কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত (বিস্তারিত)

লিখেছেন লিখেছেন আবদুস সবুর ০৮ জুন, ২০১৪, ০১:০৫:৫৫ দুপুর

ইদানীং কালে শবে বরাত নিয়ে মানুষদের মাঝে বিভিন্ন ধরণের দ্বন্দ দেখা দিচ্ছে। কেউ কেউ এর ফাযাইল বর্ণনা করছেন, আবার কেউ কেউ এর অস্তিত্বকেই পুরোদমে অস্বীকার করে বসছেন। আবার কেউ কেউ আমলের নামে অনেক বিধর্মীদের রেওয়াজও অনুসরণ করছেন। উম্মতের এই করুণ অবস্থায় যেখানে আমাদের এক হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া দরকার, সেখানে প্রতিষ্ঠিত বিষয়ে কলহ সৃষ্টি করা এবং এ নিয়ে মাতামাতি করা উম্মতের ঐক্যের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। তবে উম্মতের ঐক্যের পাশাপাশি, কোরআন সুন্নাহর সঠিক বুঝের অভাবে কেউ যেন কোন আমল থেকে বিচ্যুত না হয়ে পড়েন কিংবা আমলের নাম করে বিদআত বা শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত না হয়ে পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরী। কারণ আমরা সবাই জানি আল্লাহ পাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তাই ইবাদতে যাতে কম না হয় কিংবা ইবাদতে যাতে ত্রুটি না হয়, এজন্য আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

এতদিন পর্যন্ত শবে বরাতকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর মানুষ বাড়াবাড়িতে লিপ্ত ছিল। তারা এ রাতটি উপলক্ষে নানা অনুচিত কাজকর্ম এবং রসম-রেওয়াজের অনুগামী হচ্ছিল। উলামায়ে কেরাম সবসময়ই এসবের প্রতিবাদ করেছেন এবং এখনো করছেন।

আবার ইদানিং আবার এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ছাড়াছাড়ির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাদের দাবী হল, ইসলামে শবে বরাতের কোন ধারণা নেই। এ ব্যাপারে যত রেওয়ায়েত আছে সব মওযু বা যয়ীফ। এসব অনুযায়ী আমল করা এবং শবে বরাতকে বিশেষ কোন ফযীলতপূর্ণ রাত মনে করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। তারা এসব বক্তব্য সম্বলিত ছোটখাট পুস্তিকা ও লিফলেট তৈরী করে মানুষের মধ্যে বিলি করে।

বাস্তব কথা হল, আগেকার সেই বাড়াবাড়ির পথটিও যেমন সঠিক ছিল না, এখনকার এই ছাড়াছাড়ির মতটিও শুদ্ধ নয়। ইসলাম ভারসাম্যতার দ্বীন এবং এর সকল শিক্ষাই প্রান্তকতা মুক্ত সরল পথের পথ নির্দেশ করে।

শবে বরাত সম্পকে বিস্তারিত জানার জন্য বইটি ডাউনলোড করে পড়ুন। আশ‍া করি নতুন অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত (বিস্তারিত)

আরো বই ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

ইসলামিক বই

বিষয়: বিবিধ

৩১৬৮ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

232268
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:১০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সম্ভবত মুফতি দেলাওয়ার হোসেন সাহেবের একটি নির্ভরযোগ্য বই পড়েছিলাম।
শবেবরাতের তত্বকথা নামে সে বইটি ভালো লেগেছিলো ।
মূলকথা হলো শবেবরাতকে উপলক্ষ করে কিছু মানুষ ব্যাবসা করে সেটা পরিহার করা কর্তব্য।
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
178979
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই এটা মুস্তাহাব, তবুও সতর্কতা হিসেবে শিরক/বিদআত হতে বেঁচে থাকার জন্য মুস্তাহাব আমল বর্জন করাটাই শ্রেয়।
শবে বরাত শব্দটিই আপত্তিকর।
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
178990
আবদুস সবুর লিখেছেন : শিরক/বিদআত হতে বেঁচে থাকার জন্য মুস্তাহাব আমল বর্জন করাটাই শ্রেয়।

>>>

১৪০০ বছর পর নতুন বিদাআত চালু হল !!!
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
178992
আবদুস সবুর লিখেছেন : মূলকথা হলো শবেবরাতকে উপলক্ষ করে কিছু মানুষ ব্যাবসা করে সেটা পরিহার করা কর্তব্য।

সহমত +++

মুসলমান সবসময় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল আকড়ে ধরবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিদায়াত পরিহার করবে।
০৮ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
179158
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ওহিদ ভাই, শবে বরাত শব্দটি যদি আপত্তিকর হয় নামাজ-রোজা ইত্যাদি শব্দ আপত্তিকর হয় না কেন?
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
179351
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : শবে বরাত শব্দটি আপত্তিকর শুধু এজন্য বলিনি যে, এটি ফারসী শব্দ। বলেছি এর অর্থের জন্য। শবে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আর এটাকে ভাগ্য রজনী হিসেবে বিশ্বাস করাটাই ঈমান এর পক্ষে ক্ষতিকর। তাকদীর বিশ্বাসের বিপরীত এ ধারণা।

দুই একটি ‌হাদীসে(যেগুলি সহীহ, হাসান নাকি যয়ীফ এ নিয়ে বিতর্ক আছে) এসেছে ‌‍‘লাইলাতুল নিসফি বিন শাবান’ এর কথা যেখানে রাতটির মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো বিশেষ নিয়মে বিশেষ নামায বা তার ফযীলত এর কথা বর্ণিত হয়নি। নফল ইবাদত ঘরে করাই শ্রেয়।
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
179352
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আর নামায, রোযা না বলে সালাত, সাওম বলাই উত্তম।
232281
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই এটা মুস্তাহাব, তবুও সতর্কতা হিসেবে শিরক/বিদআত হতে বেঁচে থাকার জন্য মুস্তাহাব আমল বর্জন করাটাই শ্রেয়।

শবে বরাত শব্দটিই আপত্তিকর।
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
178989
আবদুস সবুর লিখেছেন : শিরক/বিদআত হতে বেঁচে থাকার জন্য মুস্তাহাব আমল বর্জন করাটাই শ্রেয়।

>>>

১৪০০ বছর পর নতুন বিদাআত চালু হল !!!
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫৯
178993
আবদুস সবুর লিখেছেন : যে জিনিষ কুরআন ও সুন্নাহ তে নেই তা ত কোনক্রমেই তর্কের খাতিরে মেনে নেয়া উচিত নয়।

তবে কুরআন ও সুন্নাহ সামনে আসার পর যদি তা গ্রহন করতে অন্তর বাধা দেয় তবে ভিন্ন কথা !!!
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:১১
179028
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : বক্তব্য খন্ডিত করে অর্থ বিকৃত করলে কিছু করার নেই।

আমি বুঝাতে চেয়েছি যেখানে শিরক/বিদয়াত এর ঝুুঁকি আছে, সেখানে একটি মুস্তাহাব আমল(স্বতসিদ্ধ প্রমাণিত নয়) বাদ দিলে আপনি হয়তো সে আমল এর সাওয়াব হতে বঞ্চিত হলেন। কিন্তু শিরক/বিদয়াত এর ঝুঁকি হতে বেঁচে গেলেন।
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
179041
আবদুস সবুর লিখেছেন : মোঃ ওহিদুল ইসলাম, আপনার মূল বক্তব্য ধরেই কথা বলেছি। যা আল্লাহ ও তার রসূল বলে জাননি আপনি নতুন করে তা বলে শুধু একটা নতুন বিদায়াত সৃষ্টি করলেন।

এতটুকুই বুঝাতে চাইলাম। আসলে যুগে যুগে নিজ নিজ চিন্তাধারা অনুযায়ী বিদায়াত ঢুকেই ইসলামের বারোটা বেজেছে।

ইসলাম যতটুকু, ততটুকুই। কোন কিছু বাড়তি বা কমতি করার কিছু নেই। নিজস্ব কোন যুক্তির এখানে কোন স্থান নেই।

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ধর্মের মাপকাঠি যদি যুক্তির উপর নির্ভরশীল হত, তবে মোজার উপরের অংশে মাসেহ না করে নিম্নাংশে মাসেহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হত। ... (আবু দাউদ, হাদীস নং-১৬২)
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
179044
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : জ্বি, মুস্তাহাব আমল বাদ দিলে কোনো পাপ হয়না। করলে সাওয়াব হয়। এটা আপনার জানার কথা ব্রাদার।
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
179063
আবদুস সবুর লিখেছেন : মুস্তাহাব বাদ দিয়ে পাপ হয় কি না এখানে কি এই বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা হচ্ছে !!!

ব্যক্তিগতভাবে কেহ মুস্তাহাব আমল ছাড়বে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু উম্মতকে এই ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা এটা তো সাক্ষাত শয়তানের কাজ হতে পারে। মুমিনের নয়।

মুমিন মানুষকে আমলের দিকে ডাকে, আমল থেকে দূরে সরায় না।
০৮ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
179173
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : চিরবিদ্রোহীলিখেছেন : ওহিদ ভাই, শবে বরাত শব্দটি যদি আপত্তিকর হয় নামাজ-রোজা ইত্যাদি শব্দ আপত্তিকর হয় না কেন?
232367
০৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
পবিত্র লিখেছেন : ধন্যবাদ। ভালো লাগলো।
232462
০৮ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন :
মা’আজ বিন জাবাল রযি থেকে, তিনি বলেন, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "আল্লাহ শাবানের অর্ধ রাত্রিতে সকল মাখলুকের দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) দেখেন অতপর মুশরিক ও হিংসুক ব্যাতিত সকলকে ক্ষমা করে দেন”(ইবনে হিব্বান, পৃ:১৯৮০, আল মাজলিস সাবে’, ২/৩, শুআ’বুল ঈমান ২/২৮৮/২, সিলসিলাতুল আহাদিস আস সাহিহা ৩/১৩৫ ইত্যাদি দ্রষ্টব্য)
শাইখ আলবানী সহ অধিকাংশ মুহাদ্দেসীনে কিরামের মতে হাদিসটি হাসান এবং এর রিজাল ‍"মাওসুখ"



হযরত আ’লা ইবনুল হারিছ রাহ. থেকে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে, আমার আশঙ্কা হল, তাঁর হয়তো ইনতেকাল হয়ে গেছে। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা! অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা! তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি তখন বললেন, এটা হল অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস'াতেই।-শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২,৩৮৩ (হাদীসটিকে মুহাদ্দেসীনে কিরাম "উত্তম" আখ্যা দিয়েছেন।


উপরের দুটি হাদীসের ১মটিতে লাইলাতুল নিফসি মিন শাবান-এর ফজিলত বর্ণিত, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা আছে-"আল্লাহ শাবানের অর্ধ রাত্রিতে সকল মাখলুকের দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) দেখেন অতপর মুশরিক ও হিংসুক ব্যাতিত সকলকে ক্ষমা করে দেন" অর্থাৎ এ রাত্রি বিশেষ অনুগ্রহের রাত্রি।

দ্বিতীয় হাদীসটিতে উল্লেখ আছে, রাসূল (সাঃ)ঐ রাত্রিতে কোন এক বিশেষ ইবাদতে মগ্ন ছিলেন- "তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি তখন বললেন, এটা হল অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই"

যেখানে স্বয়ং রাসূল (সাঃ) থেকে লাইলাতুল নিফসি মিন শাবান-বা শাবান মাসের অর্ধ রাত্রি বা শবে বরাতে বিশেষ ইবাদত ও এই রাত্রের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত, সেখানে এ বিষয়ে আপত্তি ওঠে কিভাবে!?
০৯ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
179354
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : শবে বরাত শব্দটি আপত্তিকর শুধু এজন্য বলিনি যে, এটি ফারসী শব্দ। বলেছি এর অর্থের জন্য। শবে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আর এটাকে ভাগ্য রজনী হিসেবে বিশ্বাস করাটাই ঈমান এর পক্ষে ক্ষতিকর। তাকদীর বিশ্বাসের বিপরীত এ ধারণা।

দুই একটি ‌হাদীসে(যেগুলি সহীহ, হাসান নাকি যয়ীফ এ নিয়ে বিতর্ক আছে) এসেছে ‌‍‘লাইলাতুল নিসফি বিন শাবান’ এর কথা যেখানে রাতটির মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো বিশেষ নিয়মে বিশেষ নামায বা তার ফযীলত এর কথা বর্ণিত হয়নি। নফল ইবাদত ঘরে করাই শ্রেয়।
০৯ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:১৩
179482
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : "আল্লাহ শাবানের অর্ধ রাত্রিতে সকল মাখলুকের দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) দেখেন অতপর মুশরিক ও হিংসুক ব্যাতিত সকলকে ক্ষমা করে দেন”
এটা কি ভাগ্যের বিষয় না?

তাহলে রাসূল (সাঃ)-এর ঐ রাতের বিশেষ ইবাদতকে কি বলবেন? হ্যাঁ, মসজিদে গিয়েই যে ইবাদত করতে হবে, এমন কথাটিতো কেউ বলছে না, বলছে ঐ রাতে ইবাদত করা বিষয়ে।

একটি ‌হাদীসে(যেগুলি সহীহ, হাসান নাকি যয়ীফ এ নিয়ে বিতর্ক আছে) এসেছে ‌‍‘লাইলাতুল নিসফি বিন শাবান’ এর কথা যেখানে রাতটির মর্যাদার কথা বলা হয়েছে

বিতর্কটা করছে কারা? কোন পক্ষে মতামত বেশি> আর যারা বিতর্ক করছে, তারা ইলমে হাদীসে কি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, ইমাম আহমাদ ইবনে তাইমিয়া, ইমাম আওযায়ী, ইমাম ইবনে রাজাব (রহ.)দের চেয়েও বড় হাদীস বিশারদ!?
তাহলে একটু দেখান কারা কারা হাদীসটিকে যঈফ সাব্যস্ত করেছেন?

আর, "শবে বরাত বা লাইলাতুল নিফসি মিন শাবান" উপলক্ষ্যে কোন বিশেষ ইবাদত করা জায়েজ নয়, এ মর্মে মোটামুটি ২০০ বছরের পুরাতন একটা ফাতওয়া দেখান।
234102
১২ জুন ২০১৪ সকাল ১১:১২
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : শবে বরাত আর লাইলাতুল নিসফে মিন শাবান কে এক করে দেখাই বড় আহাম্মকী। শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে কোনো হাদীসগ্রন্থে যয়ীফ এমনকি জাল বা বানোয়াট হাদীসও বর্ণিত হয়নি। এ রাতকে ভাগ্য রজনী বলে বিশ্বাস করা ঈমানের পক্ষে ক্ষতিকর।

কয়েকটি হাদীসে এসেছে লাইলাতুল নিসফে মিন শাবান এর কথা। এক্ষেত্রে ঘরে বসে নফল ইবাদত করা যেতে পারে। তবে হালুয়া রুটি, মসজিদে শোরগোল করা, যিকিরের নামে উচ্চস্বরে আওয়াজ করা, বিশেষ নিয়মে বিশেষ নামায পড়া- এগুলো সব বিদয়াত, পাপ।
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
180753
আবদুস সবুর লিখেছেন : ফার্সী ভাষায় ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত। ‘বরাত’ শব্দটি আরবী থেকে গৃহীত।

আরবী ভাষায় ‘বারাআত’ শব্দটির অর্থ বিমুক্ত, সম্পর্কছিন্নতা, মুক্ত হওয়া, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া ইত্যাদি।
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
180756
আবদুস সবুর লিখেছেন : হালুয়া রুটি, মসজিদে শোরগোল করা, যিকিরের নামে উচ্চস্বরে আওয়াজ করা, বিশেষ নিয়মে বিশেষ নামায পড়া- এগুলো সব বিদয়াত, পাপ
>>>

১০০% সহমত
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১০
180758
আবদুস সবুর লিখেছেন : এক্ষেত্রে ঘরে বসে নফল ইবাদত করা যেতে পারে।

>>>

মসজিদে গিয়েও ইবাদতে কোন সমস্যা দেখি না।
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১০
180759
আবদুস সবুর লিখেছেন : শাবান মাসের মাঝ রাতকে আরবীতে বলা হয় লাইলাতুন নিসফ মিন শা’বান। বিভিন্ন গ্রন্থে এই রাতকে লাইলাতুল বারাআ (ليلة البراءة) হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। আবুল আলা মুহাম্মাদ আব্দুর রাহমান বলেন,
هِيَ اللَّيْلَةُ الْخَامِسَةُ عَشْرَ مِنْ شَعْبَانَ وَتُسَمَّى لَيْلَةَ الْبَرَاءَةِ
এটা হচ্ছে শাবান মাসের ১৫ তারিখ এ রাতকে লাইলাতুল বারাআও বলা হয়।
{তুহফাতুল আহওয়াযী}
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১০
180760
আবদুস সবুর লিখেছেন : إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
নিশ্চয় আল্লাহ শা’বান মাসের মাঝ রাতে বান্দাদের দিকে দৃষ্টি দেন এবং সমস্ত সৃষ্টিকে ক্ষমা করেন শুধু মুশরিক ও অন্য মুসলিমের সাথে বিবাদে লিপ্ত ব্যক্তি ছাড়া।
{ইবনে মাযা/ كتاب إقامة الصلاة والسنة فيها/ باب ما جاء في ليلة النصف من شعبان}
{মিশকাত/ كتاب الصلاة/ باب قيام شهر رمضان - الفصل الثالث}
হাদীসটির অন্য একটি রেওয়ায়েত হলো,
يطلع الله إلى جميع خلقه ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن
এই হাদীসটির অর্থ পূর্বের হাদীসটির মতই শুধু শব্দগত কিছু পার্থক্য ছাড়া।
{তিবরানী, ইবনে হিববান, আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, সিলসিলাতুস-সাহীহা/১১৪৪}

শায়খ আলবানী সিলসিলাতুস সাহীহাতে বলেন,
حديث صحيح، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مخةلفة يشد بعضها بعضا وهم معاذ ابن جبل وأبو ثعلبة الخشني وعبد الله بن عمرو وأبي موسى الأشعري وأبي هريرة وأبي بكر الصديق وعوف ابن مالك وعائشة
এই হাদীসটি সহীহ। এটি বহু সংখক সাহাবী হতে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে যার একটি অন্যটিকে শক্ত করে। যেসব সাহাবা হতে হাদীসটি বর্ণিত আছে তারা হলেন, মুআজ ইবনে জাবাল, আবু ছা’লাবা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, আবু মুসা আল আশআরী, আবু হুরাইরা, আবু বকর আস-সিদ্দীক, আওফ ইবনে মালিক এবং আয়েশা ()।
{সিলসিলাতুস সাহীহা/১১৪৪}

যারা বলেন কোনো সহীহ হাদীসে শবে বরাত বা নিসফে শা’বানের ফজীলতের কথা উল্লেখ নেই তাদের কথা সঠিক নয়। আল্লামা নাসিরুদ্দীন আনবানী শেষের হাদীসটির ৮ টি সনদের উপর বিস্তারিত আলোচনার পর বলেন,
وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب والصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث، فما نقله الشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في " إصلاح المساجد " (ص ১০৭) عن أهل التعديل والتجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان حديث صحيح، فليس مما ينبغي الاعتماد عليه، ولئن كان أحد منهم أطلق مثل هذا القول فإنما أوتي من قبل التسرع وعدم وسع الجهد لتتبع الطرق على هذا النحو الذي بين يديك. والله تعالى هو الموفق
মোট কথা সমস্ত সুত্র একত্রিত করলে এই হাদীসটি সহীহ হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ অবশিষ্ট থাকে না। এখানে যা কিছু শর্ত পাওয়া গেছে তার চেয়ে অনেক কম শর্তে হাদীস সহীহ হয় যতক্ষণ না তাতে ভীষণ দূর্বলতা থাকে যেমনটি এই হাদীসে নেই। শায়খ কাসেমী রহেমাহুল্লাহ ‘‘ইসলাহুল মাসাজিদ’’ নামক কিতাবে জারহ্ ও তা’দীল শাস্ত্রের ইমামদের থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শা’বান মাসের মাঝ রাতের ফজীলত সম্পর্কে কোনো সহীহ হাদীস নেই তার এ মতের উপর নির্ভর করা যাবে না। যদি কেউ সাধারনভাবে একথা বলে থাকে তবে তা এই হাদীসের সমস্ত সনদকে একত্রিত কারার মতো কষ্ট শিকার না করে তাড়াহুড়া করে রায় দেওয়ার কারণে বলেছে। যেভাবে তুমি এখানে একত্রিত দেখতে পাচ্ছ আর আল্লাহই তওফীক দাতা।
{সিলসিলাতু আস সহীহা/১১৪৪}
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১১
180761
আবদুস সবুর লিখেছেন : ইবনে তাইমিয়া বলেন,
ومن هذا الباب ليلة النصف من شعبان فقد روى في فضلها من الأحاديث المرفوعة والآثار ما يقتضي أنها ليلة مفضلة وأن من السلف من كان يخصها بالصلاة فيها وصوم شهر شعبان قد جاءت فيه أحاديث صحيحة ومن العلماء من السلف من أهل المدينة وغيرهم من الخلف من أنكر فضلها وطعن في الأحاديث الواردة فيها كحديث إن الله يغفر فيها لأكثر من عدد شعر غنم بني كلب وقال لا فرق بينها وبين غيرها لكن الذي عليه كثير من أهل العلم أو أكثرهم من أصحابنا وغيرهم على تفضيلها وعليه يدل نص أحمد لتعدد الأحاديث الواردة فيها وما يصدق ذلك من الآثار السلفية وقد روى بعض فضائلها في المسانيد والسنن وإن كان قد وضع فيها أشياء أخر
এই অধ্যায়ের আর একটি বিষয় হলো শাবান মাসের মাঝ রাত। এ রাতের ফজীলতে বেশ কিছু মারফু হাদীস এবং আছার বর্ণিত আছে যা প্রমাণ করে যে এ রাতটি ফজীলতপূর্ণ। পূর্ববর্তীদের কেউ কেউ এ রাতে বিশেষভাবে সলাত আদায় করতেন। শাবান মাসে (সাধারনভাবে শাবান মাসে বিশেষভাবে শাবান মাসের মাঝ রাতের উদ্দেশ্যে নয় ) সওম পালন করা সম্পর্কেও বেশ কিছু সহীহ হাদীস বর্ণিত আছে। মদীনবাসী কোনো কোনো পূর্ববর্তী আলেম এবং অন্যান্য এলাকার পরবর্তী কিছু আলেম এর রাতের ফজীলত অস্বীকার করেছেন। তারা এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন যেমন যে হাদীসে বলা হয়েছে আল্লাহ কালব গোত্রের ছাগলের পশম পরিমান মানুষকে ক্ষমা করেন (এই হাদীসটি ঐ হাদীসটি নয় যেটিকে আলবানী সহীহ বলেছেন)। তারা বলেন এই রাতের সাথে অন্য রাতগুলোর কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু যে মতের উপর আমাদের মাযহাবের বা অন্যান্য মাযহাবের বহু সংখক বরং বেশিরভাগ আলেম রয়েছেন তা হলো এই রাতটি অন্যান্য রাতের উপর ফজীলত রাখে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বাল এর স্পষ্ট কথার মাধ্যমে এটিই জানা যায়। আর যেহেতু এবিষয়ে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং পূর্ববর্তীদের আমল সেসকল হাদীসকে সত্যায়ন করে। এই রাতের কিছু ফজীলত সুনান ও মুসনাদ গ্রন্ধ সমূহতে উল্লেখিত রয়েছে তবে এ রাত সম্পর্কে কিছু জাল হাদীসও রয়েছে।
{ইক্তিদাউস-সিরাত আল মুস্তাকীম}
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১১
180762
আবদুস সবুর লিখেছেন : তিরমিযী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তুহফাতুল আহওয়াজীতে বলেন,
اعْلَمْ أَنَّهُ قَدْ وَرَدَ فِي فَضِيلَةِ لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ عِدَّةُ أَحَادِيثَ مَجْمُوعُهَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ لَهَا أَصْلًا
জেনো নাও শাবান মাসের মাঝ রাত সম্পর্কে প্রচুর হাদীস এসেছে যা একত্রে প্রমাণ করে যে বিষয়টির শরয়ী ভিত্তি রয়েছে।
পরে তিনি একের পর এক বিভন্ন রেওয়ায়েতে উল্লেখ করে শেষে বলেন,
فَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ بِمَجْمُوعِهَا حُجَّةٌ عَلَى مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ لَمْ يَثْبُتْ فِي فَضِيلَةِ لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ شَيْءٌ وَاَللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ
অতএব এই সমস্ত হাদীস একত্রে তার বিরুদ্ধে দলীল যে দাবী করে শাবান মাসের মাঝ রাতের ফজীলত সম্পর্কে কোনো হাদীস প্রমাণিত হয়নি আর আল্লাহই ভাল জানেন।
{তুহফাতুল আহওয়াযী}
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১১
180765
আবদুস সবুর লিখেছেন : বিশেষভাবে ক্ষমার ওয়াদা করেছেন সেই রাতে কাকুতি মিনতি করে তার নিকট ক্ষমা চাইতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া, তওবা করা বা যে কোনো প্রকার দোয়া করার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কোনো ভাল আমলের মাধ্যমে দোয়াটিকে শক্ত করা যাতে দ্রুত কবুল হয়। বুখারী শরীফের তিন জন যুবকের কাহিনী হতে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যারা পাহাড়ের গুহাতে আটকা পড়ে গিয়েছিল। পরে একজনের পরামর্শে প্রত্যেকের ভাল আমল উল্লেখ করে দোয়া করলে আল্লাহ তাদের মুক্ত করেন।) তার বিপুল সংক্ষক বান্দাকে ক্ষমা করেন। যে রাত্রে আল্লাহ (যারা এ রাত্রের ফজীলত সম্পর্কে কোনো সহীহ হাদীস আছে বলে মনে করেন না তারা এ রাত এবং এর পরবর্তী দিবস উপলক্ষে যে কোনো আমল করা অবৈধ ও বিদআত মনে করেন। কিন্তু এ রাত্রের ফজীলত সম্পর্কে বহু সংক্ষক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যার কিছু সহীহ, কিছু দূর্বল আর কিছু পুরোপুরি অগ্রহনযোগ্য। মোটের উপর এতটুকু স্পষ্টই প্রমাণিত যে, এ রাত্রে আল্লাহ (
{সহীহ বুখারী/كتاب الإجارة/باب من استأجر أجيرا فترك أجره فعمل فيه المستأجر فزاد أو من عمل في مال غيره فاستفضل}
{সহীহ মুসলিম/كتاب الرقاق/باب قصة أصحاب الغار الثلاثة والتوسل بصالح الأعمال}

সুতরাং এই রাত্রে আল্লাহর পক্ষ হতে বিশেষভাবে ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ার মাধ্যমে সলাত, যিকির, কোরআন তেলাওয়াত করা প্রমাণিত হয়।

>>>>>>>>>>>>

ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন,
الذي عليه كثير من أهل العلم أو أكثرهم من أصحابنا وغيرهم على تفضيلها وعليه يدل نص أحمد
আমাদের মাযহাবের বা অন্যান্য মাযহাবের বহুসংখক বরং বেশিরভাগ আলেমের মত হলো এই রাতের ফজীলত রয়েছে। ইমাম আহমদের স্পষ্ট কথার মাধ্যমে এটাই প্রমানিত হয়।
{ইক্তিদাউস-সিরাত আল মুস্তাকীম}
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১২
180767
আবদুস সবুর লিখেছেন : ইমাম আন-নাববী বলেন,
قال الشافعي في الام وبلغنا أنه يقال إن الدعاء يستجاب في خمس ليال في ليلة الجمعة وليلة الاضحي وليلة الفطر وأول ليلة في رجب وليلة النصف من شعبان
ইমাম শাফেঈ তার কিতাব ‘‘আল-উম’’ এ বলেন, আমি জানতে পেরেছি পাঁচটি রজনীতে দোয়া কবুল করা হয় জুমআর রাত, ইদুল আদহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত, রজব মাসের প্রথম রাত ও শাবান মাসের মাঝ রাত।
এর পর তিনি উক্ত রাত সমুহতে পূর্ববর্তীদের কে কি আমল করতেন তা বর্ণনা করেন পরে বলেন,
قال الشافعي وانا استحب كل ما حكيت في هذه الليالي من غير ان تكون فرضا هذا آخر كلام الشافعي واستحب الشافعي والاصحاب الاحياء المذكور مع أن الحديث ضعيف لما سبق في أول الكتاب أن أحاديث الفضائل يتسامح فيها ويعمل علي وفق ضعيفها
ইমাম শাফেঈ বলেছেন, আমি এসব রাতে পূর্ববর্তীরা যা কিছু আমল করতো বলে বর্ণনা করেছি তা সবই মুস্তাহাব মনে করি ফরজ নয়। (ইমামা নাববী বলেন) ইমাম শাফেঈর কথা এই পর্যন্তই। তিনি এই রাত সমুহে আমল করা মুস্তাহাব মনে করেছেন যদিও এসব রাত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহ দূর্বল কারণ আমরা পূর্বেই বলেছি ফজীলত সংক্রান্ত ব্যাপারে দূর্বল হাদীস গ্রহনযোগ্য হয় এবং দূর্বলতা সত্বেও তার উপর আমল করা হয়।
{আল মাজমু’}
১২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১২
180768
আবদুস সবুর লিখেছেন : এই রাত্রিতে বর্জনীয় বিষয়সমূহ...

বাহরুর রায়েকে বলা হয়েছে,
وَإِسْرَاجُ السُّرُجِ الْكَثِيرَةِ فِي السِّكَكِ وَالْأَسْوَاقِ لَيْلَةَ الْبَرَاءَةِ بِدْعَةٌ وَكَذَا فِي الْمَسَاجِدِ
লাইলাতুল বারায়ার রাস্তা ও বাজার বা মসজিদ সমুহ বাতি দ্বারা শোভিত করা বিদআত ।
ইমাম আন-নাববী,
من البدع المنكرة ما يفعل في كثير من البلدان من ايقاد القناديل الكثيرة العظيمة السرف في ليال معروفة من السنة كليلة نصف شعبان فيحصل بسبب ذلك مفاسد كثيرة منها مضاهات المجوس في الاعتناء بالنار والاكثار منها ومنها اضاعة المال في غير وجهه ومنها ما يترب على ذلك في كثير من المساجد من اجتماع لصبيان وأهل البطالة ولعبهم ورفع أصواتهم وامتهانهم المساجد وانتهاك حرمتها وحصول أوساخ فيها وغير ذلك من المفاسد التى يجب صيانة المسجد من أفرادها
বছরের কিছু বিশেষ রাতে যেমন শা’বান মাসের মাঝ রাতে বিভিন্ন এলাকাতে বড় বড় ব্যায়বহুল বাতি প্রজ্বলিত করা হয় এটা নিকৃষ্ট বিদআত সমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। কেননা এর মধ্যে বহু অপ্রিতীকর বিষয় রয়েছে। যথা মাজুসীদের মতো আগুনকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া, অকারণে সম্পদ ব্যায় করা। তাছাড়া এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ছোট ছেলে মেয়ে ও কুপ্রকিতির লোকেরা মসজিদে একত্রিত হয় এবং খেল তামাশা করে ও হৈ চৈ করে। এভাবে তারা মসজিদের সম্মান বিনষ্ট করে, মসজিদ নোংরা হয় ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষতিকর কাজ একত্রে ঘটে যার কোনো একটি হতেও মসজিদকে পবিত্র রাখা উচিত ছিল।
{আল-মাজমু’}
234236
১২ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
আবদুস সবুর লিখেছেন : অনেক হাদীসবিদ শাবানের মধ্যরাতের ফযীলত রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেনঃ
১. প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) [ছিলছিলাতুল আহাদীস আস্‌সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯]
২. ইমাম আহমাদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [ইবনে তাইমিয়া তার ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে (২/৬২৬) তা উল্লেখ করেছেন]
৩. ইমাম আওযায়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [ইমাম ইবনে রাজাব তার ‘লাতায়েফুল মা‘আরিফ’ গ্রন্থে (পৃঃ১৪৪) তার থেকে তা বর্ণনা করেছেন]
৪. শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম ২/৬২৬,৬২৭, মাজমু‘ ফাতাওয়া ২৩/১২৩, ১৩১,১৩৩,১৩৪]।
৫. ইমাম ইবনে রাজাব আল হাম্বলী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)। [তার লাতায়েফুল মা‘আরিফ পৃঃ১৪৪ দ্রষ্টব্য]

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File