আমার ইসলামিক ভাবনা ............................
লিখেছেন লিখেছেন বিবিয়ানা ০১ জুলাই, ২০১৩, ১১:৫৮:০৩ রাত
গত ১৪০০ বছর ধরে যে কথাগুলো স্বাড়ম্বরে প্রচার করে আসা হচ্ছে তা হলো নিম্নরূপ:
(১) কোরান গোটা মানবজাতির জন্য সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ কোরানের আদর্শ বা বিধি বিধান সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য।
(২) কোরান একটা সম্পূর্ন কিতাব। এতে কোন অসম্পূর্নতা নেই।
(৩) কোরান গত ১৪০০ বছর ধরে বিশুদ্ধ ও অবিকৃত অবস্থায় আছে।
আবার কোরান হাদিস নিয়ে যখন কোন বিতর্ক করা হয় প্রায়ই ইসলামিষ্টরা কতকগুলো প্রশ্ন উত্থাপন করে যে গুলো নিম্নরূপ:
(১) কোরানের আয়াত বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়লে আয়াতের সঠিক অর্থ বোঝা যাবে না।
(২) আয়াতের অর্থ বুঝতে গেলে আগে পিছের আয়াতগুলো পড়তে হবে।
(৩) আয়াতের পটভূমিকা বা শানে নুযুল জানতে হবে। অর্থাৎ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন আয়াত নাজিল হয়েছিল তা জানতে হবে। না হলে আয়াতের সঠিক অর্থ বোঝা যাবে না।
(৪) পুরোপুরি সঠিক অর্থ জানতে আরবী বুঝে কোরান পড়তে হবে।
আসলেই কোরানের কোন আয়াতের অর্থ বুঝতে সে আয়াতকে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিবেচনা করা ঠিক না। উক্ত আয়াতের আগ পিছের আয়াতগুলো জানা দরকার। এছাড়া শানে নুযুল বা পটভূমিকা অর্থাৎ কোন প্রেক্ষিতে উক্ত আয়াত নাজিল হয়েছে তা জানতে হবে। কিন্তু যখন দেখা যায় কোরানের কোন সুরা আয়াতের অর্থ কোন ভাবেই যুতসই মনে হছ্ছে না তখন শেষ অস্ত্র যা প্রয়োগ করে ইসলামিস্টরা তা হলো কোরানকে বুঝতে হলে আরবী জানতে হবে। অথচ তারা(ধর্মবাজ জোকার নায়েক/রাশেদ খলিফা গং) বুঝতে পারে না যে তাদের শেষ অস্ত্রটি শুধু ইসলামকেই সংকুচিত করে শুধুমাত্র আরবী ভাষী মানুষের জন্যই কার্যকর ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। বস্তুত: বিষয়টি কিন্তু তাই।
আল কোরানে আল্লা বলেছেন :
সুরা ১২/২ : "আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।"
সেই মক্কা মদিনাতে আজকের মত তখন তেলের খনি ছিল না যা বিক্রি করে বিলাস বহুল জীবন যাপন করা যেত। সম্পদের অপ্রতুলতার কারনে মক্কা মদিনার মানুষের জীবন ছিল অনেকটা সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলের মানুষের মত। মানুষের জীবিকা মূলত নির্ভর করত পশুপালন, খেজুর উৎপাদন এসব। যা একটা আদিম সমাজের চিত্র। যে কারনে কোরানের আখ্যানভাগ জুরে রয়েছে আদিম আরবের দৃশ্যমান খুরমা খেজুর নির্ভর বেদুইন , উট, খর্জুরগাছ, নর্দমা আকৃতির কুপের পানি, দুপুরে কাপর খুলে বিশ্রাম নেয়া(সুরা ২৪/৫৮, অতিরিক্ত গরমের জন্য যা শুধু আরব দেশেই প্রচলিত), আবুলাহাব/আবুজেহেল, এবং সর্বপরি মক্কা/মদিনা/জেরজালেম/আবিসিনিয়া/বাগদাদ/সিরিয়া .............. এসবরের বর্ননাই শুধু। অথচ সক্রেটিস/প্লুটো'এরিষ্টোটল, হিমালয়ের বরফ আবৃত চুড়া, দিগন্ত বিস্তৃত ক্যানাডিয়ান প্রেরী অঞ্চল, বাংলার সবুজ ধান ক্ষেত, গোয়াল ভরা গরু, যমুনার মাছ, .................. এসব নিয়ে কোরানে একটি কথাও উচ্চারন করা হয়নি!! এটা কি প্রমান করে "কোরান একটা সম্পূর্ন কিতাব"??
আবার আল কোরানে বলা হয়েছে সুরা ১৬/৮৯: "আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।"
এবার উদাহরন দেয়া যাক- কোরান বলছে দাসীদের/যুদ্ধের পর বন্দী নারীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স করা যাবে, তার মানে এখনও উক্ত প্রথা সমানভাবে কার্যকরী ও প্রযোজ্য কিন্তু বর্তমানে এটাকে অমানবিক বলে গণ্য করা হয়। ইসলামিষ্টরা বলছে এখন যেহেতু দাসপ্রথা নেই , তাই এটা এখন আর প্রযোজ্য নয়। কিন্তু খেয়াল করতে হবে দাসপ্রথা উচ্ছেদের কোন বিধান মোহাম্মদ বা তার আল্লাহ করে যায় নি। মোহাম্মদের বা তার পরবর্তী খলিফাদের বা মুসলিম বাদশাদের সময়ে মুসলমানরা অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে কোন অঞ্চল দখল করলে সেখানকার মানুষগুলোকে বন্দী করে দাস দাসি বানাত। যেহেতু এ ধরনের বিধান পরবর্তী কোন আয়াত দ্বারা রহিত হয় নি, তাই বর্তমানেও ইচ্ছা করলে মুসলমানরা শক্তিশালী হয়ে অমুসলিমদের আক্রমন ও পরাজিত করে তাদেরকে দাস দাসী বানাতে পারবে, আর পারবে দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স করতে।
বিষয়: বিবিধ
২১১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন