হিজবুত তাওহীদের প্রচারিত ==>“দাজ্জাল কোন ব্যক্তি নয়, দাজ্জাল হল ইহুদী-খৃষ্টান সভ্যতা”<== প্রচারের মূলে আসলে কি ???
লিখেছেন লিখেছেন আবদুস সবুর ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:০৯:০৩ রাত
“দাজ্জাল কোন ব্যক্তি নয়, দাজ্জাল হল ইহুদী-খৃষ্টান সভ্যতা” - এটা মূলত দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষকে খৃষ্টধর্মে দাখিল করার একটা চাল মাত্র . . . .
এরা মূলত সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই কথা প্রচার করতেছে। কারন যদি তাদের কথা সত্য তবে কুরআন মিথ্যা হয় আর খৃষ্টান ধর্ম সত্য হয়।
কিভাবে ?
ইহুদি-খিষ্টানদের সভ্যতাকে যদি দজ্জাল হয় তবে দাজ্জাল তখন আর কোন ব্যক্তি থাকে না, সে তখন রূপক অর্থে দাজ্জাল হয়ে যায়।
আর হাদীসে আছে, ঈসা আ. দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
এখন দাজ্জাল যদি রূপক হয় তবে ঈসা আ.ও রূপক ! অর্থাৎ ব্যক্তি দাজ্জালকে হত্যা করার জন্য তো ব্যক্তি ঈসা আ. আসতে হবে কিন্তু রূপক অর্থে দাজ্জালকে হত্যা করার জন্য তো রূপক অর্থে ইসা আ. আসতে হবে।
তো দাজ্জাল যদি রূপক হয়, তবে হাদীসে যে ঈসা আ. আসার কথা বলা হয়েছে উনি আর ব্যক্তি ঈসা আ. থাকেন না, রূপক ঈসা আ. হয়ে যান!!!
আর যদি সাধারন মানুষকে তারা যদি এই কথা বুঝাতে সক্ষম হয় যে, “ব্যক্তি ঈসা আ. নন বরং রূপক ঈসা আ. আসবেন” তাহলে তাহলে বুঝা যায় যে, ব্যক্তি ঈসা আ. আর দুনিয়াতে আসবেন না। আর তিনি যেহেতু আর পৃথিবীতে আসবেন না সুতরাং “তিনি মৃত”!!!!!!!
এখন ঈসা আ. মৃত এই আক্বীদা কার ? মুসলমানদের নাকি খৃষ্টানদের ???
সাধারন মানুষকে ঈসা আ. মৃত বিশ্বাস করাতে পারলে, না তার কাছে আর কুরআনের কথা সত্য থাকে, না খৃষ্টধর্ম মিথ্যা থাকে !!!
ফলাফল খৃষ্টধর্ম গ্রহন !!!!!!!!!!
বিঃ দ্রঃ হিজবুত তাওহীদ আর হিজবুত তাহরির এক নয়।
বিষয়: বিবিধ
৪৯৩৫ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তথাকথিত মুসলমান 'হেযবুত তাওহিদ' বরাবর আমার কিছু প্রশ্ন
কিন্তু কোন রিসপন্স পাইনি। এরা এমনই, কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করবে, কেউ চেপে ধরলে লেজ দু'পায়ের মাঝখানে চেপে দৌড়াবে।
২। আমি জানিনা আপনি বইটি পড়েছেন কিনা? যদি পড়ে থাকেন, এবং পড়ার পর বইয়ের কোন উপজীব্য/বিষয়বস্তু কিংবা মতামতের উপর আলোচনা না করে - বইটির শিরোনাম নিয়ে যে আলোচনা করলেন এবং যে উপসংহার টানলেন - এবং তার মাধ্যমে একটি সংগঠনকে যে ভাবে চিত্রায়িত করলেন - তাতে আমি অবাক ই হয়েছি। কারন সাধারনতঃ ইসলাম বিদ্বেষীদের দেখা যায় কোরান ও হাদীসের কোন একটা বাক্য কিংবা বাক্যাংশকে নিয়ে হুলুস্থুল কান্ড ঘটাতে এবং তার আলোকে পুরো ইসলামকে একটা বিশেষ ভাবে চিত্রায়িত করতে। তার উপর আল্লাহ আমাদেরকে অনুরূপ করতে না করেছেন - বরং সামগ্রিকতার আলোকে বিচার বিবেচনা করতে শিখিয়েছেন। আর আপনি ঐ ভদ্রলোককে খৃষ্ট ধর্মে দাখিল করার একটা চাল বলে মত দেওয়াতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আপনি ভুল করেছেন - আপনি ওনার লিখার এ্যাসেন্সটাই পান নি - অথবা বইটি পড়েন নি।
৩। ব্যক্তিগতভাবে আমি সংগঠনটি সম্পর্কে জানতাম না - আমি মনে করতাম হিজবুত তাহরির বুঝিবা একটিই সংগঠন। আমি আরো মনে করি একজন মুসলিম এর কোন সংগঠনের সাথে জড়িত হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই - সে মুসলিম এবং সকল মুসলিম তার ভাই - এটাই প্রথমতঃ মেনে নেওয়াটাই যথেষ্ট। তারপর ও ওদের পার্থক্যের বিষয়টা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
৪। দজ্জাল মানুষ নয়, বরং মসীহ আদ দজ্জাল মানুষ রূপে আবির্ভূত হবে, যে ইয়াহুদী হবে, শক্ত সমর্থ গড়নের হবে, কার্লি চুল থাকবে ইত্যাদি। যে পৃথিবী শাসন করবে (ধ্বংশপ্রাপ্ত শহর) জেরুজালেম হতে। যে নিজেকে 'মসীহ' ডিক্লেয়ার করার পর মাত্র ৩৭ দিন বেঁচে থাকবে। এবং ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মুসলিমদের অনেক ই তাকে মসীহ বলে মেনে নেবে। কিন্তু তার আগের ৩ দিন - যা বছরের মত ১ দিন, মাসের মত ১ দিন আর সপ্তাহের মত ১ দিন। তাতে সাধারন মানুষ কিংবা কেউই দজ্জাল বা প্রতারনা বা ডিসিপটিভ এই ফোর্সকে আইডেনটিফাই করতে পারবে না - ঠিক যেমন শয়তানকে আইডেনটিফাই করতে পারে না।
৫। আপনি আমি যেমন বলতে পারি (কনফার্ম করতে পারিনা) অমুক ক্লাবে শয়তানের আখড়া আছে - ঠিক তেমনি স্কলার রা আইডেন্টিফাই করতে পারেন বা পারবেন (কনফার্ম করতে পারবেন না) দজ্জাল কখন কোন ভূখন্ডে ছিল বা আছে।
আপনি বিস্তারিত জানতে বা বুঝতে হলে শায়খ ইমরান হোসাইন এর 'জেরুজালেম ইন কোরান' পড়ুন। অথবা ওনার ভিডিও দেখুন আখেরুজ্জামান এর উপর।
ধন্যবাদ।
প্রথম কথা হলো:"দাজ্জাল" নামক বইটিতে পন্নী একচেটিয়া হাদীস এনেছে নির্দিষ্ট একটি দৃষ্টিভঙ্গি স্ট্যাবলিশ করার জন্য। হাদীসের পরিভাষায় মিথ্যাবাদী-ভন্ডনবীদেরও 'দাজ্জাল' বলা হয়েছে।
আসলে দাজ্জাল সম্পর্কিত হাদীসসমূহ পাঠ করল আপনার দুরকম মনে হবে। (১) দাজ্জাল রূপক, (২) দাজ্জাল একজন মানুষ। হাদীসে আসলে দাজ্জালের ডান চোখ হবে অন্ধ। এবং সেই চোখটি হবে আঙুরের মতো। তার নাম হবে ইউসূফ। তার চুল হবে কোকড়ানো। ইত্যাদি. . . এগুলো কী রূপক মনে হয়? কিন্তু পন্নী সাহেব তো এসকল হাদীস আনেনি! কেন? কারণ সে তার নিজের মন মতো একটা মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।
তার বই থেকে শিক্ষার কথাটি বলেছেন! অথচ এই বইটি থেকে যতো না শিক্ষার বিষয় আছে, তার থেকে বিভ্রান্ত হওয়ার বিষয় রয়েছে!!!
আমি ঐ বই টি হতে যে গুরুত্বপূর্ন শিক্ষাটা পেয়েছি - সম্ভবতঃ তার মধ্যে সেরা টা হল - ইতিহাসে কোন কালেই, কোন সময়েই, কোন ভূখন্ডেই মানুষ মানুষকে শাসন করেনি মানুষের বানানো আইনে। এ নিয়ে পরবর্তীতে সেক্যুলার সোর্স সমূহেও আমি তার কথার ই প্রতিধ্বনী পেয়েছি।
বৃটেন মানুষকে মানুষের আইনে শাসন করার শুভ সূচনা করেছে এবং দুনিয়া ময় ছড়িয়ে দিয়েছে। এবং সেই সূচনাকে যদি আপনি
ইমরান হোসেন এর বই ও বক্তব্য সমূহ হতে লব্ধ জ্ঞান ও আনোয়ার আল আওলাকি র বক্তব্য সমূহ হতে প্রাপ্ত জ্ঞানের আলোকে বিচার বিবেচনা করেন - তবে হাদীসে দজ্জাল সম্পর্কে যা বলা হয়েছে - তা বুঝিবা আরো সত্য, আরো বিমূর্ত হয়ে উঠে, আরো পরিষ্কার হয়।
অবশ্যই মানুষ যা বিচার বিশ্লেষন করেন - তাতে ভুল হতেই পারে কিংবা হবে। আল্লাহই শুধু নির্ভুল জানেন।
ধন্যবাদ।
আপনার কাছে কেন মনে হলো উনি কোন এক অংশকে টেনে এনেছেন, আউট অফ কনটেক্সট? পুরো বইটাতেই এটাই বুঝানোর চেষ্ঠা করা হয়েছেন যে দাজ্জাল আসলে কোন মানুষ নয়, বরং আধুনিক সভ্যতা ও যন্ত্রকেই রূপক অর্থে দাজ্জাল বোঝানো হয়েছে।
তথাকথিত মুসলমান 'হেযবুত তাওহিদ' বরাবর আমার কিছু প্রশ্ন
আপনি বলেছেন,
ই পোস্টদাতার বিশেষ কোন দুরভিসন্ধি আছে
==>> পোষ্টটি ভুল প্রমান করে প্রমান করুন। কত কিছুই তো কতজনই দাবি করে . . . প্রমান করতে পারে ক-জন . . .
আচ্ছা বলেন তো, যাকে বা যে দুটো ধর্মের সম্মিলিত সভ্যতাকে যিনি দাজ্জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাদের মধ্যে একটি ধর্মকে গ্রহণে তিনি উতসাহিত করার জন্য বই লিখেছেন বা মত প্রকাশ করেছেন এটা কিভাবে মিলতে পারে?
আর একটা সাফ জবাব দিবেন আপনি কি উনার লেখা বইটি পুরো পড়েছেন? আমার মনে হয় না যিনি বইটি পড়েছেন তিনি এমন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন