঈদের পর পরেই পরীক্ষা আশা করতেছি জানুয়ারির একমাস ছুটিটা বাড়িতে কাটাবো।''
ছবি-১ : বড়দের হাতে চুমু দেয়ার দৃশ্য।
ছব-২ : টার্কিশ ডিলাইট
বিষয়: বিবিধ
১১৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন