পশ্চাত্যের লিভ-টুগেদার এবং আমাদের ইসলাম ধর্ম..................
লিখেছেন লিখেছেন বিবিয়ানা ০৩ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৫২:৪০ সকাল
জনপ্রিয় টুডেব্লগে ইদানিং পশ্চাত্যের লিভ-টুগেদার নিয়ে ইসলামপন্থী ব্লগারদের মুখ দিয়ে কথার খৈ ফুটে। তাদের ভাষায় "লিভ-টুগেদার" মানে পতিতা ভাড়া করে আনা, বেশ্যাবৃত্তি, কুকুর/বিড়ালের যৌনতা, দোজগের ইন্ধন ............ ইত্যাদি, ইত্যাদি।
কিন্তু ইসলাম ধর্মের ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে বিবাহ বহিঃভুত যৌনতার ভুরিভুরি উদাহরন পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের নবীজী এবং সাহাবিদের প্রায় সাবারই বহু নারীর সাথে বিয়ে বহিঃভুত যৌন সম্মর্ক ছিল। আমি এখানে নবীজীর একটি মাত্র উদাহরন দিছ্ছি যা ইতিহাস এবং সহিহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত।
নবী মোহাম্মদের "মারিয়া আল কিবতিয়া" নামের এক অপরুপ সুন্দরী দাসি ছিল। খ্রিষ্ট ধর্মালম্বী রুপেররাণী মারিয়া কে তৎকালিন Byzantine সম্রাট ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে সুদুর মিশর থেকে আমদানি করে নবীকে উপহার দেন। পরবর্তিতে মারিয়ার ঘরে ইব্রাহিম নামের নবীর এক পুত্র সন্তানও জন্মগ্রহন করে, যদিও সন্তানটি শিশু বয়সেই মারা যায়। নবীর মৃত্যুর(৬৩২ খ্রষ্টাব্দ) আগ পর্যন্ত মারিয়া সাথেই ছিলেন যদিও তারা কখনো পরস্পরকে কে বিয়ে করেন্নি। বিভিন্ন সুত্র এবং ইবনে কাইউম আল জাওজিয়া মতে মারিয়া ছিল নবীজীর রক্ষিতা(concubine) এবং ইবনে হিসাম নবীজীর স্ত্রীদের যে তালিকা প্রনয়ন করেছেন তাতে মারিয়ার নাম নেই।
অন্যদিকে পশ্চাত্যের লিভ টুগেদার সম্পুর্ন ভিন্ন বিষয়, যার সাথে ইসলামী পন্থায় দাসী/বাদী ভোগ-নির্যাতনের কোন সুযোগ নেই। সত্যিকার অর্থে "লিভ টুগেদার/কোমন ল স্পাউস" বলতে নর-নারীর spontaneous interpersonal relationship কে বুঝায় যা সমাজ ও রাষ্ট্র দ্বারা স্বিকৃত। children, separation, estates, benefits সবকিছুই রাষ্ট্রের jurisprudence দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
এরপরও কি আমাদের দেশের মোল্লারা না বুঝেই হাউকাউ করতেই থাকবে???
বিষয়: বিবিধ
৩৫১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন