হায়াতুন্নবী বিষয়ে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আর আক্বীদা-বিশ্বাস কি ?

লিখেছেন লিখেছেন আবদুস সবুর ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:০৭:৪৭ দুপুর

‘হায়াত’ মানে জীবন। আর ‘আম্বিয়া’ নবী শব্দের বহুবচন। শাব্দিক অর্থ ‘নবীগণের জীবন’। পরিভাষায়- ‘ইন্তেকালের পর কবরে নবীগণের বিশেষ জীবন লাভ করাকে হায়াতুল আম্বিয়া বলে’। ওফাতের পর সকল নবী কবরে জীবিত। এ কথা শরয়ী দলিল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। তাই সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে শুরু করে চার শতাব্দীর অধিককাল পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে কোনরূপ দ্বিমত করেননি।

সর্বপ্রথম ৪৪৫ হিজরীতে মানছুর ইবনে মুহাম্মদ আল-কান্দারী নামক এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরে জীবিত থাকার উপর নানারূপ আপত্তি উত্থাপন করে। এবং এর উপর ভিত্তি করেই কিয়ামত পর্যন্ত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাত বাকি থাকাকে অস্বীকার করে। তখন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ইমাম আহমদ ইবনে হুসাইন আল-বাইহাকী রাহ. (মৃত্যু ৪৫৮ হি.) তার মত খণ্ডন করে ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ নামে একটি কিতাব রচনা করেন। এতে তিনি নবীদের কবরে জীবিত থাকা বিষয়ক আকীদার দলিল-প্রমাণ তুলে ধরেন।

(মাকামে হায়াত, পৃ. ৫৪)

এ থেকেই এ বিষয়টি ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। পরবর্তীতে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর সকল ইমাম, মুহাদ্দিস ও ফকীহ নবীদের কবরে জীবিত থাকার আক্বীদাকে ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ নামেই উল্লেখ করে আসছেন।

আরো বিস্তারিত জানার জন্য এই আলোচনাটি দেখার অনুরোধ রইল..

হায়াতুন্নবী বিষয়ে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আর আক্বীদা বিশ্বাস কি




বিষয়: বিবিধ

১৬৯৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

353996
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এক বোনের মন্তব্য, "ভাইয়া, আমার কাছে মনে হয়, এই ব্লগটা এখন অর্ধ মৃত"। তিনি যথার্থই বলেছেন, আপনাদের সম্মিলিত অনুস্পস্থিতি বিডিটুডের ভবিষ্যৎ নিয়ে পাঠকদের খুব ভাবাচ্ছে। আগের সেই সরগরম অবস্থা এখন আর নেই, এ আসেনা, ও আসেনা, সে আসেনা, তাই আমারও আসতে ভালো লাগে না, অতঃপর নিরুত্তাপ... এমন প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ।
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File