প্রসঙ্গ ; ধর্মানুভুতি............................
লিখেছেন লিখেছেন বিবিয়ানা ২৮ জুন, ২০১৩, ০৯:৪২:৪৭ সকাল
প্রথমেই বলে রাখি, আমি কারো ব্যাক্তিগত ধর্ম বিশ্বাস কে খাটো করার পক্ষে নই, যতক্ষন না তা মানুষের ব্যাক্তি পর্যায়ে থাকে। তবে ধর্মের রাজনীতিকরন, সমাজিকিকরন হলে ধর্মের পক্ষে/বিপক্ষে কথা উঠবেই। যে কারনে ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটি hot topics, বিশেষ করে গত ৫ ই মে, ঢাকাতে হেফাজতে ইসলামের তান্ডব বিষয়টিকে আরো জটিল করেছে। ইসলামপন্থীদের দাবি আল্লা/রাসুলকে নাকি অবমাননা করা হয়েছে।
প্রবাস জীবনে সে দিন এক আলোচনার টেবিলে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছিল। একজন সু-বক্তা যুক্তি স্হাপন করে বুঝিয়ে দিলেন "ইসলাম ধর্মই অমুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস কে অবজ্ঞা করে মানুষের ধর্মানিভুতিতে সর্বপ্রথম আঘাত হেনেছে" তিনি কোরান/হাদীসের উদ্বৃতি দিয়ে প্রমান করতে চেয়েছেন ইসলাম ধর্ম কোন রাখ/ঢাক না করেই অমুসলিম/অবিশ্বাসী দের ধর্ম-দর্শন কে তুছ্ছ/তাছ্ছিল্য/হেয়/কটুক্তি করেছে।
সে দিনের সেই আলোচনার বিষয়টি ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করলাম। দেখুন তো নীচের বিষয় গুলো অন্য ধর্ম বিশ্বাসীদের জন্য কটুক্তুমুলক কিনা? আশা করি যুক্তি/মেধা/বিবেক দিয়ে উত্তর দেবেন। ধন্যবাদ।
* "হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র, নাপাক। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে" কোরান ৯:২৮
* " যাদেরকে তওরাত দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা তার অনুসরণ করেনি, তাদের দৃষ্টান্ত সেই গাধা, যে পুস্তক বহন করে, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তাদের দৃষ্টান্ত কত নিকৃষ্ট" কোরান ৬২:৫
* "বলুন , আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছে" কোরান ৫:৬০
* "আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম " কোরান ৯৮:০৬
* "সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি" কোরান ৮:৫৫
* "অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে" কোরান ৭:১৭৬
* "সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরম পথভ্রষ্টতা। —--
সে এমন কিছুকে ডাকে, যার অপকার উপকারের আগে পৌছে। কত মন্দ এই বন্ধু এবং কত মন্দ এই সঙ্গী" কোরান ২২:১২-১৩
* "তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে" কোরান ৯:২৯
* "তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না" কোরান ৪:৮৯।
* আব্দুল্লা বিন ওমর এর বর্ননায় বলা হয়েছে ; আল্লাহর নবী বলেছেন, " তোমরা ইহুদীদের সাথে লড়াই কর যতক্ষন না তাদের কেউ কেউ বাঁচার তাগিদে পাথরের আড়ালে লুকাবে এবং তখন ঐ পাথরটি বলবে হে আব্দুল্লা(আল্লাহর দাস) আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, জলদি তাকে হত্যা কর" সহিহ বুখারী, ভলিউম ৪, বই ৫২, হাদীস নং ১৭৬
বিষয়: বিবিধ
২১৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন