ডা. জাকির নায়েকের সমালোচনার রহস্য উৎঘাটন এবং তাঁর প্রতি আমাদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিৎ
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান আহমেদ তরফদার ১১ জুন, ২০১৩, ০৭:৫৯:২১ সন্ধ্যা
বিসমিল্লাহির রহমানমানির রহিম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য(সুরা ফাতিহা-)। আল্লাহর রহমতে নতুন একটি লেখা লিখলাম। হে আল্লাহ আমার লেখায় যদি কোন ভুল থাকে তাহলে আপনি তা ক্ষমা করে দিন। বন্ধুগন, আপনারা যদি কেউ কোন ভুল ধরতে পারেন তাহলে তা বিনা সঙ্কচে জানাবেন।
ভুমিকা-
বর্তমানে ভারতিয় উপমহাদেশের সুন্নাহপন্থিরা ৩ টি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। তারা হল,
১. দেওবন্দি(৬৫%)
২. বেরেলুভি/ রিজভি(১৫%)**
৩. আহলে হাদিছ/ সালাফি/ মোহাম্মাদি(২০%)
[বি.দ্র. আনুমানিক হিসাব, হিসাবে ভুল থাকতে পারে। **বেরেলুভিদের সুন্নাহর অনুসারি বলা হলেও তারা মাজার পুজা সহ আরো অন্যান্য আকিদাগত ত্রুটিতে জড়িত]
এই তিন দলের কোনটাই কাউকে দেখতে পারে না। আহলে হাদিছরা সব দলের আলেমদেরকে সম্মান করলেও দেওবন্দি ও বেরেলুভিরা আহলে হাদিছ দের কে নানারকম ভাবে অপদস্থ বা মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় জড়িত। যেমন, তাদের নামে অহাবি/ লা মাজহাবি/ গাইরে মুকাল্লিদ ইত্যাদি বিভিন্নরকম গালির প্রচলন আছে।
একই ভাবে বরতমান যুগের অন্যতম সেরা ইসলাম প্রচারক ডা. জাকির আহলে হাদিস শ্রেনি ভুক্ত হবার কারনে দেওবন্দি ও বেরেলুভিদের মিথ্যা অপবাদের বিষবান ডা. জাকিরের উপর নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। যা নিতান্তই ভিত্তিহিন, বানোয়াট, কাল্পনিক ধারনা মাত্র। এই ধরনের অপবাদের মুলে রয়েছে দেওবন্দি ও বেরেলুভিদের হিংসাত্মক মনোভাব।
[বি.দ্র.- ডা. জাকির নিজেকে কখনই আহলে হাদিছ বলে দাবি করেননি। বরং নিজেকে কুরআন ও সহিহ হাদিসের অনুসারি বলে দাবি করেছেন]
সমালোচনার কারন-
ডা. জাকির যখন অসংখ্য হিন্দু- ক্রিস্টান পণ্ডিতকে কথার বানে জর্জরিত করে মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন তখন উপমহাদেশের দেওবন্দি বেরেলুভিরা অনেক মজা পান। কিন্তু যখনই তিনি বললেন সালাতে আমিন জোরে বলতে হবে, রাফউল ইদাইন করতে হবে, ঈদের সালাতের তাকবির ১২ টি। তখনই দেওবন্দি বেরেলুভিরা ফাতঅয়া দেয়া শুরু করল যে, ডা. জাকির কাফির মুরতাদ, ইহুদি ক্রিস্তান দের এজেন্টে পরিনত হয়েছেন। এছাড়া ডা. জাকিরের প্রতি বিরুদ্ধাচারনের আর কোন কারন নেই।
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের চোখে ডা। জাকির নায়েক-
বিখ্যাত আলেম কামালুদ্দিন জাফরির মতামত শুনতে নিচের ভিডিও দুটি দেখুন.......
শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের মতামত...............
এবার দেখুন মুজাফফর বিন মহসিনের মতামত..................
null
এছাড়াও দেশের অন্যান্য বিখ্যাত আলেম যারা কেউ আহলে হাদিস আন্দোলনের সাথে জড়িত নন, বরং তাদের অনেকরই শিক্ষক ছিলেন দেওবন্দি আলেম তারাও ডা. জাকির সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করেছেন। তাদের কয়েকজন হলেন, অধ্যাপক কাজি ইব্রাহিম, ড. মঞ্জুর ইলাহি, ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ, ড. মুসলেউদ্দিন, ড. জাকারিয়া, শাহ ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ।
এখন আসা যাক, সউদি আরবের মক্কা-মদিনার ইমাম, ফাতয়া বোর্ড, সরবচ্চ ওলামা পরিষদের ডা. জাকির সম্পর্কে মনোভাব নিয়ে। এ নিয়ে দুটো ঘটনা বলা যাক......
১. সম্ভবত ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে হারাম শরিফের ইমাম আব্দুর রাহমান সুদাইছ মুম্বাই আসেন এবং ডা। জাকিরের সাথে দেখা করেন। তিনি তার নিজস্ব ফান্ড হতে IRF (Islamic Research Foundation) এর জন্য ৪০ তলা বিল্ডিঙের কাজ শুরু করিয়ে দিয়ে যান।
২. প্রতি বছর ই IRF মুম্বাইতে ১০ দিন ব্যপি ইসলামিক মহাসম্মেলনের আয়জন করে থাকে। সেখানে সারা বিস্বের বিখ্যাত সব আলেমরা এসে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সর্বশেষ সম্মেলনে মসজিদুল নববির ইমাম শাইখ সালাহ আল বুদাইর এসেছিলেন। তিনি সমাপনি দুয়া পরিচালনা করেন(হাত তুলে সম্মিলিত ভাবে নয়) এবং তিনি জুম্মার সালাতের ইমামতিও করেন, আমরা এই ঘটনা পিস টিভির মাধ্যমে দেখেছি।
ফাতয়া বোর্ড, সরবচ্চ ওলামা পরিষদের আলেমরাও ডা. জাকিরের পক্ষে। কারন তারা বিভিন্নভাবে (আর্থিক সহ) তাকে সাহায্য করে থাকেন। যদি বর্তমানে আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ(রাহি), নাসিরুদ্দিন আল্বানি(রাহি), সালেহ আল উসমাইন (রাহি) এর মত আলেমরা বেচে থাকতেন তাহলে আশা করা যায় তারাও ডা. জাকিরের পক্ষেই যেতেন।
ডা. জাকির সম্পর্কে আমাদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিৎ-
অবশ্যই তার সম্পর্কে ভাল মনোভাব রাখা উচিৎ, তার জন্য আল্লাহর নিকট দুয়া করা উচিত। আল্লাহ যেন তাকে হেফাজতে রাখেন আর বেশি বেশি দাওয়াতি কাজ পরিচালনার তৌফিক দেন। আমিন। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, কোন মানুষই ভুলের উরদ্ধে নয়(যদিও তিনি কোন ভুল করেননি)। ডা. জাকির যেহেতু মাদ্রাসায় পরাশুনা করেননি তাই ইসলামের কোন বিষয়ে তার মতামত গ্রহন না করাই শ্রেয়। কিন্তু কারো কথা বিকৃত করে তাকে কাফির উপাধি দেয়া নিতান্তই বর্জনীয় ও নিন্দনীয়।
ডা. জাকির সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদের জবাব জানতে নিচের নোটটি পরুন......
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৭৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন