শিয়া আক্বীদার বিস্তারিত- ১ (বিষয়- শিয়া কালিমা ও মুসলমানদের কালিমা)

লিখেছেন লিখেছেন আবদুস সবুর ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৩৬:০৮ সকাল

►মুসলিমদের কালিমা◄

➲ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

(সহিহ ইবনে হিব্বান- হাদিস নং ২১৮, তাফসীরে ইবনে কাছির ৭/৩৪৬, তাফসীরে তাবারি ৯/৭৮, আদ দুররুল মাঞ্ছুর ২/৬৩২, ফাতহুল বারী ৮/২৫৮, )

►শিয়া কালিমা ◄

➲ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদু রাসূল্লাহ, আলীয়্যুন ওয়ালীউল্লাহ ওয়াসিয়্যু রাসূলিল্লাহ, খলীফাতুহু বিলাফসল।

{আকায়েদ দ্বীনিয়াত, বুক নং-১, ঈমামিয়া দ্বীনিয়াত, বাচ্চু কি দ্বীনী আওর আখলাকী কিতাব, পহলী কিতাব, প্রকাশক-ইমামিয়া এডুকেশন এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট, নম্বর-৬৮, শিবাজী রোড,শিবাজী নগর ব্যাঙ্গালোর-৫৬০০৫১, সংকলক, [কথিত] হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আলহাজ্ব সৈয়দ আসকারী রেজবী, ইমামে জুমআ করীমপুর, চতুর্থ প্রকাশ-মার্চ ২০০৩ ইং}

স্কিনশট দেখুন - শিয়া কালিমা

অথবা - শিয়া কালিমা

》যদি কোন ইহুদী মুসলিমদের কালিমার শেষে মুসা কালিমুল্লাহ শব্দ বাড়ায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে কোন মুসলিম মুসলিম বলবে?

✪ নিশ্চয় বলবে না। ইসলামের কালিমা তাই। যা রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত। যা চার খলীফা রাঃ সহ সাহাবায়ে কেরামের কালিমা ছিল। নতুন করে কালিমায় সংযোজন সুষ্পষ্ট কুফরীর আলামত।

》তাহলে কালিমা দুই অংশওয়ালাও মুসলমান আবার কালিমা ৫ অংশ ওয়ালাও মুসলমান! এটি কি করে সম্ভব?

》এ দুই দলের একদলকে মুসলমান মানলে অবশ্যই অন্যদলকে কাফির বলতে হবে। দুই দল একসাথে কিছুতেই মুসলমান থাকতে পারে না।

》এখন প্রশ্ন হল মুসলমান কারা হবে? আর কারাই বা কাফের সাব্যস্ত হবে?

►সহজ উত্তর◄

যেই কালিমার শিক্ষা রাসূল সাঃ দিয়েছেন, যে কালিমা সাহাবাগণ পড়েছেন। যেই কালিমা হযরত আবূ বকর রাঃ, হযরত উমর রাঃ, হযরত উসমান রাঃ এবং হযরত আলী রাঃ পড়েছেন, হযরত ফাতিমা রাঃ এবং হযরত হাসান রাঃ এবং হুসাইন রাঃ যে কালিমা পড়েছেন, শিয়াদের কাছে মান্যবর হযরত জাফর সাদিক, হযরত ইমাম বাকের রহঃ পড়েছেন, সেই কালিমা যারা পড়বে, তারাই মুসলমান। আর যারা তাদের পড়া কালিমায় বাড়াবে তারা কাফির হবে।

সুতরাং রাসূল সাঃ ও সমস্ত সাহাবাগণ ও আহলে বাইতের অনুসরণ করে কালিমার দুই অংশ বিশ্বাসীরা মুসলিম। আর তাদের বিরোধিতা করে কালিমার ৫ অংশ বিশ্বাসীরা কাফের।

কিয়ামত আসলেও কোন শিয়া রাসূল সাঃ থেকে, হযরত আলী রাঃ থেকে, হযরত ফাতিমা রাঃ থেকে, হযরত হাসান-হুসাইন রাঃ থেকে কালিমার ৫ অংশ প্রমানিত করতে পারবে না।

তাহলে রাসূল সাঃ এবং আহলে বাইত ও সাহাবাগণের বিরোধী আকিদায় বিশ্বাসীগণ কি করে তাদের মতই মুসলিম হতে পারে?

প্রশ্ন সম্মানিত পাঠকের নিকট . . .

বিষয়: বিবিধ

৩০৫৩ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

212553
২৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : আর যারা ইয়া গাউসিয়া শাইউল্লিলাহ ইত্যাদি বলে ?
০৪ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৪
165676
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এদের পথভ্রষ্ঠ হওয়ায় আপনার কি কোন সন্দেহ আছে?
212581
২৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
বিন হারুন লিখেছেন : Rose
২৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
160968
আবদুস সবুর লিখেছেন : ধন্যবাদ
212647
২৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
আহ জীবন লিখেছেন : শিক্ষণীয় বিষয়। আরও কিছু জানা থাকলে প্রকাশ করুন।
২৭ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৩
162079
আবদুস সবুর লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ
212651
২৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১১
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশে কোন ক্ষতি হচ্ছে না। নাস্তিক+হিন্দুরাই ইসলামকে বিকৃতি করতেছে। পালরে ওদের বিরোদ্ধিকিছু লেখেন। এইসব কথাবার্তা বাদদিয়ে সকল মুসলিমকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করাযায় সে চিন্তা করুন।
২৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
160967
আবদুস সবুর লিখেছেন : যারা মুসলমানই না তাদের আবার ঐক্যবদ্ধ করার কথা আসে কেন ভাই ?

অফ টপিক : আপনার নামের লবকের সাথে মিল আছে এমন একজন বিখ্যাত লোক শিয়া ছিলেন। আপনি কি শিয়া ? (জানার জন্য)
২৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
160987
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : আমি শিয়া, সুন্নি, কউমি, কিছুই নয়। আমি শুধু মাত্র মুসলিম। আমার এক মাত্র পরিচয় আমি মুসলিম।
২৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:০৪
161173
সমালোচক লিখেছেন : @আবদুস সবুর-

হারাম শরীফে অমুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ । শিয়ারা অমুসলিম হলে সৌদী সরকার তাদেরকে হারাম শরীফে প্রবেশ করতে দেয় কেন? মুসলিম বিশ্বের প্রথিতযশা উলামাবৃন্দ কেনো শিয়াদেরকে কাফির বা মুশরিক ঘোষণা করে ফতোয়া ঝাড়ছেন না এবং তাদের উপর নানাবিধ নিষেধাষ্ণা জারি করছেন না ? তারা কিভাবে এখনো বিভিন্ন মুসলিম সংস্থায় বহাল তবিয়তে আছে ?
২৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:২০
161530
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : ধর্মকে উপভাগ না করাই ভাল @সমালোচক
২৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
161572
আবদুস সবুর লিখেছেন : সমালোচক , চিন্তার কিছু নাই। আস্তে আস্তে সবই জানতে পারবেন।

কিন্তু পোষ্টের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন ?! কি ব্যাপার ???
২৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
161645
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : কেউ কাফের নয়। সবাই মুসলিম।
২৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩৩
161970
সমালোচক লিখেছেন : @এমরুল-
আপনি আমার প্রশ্নের উদ্দেশ্যটি ঠিকমতো ধরতে পারেননি । আমি ভাগাভাগির বিপক্ষে । আমি-ও আমার একমাত্র পরিচয় "মুসলিম" হিসেবে দেই এবং ঈমান আনয়নকারী অন্যান্যদের-ও ওভাবে দেখি যদিও অন্যান্যদের সাথে বিভিন্ন ব্যাপারে আমার মতানৈক্য আছে । ধন্যবাদ ।
২৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৩
161978
সমালোচক লিখেছেন : @আবদুস সবুর-
আপনি যে এই লেখা এখান থেকে নিয়েছেন তা উল্লেখ করা দরকার ছিলো ।

আমি ভাবছিলাম অন্যান্য পর্ব পড়ে মন্তব্য করবো । যাহোক, ১ম পর্বে আমার চ্যালেঞ্জ, কুরআন ও হাদীস থেকে সরাসরি ও দ্ব্যর্থহীন উদ্ধৃতি দিন যেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।" এই কালিমার সাথে কিছু সংযোজন করলে সে কাফির হয়ে যাবে । উপরের আলোচনায় আমি সেরূপ কিছু দেখিনি । আমি সেখানে দেখেছি যুক্তি-তর্কভিত্তিক (reasoning) আলোচনা মাত্র - কুরআন-হাদীসের দলীলভিত্তিক আলোচনা নয় । সুতরাং যার যার যুক্তি তার তার কাছে সঠিক ! এগুলো থেকে কোনো দ্ব্যর্থহীন সত্যে উপনীত হওয়া যায় না ।

মুসা যে কালিমুল্লাহ এবং আলী (এবং আরো অনেকে) যে ওয়ালীউল্লাহ্‌ সেটা কি মুসলমানরা বিশ্বাস করে না ?

ব্যাপারটা এই না যে, আমি শিয়াদের কালিমাতে সংযোজনকে পছন্দ করছি ! শিয়াদের আক্বিদার অনেক কিছুতে আমার ঘোরতর আপত্তি আছে কিন্তু এজন্য কালেমা পাঠকারী কাউকে কাফের আখ্যা দিতে আমার দ্বিধা লাগে । ইসলামের অনেক বিষয় সুস্পষ্টভাবে কুরআন ও হাদীসে সংজ্ঞায়িত না করার ফলে মানুষের মধ্যে মতভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে ... যেমন, আল্লাহ বা মহানবী (সাঃ) বলে দেননি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো কি কি ? সুতরাং বিভিন্ন মত-পথের মানুষ তাদের মতো করে সেটার ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে । পরকালে পরম করুণাময় আল্লাহ্‌ সেগুলোর ফয়সালা করে দিবেন । দয়াময় আল্লাহ্‌ নিশ্চয়-ই কালেমা পাঠকারীদের দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করতে আহ্লাদিত থাকবেন না ।

ধন্যবাদ ।
২৭ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৩
162078
আবদুস সবুর লিখেছেন : আপনি কমেন্টে বলেছেন,
আমি সেখানে দেখেছি যুক্তি-তর্কভিত্তিক (reasoning) আলোচনা মাত্র - কুরআন-হাদীসের দলীলভিত্তিক আলোচনা নয় ।

কিন্তু আপনার কমেন্টেই এই কথাটির প্রতিফলন দেখলাম। আমি আমার কালিমার রেফারেন্স দিলাম।

আর আপনি একবার বললেন,
মি শিয়াদের কালিমাতে সংযোজনকে পছন্দ করছি !
(কিন্তু কেন তা উল্লেখ করলেন না)

আর বললেন,
মুসা যে কালিমুল্লাহ এবং আলী (এবং আরো অনেকে) যে ওয়ালীউল্লাহ্‌ সেটা কি মুসলমানরা বিশ্বাস করে না ?

জনাব বিশ্বাস করা এবং নিজের কালিমা বানিয়ে নেয়ার পার্থক্য অনুধাবন করতে শিখুন।

মুসা আ. কে তো আমরাও নবী মানি, কিন্তু আমাদের নবী হিসেবে কাকে মানি ?

তর্কের খাতিরে তর্ক পছন্দ নয়।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩৪
162885
সমালোচক লিখেছেন : @আবদুস সবুর-
আপনি শিয়াদের কালিমার রেফারেন্স দিয়েছেন । ভালো কথা । আমি সেটা নিজে পরখ না করে-ও মেনে নিচ্ছি ।

কিন্তু আমার চ্যালেঞ্জ ছিলো - "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" -- এই কালিমার সাথে কিছু সংযোজন করলে সে যে কাফির হয়ে যাবে সে সম্পর্কে কুরআন ও হাদীস থেকে সরাসরি, সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন উদ্ধৃতি বা রেফারেন্স দিন ।

আপনি কিভাবে আমার উপর মিথ্যাবাদিতা চাপিয়ে দিচ্ছেন এই বলে যে, আমি নাকি শিয়াদের কালিমাতে সংযোজন পছন্দ করছি । আমার উত্তর আবার পড়ুন । আমি বলেছিলাম, "ব্যাপারটা এই না যে, আমি শিয়াদের কালিমাতে সংযোজনকে পছন্দ করছি !" এতে কি বুঝায় যে, আমি শিয়াদের কালিমাতে সংযোজন পছন্দ করছি ?! আপনি কেন "ব্যাপারটা এই না যে," বাক্যাংশটুকু বাদ দিয়ে আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করলেন ?
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
165327
আবদুস সবুর লিখেছেন : ভাই বলেছেন,
আমি সেটা নিজে পরখ না করে-ও মেনে নিচ্ছি ।

>>> আমি কিন্তু স্কিনশট দিয়েছি। তারপরও . . .

আপনি কালেমা নিয়ে আমাকে চেলেঞ্জ করলেন। বেশ।।।

মুসলমানদের কালেমা মানে হল, সে আল্লাহকে তার ইলাহ এবং মুহাম্মদ স. কে তার রসূল হিসেবে স্বীকৃতি দিল।

এখন কেহ যদি এই দুই বিষয়ে কিছু সংযোজন ও বিযোজন করে তবে সে মুসলমান থাকবে - এই ধারনা যদি কারো থাকে তবে তাকে বুঝানো তো আমার সাধ্যে নাই !!!

সূরা সফফাতের ১২৬ নং আয়াত এবং সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াত দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
০৪ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৪৭
165331
আবদুস সবুর লিখেছেন : আপনি পুরো বিষয়টাই বর্ণনা করে “ব্যাপারটা এই না যে” বললে তো আর হয়ে গেল না। আপনার প্রত্যেক কথা ধরে ধরে জবাব দিয়েছি। সাথে কিছু প্রশ্নও করেছি, প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেলেন কেন ?
০৪ মে ২০১৪ রাত ১০:৪৭
165677
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ভাই এমরুল কায়েস ভুট্টো, আপনি শিয়া সুন্নি কিছুই না হলে তো সুবিধাবাদী হয়ে গেলেন! শিআ ফেতনার উত্থানের সাথে সাথেই হকপন্থি উলামায়ে কিরামের সম্মিলিত ফাতওয়া অনুযায়ী শিআদের অমুসলিম ঘোষনা করা হয়েছে, যেমনিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে। এদেরকে কেউ মুসলমান মনে করলে তারও ঈমান শুদ্ধ থাকবে না এটাই উলামায়ে হক্বের সম্মিলিত মতামত।
212916
২৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫৩
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : বিশেষ ঘোষণা
মানবঐক্যেরপথেপ্রধান বাঁধা বিশ্বের তিনটি অভিশপ্ত জাতি (১) ইয়াহুদী মুসলমান (২) খৃষ্টান মুসলমান (৩) মোহামেডান মুসলমান ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে ওযাইর আল্লাহর ছেলে।
খৃষ্টানরা বলে, আল্লাহ আছেন তবে ঈসা আল্লাহর ছেলে। মোহামেডানরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে “আহাদ” আর “আহ্মাদ” এর মধ্যে মাত্র একটি “মিম” অক্ষরের তফাত। মিম মুছে ফেললেই “আহ্মাদ” আহাদ” অর্থাৎ আল্লাহ হয়ে যায়। আল্লাহর নূরে মুহাম্মাদ তৈরী, আর নূরে মুহাম্মাদী দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি। মুহাম্মাদ না হলে বিশ্বে সৃষ্টি হতো না। এদের কলেমা, কালেমা তাওহীদের সাথে মুহাম্মাদ সঃ কে একাকার করে বলা, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্।” আরবী ব্যাকরণ মতে যার অর্থ দাঁড়ায় ঃ “নাই কোনো উপাস্য আল্লাহ ব্যতিত, তিনিই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। অতএব, দেখা যায় যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা অর্ধেক মুশ্রিক, আর মোহামেডানরা ষোলো আনা মুশ্রিক। তাই বিশ্বময় আল্লাহ মোহামেডান মুসলমানদের ইয়াহুদী খৃষ্টানদের গোলাম দশায় অভিশপ্ত করে রেখেছেন। তাহলে বাঁচার উপায় কি? উপায় হলো, আল্লাহ ও তাঁর আখেরী নবী সঃ যেভাবে কলেমা পড়তে ও বলতে বলেছেন। তা'হলো, আমরা যেভাবে আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে (আত্তাহিয়্যাতে) কলেমা উচ্চারণ করি ঃ أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد الرسول الله আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ আশ্হাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ুওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد عبده و رسوله এসো হে আদম সন্তান মানব জাতি, আমরা সঠিকভাবে কলেমা পড়ে মুস্লিম ও মু’মিন হই। فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ আল্লাহ বলেছেন, জেনে নাও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (সূরা মুহাম্মাদ-১৯)
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন ঃ قولوا لا إله إلا الله تفلحواو من قال لا إله إلا الله دخل الجنة যে-ই বলবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” জান্নাতে যাবে। শেষ নবী সঃ কোথাও, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেন নি। যে কেউ জেনে তা বলবে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ন্যায় ওযাইর ও ঈসা আঃ কে আল্লাহর শরীক বানানোর পাপে মুশ্রিক ও কাফের হয়ে যাবে। (তওবা-৩০) وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ ۖ يُضَاهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ (তাওবা-৩০) এতো দিন যারা না জেনে ভুলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেছে ও লিখেছে, তারা তওবা করে এখন থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কালেমা তাইয়েবা ও তাওহীদ পড়ে ঈমান নবায়ন করবে। ঘরে, মসজিদে, অফিসে, স্থাপনায় ও যেখানে যেখানে “লা ইল্লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে লেখা আছে, তা মুছে ও সরিয়ে ফেলবে। এখন থেকে পৃথক পৃথক কলেমা তাইয়েবা ও কালেমা রিসালাত পড়বে, লিখবে ও শিখাবে। যেমন সালাতের আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে আছে। তবেই তাওহীদ ভিত্তিক মুস্লিম উম্মাহ সৃষ্টি হয়ে বর্তমান অচল অবস্থা দূর হয়ে বিশ্বে আল্লাহ, রাসূল ও আল্ র্কোআন ভিত্তিক উম্মার জয় হবে। রহমতের বিশ্বায়ন হবে মানব জাতি এক জাতি হবে। তাওহীদ ও কলেমা তাওহীদের উত্থানই ইমাম মাহ্দী ও হযরত ঈসা আঃদের বিপ্লবের সূচনা করবে। বর্তমান প্রচলিত শির্কী কলেমা সে উত্থানের পথে বাধা। আজ থেকে সবাই তাওহীদের পতাকা ধারণ করো ও বলো ঃ لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আযান ও এক্বামতের শেষে তাই আছে। আল ক্বোরআনে আল্লাহ তাই বলতে নির্দেশ করেছেন।
২৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
161569
আবদুস সবুর লিখেছেন : ভাই, আপনি কি হাদীস অস্বীকারকারী আহলে কুরআন (শিয়া) দলের সদস্য ?
২৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
161622
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : আবদুস সবুর, আমি হাদীস স্বীকারকারী, মুসলিম। আর শিয়া সুন্নী উভয়ই কাফের!
২৭ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৪
162081
আবদুস সবুর লিখেছেন : ধন্যবাদ পরিচয় পরিষ্কার করার জন্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File