ডা. জাকির নায়েক, নতুন ফেরকা??? নাকি আলোর দিশারি???

লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান আহমেদ তরফদার ১১ জুন, ২০১৩, ০১:০০:২০ রাত

(একটু বড় হয়ে গেছে, দয়া করে এড়িয়ে যাবেন না)

ডা. জাকির নায়েকের বিপুল জনপ্রিয়তা, তার মাধ্যমে অসংখ্য অমুসলিমের ইসলাম গ্রহন এবং তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম উম্মাহ শুধুমাত্র কুরআন-সহিহ হাদিসের উপর আমল করছে............... এসকল কারনে এই উপমহাদেশের কিছু সংখ্যক লোকের কাছে তিনি চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন। তারা ডা. জাকিরের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখন প্রশ্ন হল এরা কারা হতে পারে??? আমার মতে তারা হল-

১. ভণ্ড পীর এবং তাদের মুরিদ। (ভণ্ড পীরদের বাবসা টিকিয়ে রাখার জন্য শুধুমাত্র "মুসলিমদের কম জ্ঞান এবং বিভ্রান্তিই" যথেষ্ট।)

২. ক্রিস্টিয়ান এবং ইহুদি। (প্রতি বছরই তাদেরকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেয়া হয় যেকোনো ভাবে অন্য ধর্ম হতে ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে নিজ ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে।)

৩. নাস্তিকবৃন্দ।

৪. নামসর্বস্ব দেওবন্দি ও বেরেলুভি আলেমগণ।

সবচেয়ে মজার ব্যপার হল ডা. জাকির প্রায় প্রতি বছরই মালেসিয়া, সৌদি আরব, কাতার ইত্যাদি দেশে অনুষ্ঠান করলেও ২০০৯ সাল থেকে তার বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়িদের কারনে তিনি বাংলাদেশের ভিসা পাচ্ছেন না।

নিচে তার বিরুদ্ধে আনা কয়েকটি অভিযোগের জবাব দেয়া হল।

অভিযোগ ১. আল্লাহকে ব্রাহ্ম-বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে বলে অভিমত।

ডা. জাকির নায়েক এ বিষয়টা একাধিক আলোচনায় বললেও কখনোই এককথায় বলেননি যে, ‘‘আল্লাহকে ব্রাহ্ম-বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে।’’ তাই এমনিভাবে এককথায় বললে যে কারো কাছে কথাটা আপত্তিকর মনে হতে পারে। তাছাড়া এটা ‘আল্লাহ’ নামের পরিবর্তে এই নামে ডাকার কথাও বলেননি। তার এই আলোচনাটা প্রায় এক পৃষ্ঠা, সবটা তুলে ধরলে এই লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। তার বক্তব্যের সার কথা- যারা সংস্কৃত ভাষায় কথা বলেন তারা শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থে ‘ব্রহ্ম’ ( বাংলা-সৃষ্টিকর্তা, আরবী- ‘খালিক’, যা আল্লাহ তায়ালার ৯৯টা গুণবাচক নামের একটি), ‘বিষ্ণু’ ( বাংলা-পালনকর্তা, আরবী- রব, যা আল্লাহ তায়ালার আরেকটি গুণবাচক নাম) বলতে পারবেন। তবে এর বাইরে অন্যকিছু বোঝালে অর্থাৎ দেবতা জাতীয় কিছু মনে করে থাকলে বলা যাবে না। আমি তার এই কথার বিরোধিতা করছি না এই জন্য যে, এটা তো আল্লাহ্র গুণবাচক নামের বাইরে যাচ্ছে না। সংস্কৃত ভাষার মানুষেরা তাদের ভাষায় আল্লাহর গুণবাচক নাম ধরে ডাকতে না পারলে আমরা আমাদের বাংলা ভাষায় আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা এবং পালনকর্তা ডাকি কেন? তিনি আল্লাহকে সুন্দর নামে ডাকার কথা বলেছেন। তবে নিজের ইচ্ছেমত নাম নয়, কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর ৯৯টি নামের কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ‘‘এটা শূন্য থেকে কিছু এনে মানুষের মন ছবিতে বসিয়ে দেয়া নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহর কমপক্ষে ৯৯টি নাম রয়েছে। যেমন: আর-রহমান, আর-রাহিম, আল-জববার, আল কুদ্দুস, আল খায়ের। তিনি ক্ষমাশীল, তিনি পরোপকারী ইত্যাদি। কিন্তু সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং নিখুঁত নাম হলো আল্লাহ’’।

অভিযোগ ২. পবিত্র কুরআর শরিফের মধ্যে ব্যাকরণগত ভুল আছে বলে স্বীকার।

এই কথাটা শুনলেই মনে হবে ডা. জাকির নায়েক পবিত্র কুরআন শরিফের ভুল ধরেছেন। প্রকৃত অর্থে তা নয়। তিনি বলেছেন- ‘‘কুরআনের ব্যাকরণ এতই উচ্চমানের যে, এটা আরবী ব্যাকরণের প্রচলিত বই থেকে উন্নততর।’’ বর্তমান প্রচলিত আরবী ব্যাকরণ দিয়ে যাচাই করলে কুরআনের আলোচ্য শব্দটি ‘‘রাসূলদের’’ না হয়ে ‘‘রাসূল’’ হওয়ার কথা। এই অমিলটা তিনি আরবী ব্যাকরণের সীমাবদ্ধার কথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন ‘‘আপনি কি ভুলকৃত ব্যাকরণ দিয়ে কুরআন যাচাই করবেন? অবশ্যই না।’’ ‘‘পবিত্র কোরআনের সৌন্দর্য হচ্ছে কোরআন কেন ‘রাসূল’ শব্দের পরিবর্তে ‘রাসূলদের’ শব্দের ব্যবহার করেছে সেটা। আপনারা জানতে পারবেন এটা কেন করা হয়েছে? কারণ, আমরা জানি যে, সকল রাসূলের মৌলিক বাণী একই রকম ছিল। যেমন, প্রভু একজন। হযরত লুত (আ.) এর জাতির লোকেরা রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এ কথার দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, হযরত লুত (আ.)- কে প্রত্যাখ্যান করে প্রকারামেত্ম তারা পরোক্ষভাবে সকল রাসূলকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। দেখুন সৌন্দর্য কাকে বলে? দেখুন, অলঙ্কারিত্ব আলহামদুলিল্লাহ।’’ এবার পাঠক আপনারাই বলুন এখানে কুরআন শরিফের ভুল দেখানো হয়েছে নাকি বর্তমানের প্রচলিত আরবী ভাষার ব্যাকরণের ভুলের কথা বলা হয়েছে।

অভিযোগ ৩. হিন্দুদের রাম এবং কৃষ্ণ সম্পর্কে ইসলামের নবী হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ।

ঈসা (আ.) আমাদের নবী। তাঁর উপর যে ওহী অর্পিত হয় তার নাম ইঞ্জিল। এই একই ব্যক্তি একই গ্রন্থ প্রাপ্ত হয়েও দুই ধর্মের অনুসারীদের কাছে দু্ই রকম আদর্শের ধর্মনেতা। ইঞ্জিল শরীফকেই বাইবেল বলা হলেও বর্তমানের বাইবেলকে আমরা আল্লাহর বাণী বলে স্বীকার করি না। কারণ, এটাতে পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয়েছে। তবে এটা মানি যে, এর মধ্যে ইসলামের অনেক কথা এখনও আছে। বেদের মধ্যে কুরআনের অনেক কিছু কথার মিল (বিশেষ করে এক ঈশরে বিশ্বাস এবং রাসুল (স) এর হুবুহু বর্ণনা) থাকার কারণে অনেক মুসলমান দাবী করেন এটা কোনো এক সময় আল্লাহর বাণী ছিল, যা বাইবেলের মত করে পরিবর্তিত হয়ে আজকের অবস্থায় এসেছে। এমনিভাবে রাম এবং কৃষ্ণ মুসলমানদের নবী ছিল, যা আজ যীশুর মত অন্য নামে অন্য আদর্শের ধর্মনেতা। এই প্রেক্ষাপটে তিনি (জাকির নায়েক) বলেছেন- ‘‘আল কুরআন বলে যে, ইঞ্জিল হলো ওহী, যা ঈসা (আ.) কে প্রদান করা হয়েছিল। এটা হলো সেই ওহী, যা যীশুকে প্রদান করা হয়েছিল। সুতরাং ইঞ্জিল আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। নবীদের ব্যাপারে? অনেক নবী ছিলেন। রাম ও কৃষ্ণের নবী হওয়ার ব্যাপারে, আমরা বলতে পারি হতে পারে, তবে আমরা নিশ্চিত নই। কিছু মুসলমান আছেন, তারা বলেন, ‘রাম আলাইহিস সালাম’। এটা ভুল। দেখুন তারা তাদের পিঠ চাপড়াচ্ছে। আমি হিন্দুদের পিঠ চাপড়ানোর পক্ষে নই।’’ বিচ্ছিন্নভাবে এ কথা বলা হলে খারাপ মনে হওয়া স্বাভাবিক। তাই প্রেক্ষাপট সহকারেই বলা দরকার। কিন্তু বিরোধীতাকারীরা বিচ্ছিন্নভাবেই কথাটি তুলে ধরেছে, যা শুনতে যে কারো কাছেই খারাপ লাগবে।

অভিযোগ ৪. রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর রওযা শরিফের ভিতরে মৃত।

এ প্রসঙ্গে জাকির নায়েক বলেন- ‘‘পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় আছে- ‘আল্লাহর পথে যারা নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত।’ এখানে অনেকে বলতে পারেন, তাহলে তারা তো বেঁচে আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবো। এখন যদি এই শহীদগণ জীবত হন তাহলে তো আমাদের নবীজীও বেঁচে আছেন। খুব সুন্দর যুক্তি। কিন্তু সাহাবীগণ এটাকে কীভাবে বুঝেছিলেন? তারা কি ধরে নিয়েছিলো যে, নবীজী বেঁচে আছেন? তারা তো নবীজী (সা.) এর জানাযার নামায পড়েছেন, তাঁকে কবরস্থ করেছেন। এছাড়া সাহাবীগণ যুদ্ধের ময়দানে সাথীদেরকে কবর দিয়েছেন, তাদের জানাযা পড়েছেন। জীবিত কারো জানাযা নামায কি পড়া যায়? উত্তর হবে- না, জীবিত কারো জানাযা নামায পড়া যায় না। এখানে কুরআনের আয়াত বলছে- শত্রুরা যখন উল্লাস করে বলে, ‘তোমাদের লোকদের মেরেছি; তবে তাদের সাথে পরকালে দেখা হবে। আর তারাই হবেন লাভবান। এখানে শারীরিকভাবে বেঁচে থাকার কথা বলা হচ্ছে না। যদি শারীরিকভাবে জীবিত থাকবেন তাহলে সাহাবীগণ তাদের কবর দেবেন কেন?’’

অভিযোগ ৫. পবিত্র কুরআন স্পর্শ করার জন্য কোনো অজুর প্রয়োজন নেই।

এখানে কথাগুলো ঠিক এভাবে আসেনি। বইতে যেভাবে আছে আমি তা তুলে ধরছি- ‘‘যদি শেষ বিচার দিনে মহান আল্লাহ আমাকে কৈফিয়ত তলব করেন আরবিসহ কুরআন কেন আমি অমুসলিমদের দিয়েছি, তাতেও আমার ভয়ের কারণ নেই। কেননা আমি নিশ্চিতভাবেই জানি মুহাম্মদ (সা.) কে আমার পক্ষে পাব। তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় অমুসলিম বাদশাহদের নিকট আরবি ভাষায় লিখিত পত্র প্রেরণ করতেন যার মধ্যে কোরআনের আয়াতও থাকতো। আবিসিনিয়ার বাদশাহ সম্রাট হিরাক্লিয়াস, ইমেমেনের রাজা, মিসরের বাদশাহের নিকটেই মহানবী (সা.) এমন পত্র দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ইসলাম গ্রহণ করলো, কেউ কেউ পত্র ছিন্ন করে, অনেকেই পদতলে পিষ্ট করলো। তাই মহান আল্লাহ যদি সত্যিই আমাকে অভিযুক্ত করে তবে মহানবী (সা.) কে অবশ্যই কাছে পাব। এ ধরনের একটি পত্র এখনো ইসত্মাম্বুলের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এ পত্রে সূরা আল ইমরানের আয়াত নং ৬৪ তে স্পষ্টভাবেই লিপিবদ্ধ আছে।’’

অভিযোগ ৬. একই দিন ঈদ ও জুমআ হলে জুমআর নামাজ পড়ার দরকার নেই।

এ প্রসঙ্গে জাকির নায়েক বলেন- ‘‘জুমার দিনে আগে ঈদের নামাজ আদায় করলে পরে জুমার নামাজ আদায় করা আর না করা ঐচ্ছিক ব্যাপার। সুতরাং এ গুলোই ঈদের নামাজের পদ্ধতি। (আবু দাউদ, অধ্যায়- সালাত, হাদীস নং ১০৬৮) ’’এখানে তিনি যে হাদীসটার কথা বলেছেন তা আমার দেখা হয়নি। তবে মনে করি উক্ত হাদীসে সে রকম নিয়মের কথা আছে বলেই তিনি এই হাদীসটার কথা এখানে উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগ ৭. ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ১২ তাকবীর দিতে হবে।

এ ব্যপারে সহিহ হাদিস আছে। যেমন- দারাকুতনি (হাদিস নং- ১৭০৪, ১৭১০, ১৭১২, ১৭১৪), বায়হাকি (হাদিস নং- ৩/২৮৭), ইবনে মাজাহ(হা- ১০৬৩,১২৭৮), আবু দাউদ (হা-১০২০,১১৫১)

অভিযোগ ৮. তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ একই নামায।

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা কাউন্সিলের সাবেক প্রধান মুফতী সম্মানিত শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রঃ)কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারাবী, কিয়ামুল লাইল এবং তাহাজ্জুদের মধ্যে পার্থক্য কি? উত্তরঃ সম্মানিত শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রঃ) বলেনঃ রাতের নামাযকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। একে কিয়ামও বলা হয়। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৭৯) আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ قُمِ اللَّيْلَ إِلا قَلِيلًا ওহে চাদরে আবৃত (ব্যক্তি), রাতে সালাতে দাড়াও, রাতের কিছু অংশ বাদে। (সূরা মুজাম্মেলঃ ১-২) আল্লাহ তাআলা আরও বলেনঃ آخِذِينَ مَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُحْسِنِينَ كَانُوا قَلِيلًا مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন, তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সত কর্মশীল। তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত। (সূরা আয-যারিয়াতঃ ১৬-১৭) আর মানুষের উপর সহজ করে এবং বেশী দীর্ঘ না করে রামাযান মাসে রাতের প্রথম ভাগে কিয়ামুল লাইল করাকে আলেমদের পরিভাষায় তারাবী হিসেবে নাম করণ করা হয়। একে তাহাজ্জুদ এবং কিয়ামুল লাইল হিসেবে নাম করণ করাও জায়েয আছে। এতে কোন অসুবিধা নেই। (বিস্তারিতঃ ছালাতুর রাসুল(স)- ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব ) আরবীতে পারদর্শী ভাইদের জন্য ফতোয়ার লিংক দেয়া হল। অনুবাদে ভুল হয়ে থাকলে জানাবেন বলে আশা রাখি।

অভিযোগ ৯. তারাবীহ নামায শুধু ৮ রাক আত আদায় করতে হবে।

এ সম্পরকেও সহিহ হাদিস আছে। বুখারি-১১৪৭, মুস্লিম-১৭২৩, তিরমিজি-৪৩৯, আবু দাউদ- ১৩৪১, নাসাই-১৬৯৭, মুওয়াত্তা- ২৬৩, আহমাদ- ২৪৮০১, মুলুগুল মারাম-৩৬৭, বায়হাকি- ৪৩৯০ এবং আরও অনেক সহিহ হাদিস রয়েছে।

অভিযোগ ১০. প্যান্ট, শার্ট ও টাই এগুলো নামাজের পোশাক।

এখানে কথাটা বিকৃতভাবে বলা হয়েছে। ‘‘প্যান্ট, শার্ট ও টাই এগুলো নামাজের পোশাক’’ এ কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে প্যান্ট, শার্ট ও টাই পরে নামাজ পড়া যায়। এই দু’টি কথার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে। তিনি বলেন, ‘‘সহীহ হাদীসে রয়েছে আপনি যেটাতে আরাম বোধ করবেন সেটা পরবেন। যদি আপনি পশ্চিমা ব্যক্তিকে কোর্তা পায়জামা পরতে বলেন তাহলে সে নামাযে এদিক সেদিক নড়াচড়া করবে। যদি কোনো গ্রামের মানুষকে কোর্ট টাই পরতে বলেন তাহলে সে স্বস্তি পাবে না। তাহলে আপনি যদি সালাতে পোশাকের ন্যূনতম অংশ পূরণ করেন যেটা বলা আছে সহীহ হাদীসে, সে শর্ত মেনে আপনি যে কোনো পোশাক পরতে পারেন। তবে সেটা ইসলামী শরীয়াহ্ বিরুদ্ধে যাবে না। যদি সে পোশাকটা শরীয়াহ অনুযায়ী হয়ে থাকে আপনি সেটা পরতে পারেন। তবে গলায় যেন কাপড় ঝুলানো না থাকে। এটা পরে আপনি সালাত আদায় করতে পারেন না। কারণ এটা হারাম। তবে পোশাকটা যদি হারাম না হয় সব শর্ত পূরণ করে তাহলে আপনি কোর্তা, প্যান্ট, শার্ট যেটা পরে আরাম পান সেটা পরতে পারেন।’

অভিযোগ ১১. ইসলাম ধর্মে চারজন মহিলা নবী এসেছেন। তাঁরা হলেন: বিবি মরিয়াম (আ.), বিবি আছিয়া (আ.), বিবি ফাতিমা (রা.) বিবি খাদিজা (রা)

এখানে জাকির নায়েকের কথাকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে। জাকির নায়েক বলেছেন- ‘‘যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন যে, যিনি আল্লাহর পক্ষ হতে বাণী গ্রহণ করেন এবং যিনি মানব জাতির নেতা হিসেবে কাজ করেন। সেই অর্থে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ইসলামে আমরা কোনো নারী নবী পাইনি।’’ এরপর তিনি নবীদের এমন কিছু কথা বলেছেন যা নারীদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি লেখাটা বড় না করার জন্য তা তুলে ধরতে পারছি না। তিনি এরপর আবার বলেছেন- ‘‘কিন্তু যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন যে, এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পছন্দের এবং যিনি পবিত্র ব্যক্তি, তবে সেখানে কিছু নারীর উদাহরণ রয়েছে।’’ এরপর কুরআনের আয়াতের দ্বারা কয়েক জন নারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। তারপর বলেছেন- ‘‘উপরে উল্লিখিত দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামে চার জন মহিলা নবী এসেছেন। প্রকৃত অর্থে নবী নয়। তারা হলেন, বিবি মরিয়াম (আ.), বিবি আছিয়া (আ.), বিবি ফাতিমা (রা.) ও বিবি খাদিজা (রা)।’’ উক্ত বাক্যে বিরুধীতাকারীরা ‘‘উপরে উল্লিখিত দৃষ্টিকোণ থেকে’’ কথাটা বাদ দিয়ে বাক্যের মূল অর্থকে অন্যদিকে নিয়ে গেছেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি এর চেয়েও বড় ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। ‘‘প্রকৃত অর্থে নবী নয়’’ এই গুরুত্বপূর্ণ বাক্যটা পুরোপুরি উধাও করে দিয়ে কথাগুলো নিজের সুবিধা মত সাজিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্য কি?

অভিযোগ ১২. পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের পদ্ধতি একই।

সত্য কথা হল, এমন একটিও সহিহ হাদিস নেই যেখানে বলা হয়েছে যে পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের পদ্ধতি ভিন্ন ।

অভিযোগ ১৩. রাসূলুল্লাহ (সা.) এর একাধিক বিবাহে রাজনৈতিক পয়দা হাসিলের জন্য।

এখানে ডা জাকিরের বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। জাকির নায়েক তার "ইসলামে নারীর অধিকার” শীর্ষক আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন "প্রিয় নবী (স) এর একাধীক বিবাহের অনেকগুলো কারন ও যোক্তিক পয়েন্ট ছিলো। তার মধ্যে একটি ছিলো জনকল্যান ও সমাজ সেবা। যেমন হযর খাদিজা (র) এর সাথে বিবাহ। প্রিয় নবী (স) এর দুটি বিবাহ ছিলো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, একজন হযরত খাদিজা র. অপর জন হযরত আয়শা (র). এছাড়া মহানবীর প্রত্যেকটি বিবাহ ছিলো বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে। হয়তো সমাজের কোন সংস্কার, বিভিন্ন যোত্রের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ন সম্পর্ক সৃষ্টি কিংবা রাজণৈতিক ও ভৌগলিক কারন"। এই পুরা বক্তব্যের মাঝখান থেকে "রাজনৈতিক পয়দা হাসিলের জন্য" বলে বিকৃত উদ্ধৃতি নিশ্চন্দেহে অনুচিত। আর রাসুল (স) এর একাধিক বিবাহের মধ্যে কোনটির যদি রাজণৈতিক বিচোক্ষনতা থেকেই থাকে তাহলে তার এতো বিরুধীতা কেন এতো গুরুত্ব পূর্ন হয়ে গেলো??

অভিযোগ ১৪. ডাঃ জাকির নায়েক বলেন, ক্বাযা নামায পড়া লাগে না ।

এটি ডা জাকির নায়েকের রিবুধ্যে সম্পূর্ন মিথ্যা তথ্য। কাজা নামাজ আর উমুরি কাজা নামাজ দুটি আলাদা আলাদা বিষয়। জাকির নায়েক তার কোন লেকচারেই কাজা নামাজের বিপক্ষে বলে নাই। তবে উমুরী কাজা মাজারে ব্যাপারে শুধু ডা জাকির নয় আরবের আরো অনেকের ভিন্ন মত আছে। দীর্ঘ সুত্রতা পরিহার করে উভয় পক্ষ দলিল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তার সাথে আমাদের দ্বিমত থকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে উমুরি কাজা নামাজের "উমুরী" শব্দটা বাদ দিয়ে শুধু মাত্র "কাজা" নামাজ বলে চালিয়ে দেওয়া প্রকাশ্যে অন্যায় এবং ভন্ডামি।

অভিযোগ ১৫. ডাঃ জাকির নায়েকের সমাবেশে একসাথে নারী-পুরুষ, খৃষ্টান ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের ব্যপক প্রচার ও ব্যপক প্রসার ।

ডা জাকিরের সমাবেশে এক সাথে কোন মুসলামন নারি পুরুষ বসেনা। সবার জন্য আলাদা আলাদা কলাম ও সারি থাকে। তবে অন্যধর্মালম্বিদের এক সাথে বসতে দেখা যায়। কারন অন্যধর্মালম্বিদের পৃথক ভাবে বসতে বলার অধিকার ডা জাকির নায়েকের নাই। বিস্তারিজন নাজার জন্য পিস টিভি দেখুন।

অভিযোগ ১৬. ২ ওয়াক্ত নামায কে একত্রিত করণ সম্পর্কে ভ্রান্ত মতবাদ

এই প্রশ্নটির উত্তর আমি দলিল সহ দিচ্ছি। আমি জানি ২ ওয়াক্ত নামাজ একত্রে পড়া জায়েজ। তবে এতে ডা জাকির কোন ধরনের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করেছে তা জানিনা কারন এই কথাটারও তথ্য সূত্র দেওয়া হয়নাই। ব্লগ থেকে কপি করা: ১) عن ابن عباس قال: جمع رسول الله –صلى الله عليه وسلم- بين الظهر والعصر والمغرب والعشاء بالمدينة في غير خوف ولا مطر আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল (সাঃ) মদীনাতে বৃষ্টি ও ভয় ছাড়াও যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশার নামায একত্রিত করে আদায় করেছেন। (মুসলিম) টিকাঃহাদীছে বর্ণিত বৃষ্টি ছাড়াও কথাটি প্রমাণ করে যে বৃষ্টির সময় তখন দুই নামায একত্রে আদায় করার বিষয়টি সর্বসাধারণের কাছে পরিচিত ছিল। আমার পক্ষ থেকে লাগানো টিকা এ পর্যন্তই। ইমাম আলবানী (রঃ) বলেনঃ হাদীছে ভয় ও বৃষ্টির কথাটি এসেছে। এথেকে বুঝা যাচ্ছে যে, বৃষ্টির সময় দুই নামায একত্রে করে পড়ার বিষয়টি তাদের কাছে খুবই প্রসিদ্ধ ছিল। তিনি আরও বলেনঃ বৃষ্টির সময় দুই নামায একত্র করে পড়া জায়েয না হলে এখানে বৃষ্টির কথা উল্লেখ করা অর্থহীন। (দেখুন ইরওয়াউল গালীল, ৩/৪০) ২) মুস্তাহাযার রোগে আক্রান্ত মহিলাদেরকে রাসূল (সাঃ) একবার গোসল করে দুই নামায একত্র করে পড়ার আদেশ দিয়েছেন। ৩) তাবুক যুদ্ধে রাসূল যোহর-আসর এবং মাগরিব-ইশা একত্র করে আদায় করেছেন। (মুসলিম)সফরের সময় দুই নামায একত্র করে পড়ার হাদীছগুলো খুবই প্রসিদ্ধ। আলেমগণ বলেনঃ কষ্টের কারণে সফর অবস্থায় দুই নামাযকে একত্র করে পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর বৃষ্টি, অসুস্থতা, ভয়, প্রচন্ড ঠান্ডা ও বন্যার কারণেও প্রতি ওয়াক্তে যথা সময়ে মসজিদে গিয়ে নামায পড়া কষ্টকর। এই কষ্ট লাঘব করার জন্যও উপরোক্ত অবস্থায় দুই নামায একত্র করে পড়া জায়েয। সুতরাং এই অনুমতি গ্রহণ করাই আল্লাহর নিকট পছন্দনীয়। ৫) ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ যেমন তার নাফরমানী করাকে অপছন্দ করেন তেমনি তার রুখসতগুলো তথা যে সমস্ত ক্ষেত্রে তিনি অনুমতি দিয়েছেন, তা গ্রহণ করাও ভালবাসে। (মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে খুজায়মা। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন। দেখুন ইরওয়াউল গালীল হাদীছ নং- ৫৬৪) ৬) ইমাম মালেক (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নাফে (রঃ) বলেনঃ খলীফা ও আমীরগণ যখন বৃষ্টির সময় মাগরিব ও ইশার নামায একত্রে আদায় করতেন, তখন ইবনে উমারও তাদের সাথে উভয় নামায একত্র করে আদায় করতেন। দেখুন ইরওয়াউল গালীল হাদীছ নং- ৫৮৩) ৭) মুসা ইবনে উকবা (রঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ উমার বিন আব্দুল আযীয বৃষ্টি হলে মাগরিব ও ইশার নামায একত্রে আদায় করতেন। সাঈদ বিন মুসায়্যেব, উরওয়া ইবনুয যুবায়ের, আবু বকর বিন আব্দু রাহমানসহ সেই সময়ের বিজ্ঞ আলেমগণ আমীরদের সাথে তাই করতেন। তারা এর কোন প্রতিবাদ করতেন না। (দেখুনঃ ইরওয়া, ৩/৪০) উপসংহারঃসুতরাং কোন ইমাম যদি দুই নামায একত্রিত করে আদায়ের ক্ষেত্রে রুখসত (জায়েয হওয়ার বিধান) গ্রহণ করে এবং বৃষ্টির সময় উপস্থিত মুসল্লীদেরকে নিয়ে দুই নামাযকে একত্রিত করে আদায় করতে চায়, তখন ইমামের বিরোধীতা করা মুসল্লীদের জন্য বৈধ নয়। আরও স্মরণ রাখা দরকার যে এটি সুন্নাত ও মুস্তাহাব; ওয়াজিব বা ফরজ নয়। ইমাম মুনাভী (রঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি শরীয়তের হালাল, মুস্তাহাব ও সুন্নাত বিষয়গুলো পালন করতে অহংকার করবে তার দ্বীনদারী নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ্ তাআলা সুন্নাত ও মুস্তাহাব বিষয়গুলো পালন করাকেই পছন্দ করেন। আমাদের দেশে হাদীছের ব্যাপক চর্চা ও গবেষণা না থাকার কারণে দ্বীনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মুসলিমদের অজানা রয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের উচিত নিরপেক্ষভাবে হাদীছের ব্যাপক চর্চা ও আলোচনা করা। আল্লাহ্ আমাদের সেই তাওফীক দান করুন। আমীন।

অভিযোগ ১৭. জাকির নায়েক এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সালাত সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বাইবেল থেকে সালাতের ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং সালাতের শারীরিক উপকারিতা তুলে ধরেছে।

এখানে অভিযোগকারীকে সম্পূর্ণ ভিডিও টি দেখার আহবান করছি। তাহলেই বুঝতে পারবেন।

অভিযোগ ১৮. জাকির নায়েক বলেছেন যে, কুরআনের আগে বিজ্ঞান কোন ধর্মীয়গ্রন্থটি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিকর্তার কালাম, তার চুড়ান্ত পরীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব।

প্রথম কথাটির কোন দলিল নেই এবং দ্বিতীয় কথাটির বিরুদ্ধে বলা যায়, মুসলিম মনে করে কুরআনই আল্লাহর বানী, হিন্দু মনে করে বেদই ঈশ্বরের বানী, খ্রিস্টান মনে করে বাইবেলই ঈশ্বরের বানী। এখন কার কথা ঠিক এটা পরীক্ষা করা যেতে পারে বিজ্ঞানের সাহায্যে। যে গ্রন্থ আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে যাবে সেটাই হবে আল্লাহর বানী।

অভিযোগ ১৯. হায়েজ নেফাস অবস্থায় মহিলারা পবিত্র কুরআন স্পর্শ করতে পারবে।

অভিযোগ ২০. আরবী"হুর"শব্দটির অপ-ব্যাখ্যা

অভিযোগ ২১. হাদীস শরীফের অর্থ বিকৃতি করে ভ্রান্ত মতবাদ

অভিযোগ ২২. দাজ্জাল সম্পর্কে মন গড়া ভ্রান্ত মতবাদ

অভিযোগ ২৩. ফজরের আযানের পর সাহরী খাওয়া যাবে বলে ভ্রান্ত মতবাদ

অভিযোগ ২৪. ভূল অজ্ঞতা বা বাধ্যতার কারনে রোযা না ভাঙ্গার ভ্রান্ত মতবাদ

অভিযোগ ২৫. কাকড়া ও কচ্ছপ খাওয়া হালাল

অভিযোগ ২৬.কাফির শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে পার্থক্য টা শুধু মাত্র"রাজনৈতিক", আক্বীদা গত নয় ।

অভিযোগ ২৭. জাকির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, রূহ, জ্বিন, ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না। সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory of probably) দ্বারা বিশ্বাস করে।

অভিযোগ ২৮. জাকির নায়েক সুরা বাকারা এর আয়াত শরীফ ১০৬ ও ১০৮, সূরা আল ইমরান আয়াত শরীফ ২৯, সূরা নেহাল আয়াত শরীফ ৭৭ এবং সূরা ফাতির আয়াত শরীফ ১ ইত্যাদি উল্লেখ করে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু আল্লাহ পাক সব কিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। সে আরো বলেছে যে, আল্লাহ পাক সৃষ্টি করতে অক্ষম এমন ১০০০ জিনিসের তালিকা সে তৈরী করতে পারবে। যেমনঃ আল্লাহ পাক লম্বা বেটে মানুষ তৈরী করতে অক্ষম, আল্লাহ পাক তাকে উনার সৃষ্টি জগতের বাহিরে নিক্ষেপ করতে অক্ষম

অভিযোগ ২৯. বিশ্ব-বিখ্যাত যুগশ্রেষ্ঠ তাবেয়ী ও শ্রেষ্ট ফকীহ ইমাম আযম আবু হানীফা (রাহঃ) সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা অপ-প্রসার ।

উপরিউক্ত ১৯-২৯ অভিযোগগুলোর কোন তথ্য সুত্র নাই।তাই আশা করছি বিরোধীতাকারীরা উক্ত কথার তথ্য সূত্র দিবেন। সেই সংঙ্গে অবশ্যই জানাতে হবে তিনি কি কি মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন আর কোথায় কোথায় অপ-প্রসার করেছেন। যদি দিতে না পারে তাহলে বুঝতে হবে ডা জাকির কখনোই ঐ সব কথা বলেনাই, অথবা যেই ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে সেই ভাবে বলেনাই। বরং তার কথা বিকৃত করা হয়েছে ফেতনা সৃষ্টির জন্য।

উপরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের জবাব দেয়া হল। যদি আপনারা কেউ এটা না পরতে পারেন তাহলে দয়া করে নিচের ভিডিওটি দুটি দেখুন।

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা আলেম কামালুদ্দিন জাফরির মন্তব্য দেখুন


নিচের ভিডিওটি তে বক্তৃতা দিয়েছেন মদিনা ইউনিভারসিটিতে জাল ও জয়ীফ হাদিস বিষয়ে পি.এইচ.ডি রত বিশিষ্ট বক্তা শাইখ মুজাফফার বিন মহসিন।

https://www.youtube.com/watch?v=OWcoyHhGmcs


বিষয়: বিবিধ

১৮৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File