শেয়ার করে জনমত তৈরিতে এগিয়ে আসুন ।

লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ সারওযার সুমন ১৩ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৫১:০৬ বিকাল

এই যে বিটিভি কিংবা বেতারে আযান প্রচার করা হয়- এটা 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' থাকার কারনেই বাধ্য হয়ে করা হয়, তা নাহলে আযানের সময়টাতেও নাচ-গান-সিনেমা দেখানো হত। এখনো প্রশাসনের কোন কাজ শুরুর পূর্বে কুরআন তেলাওয়াত করা হয় কেন জানেন? কেবলমাত্র 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' থাকার কারনে। স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ইউনিফর্মে ওড়না রাখা অনেকটা বাধ্যতামূলক কেন জানেন? রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারনে। সংবিধানে ইসলাম থাকার গুরুত্ব অনেকেই অনুধাবন করতে পারছেন না। তারা বলছেন- যে সংবিধানে ইসলামের কোন নামগন্ধই নেই, সেটাতে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম থাকলেই কি আর না থাকলেই কি? আমি তাদেরকে বলতে চাই- থাকা এবং না থাকা যদি সমান হত- তাহলে নাস্তিকরা এটা অপসারন করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করত না, আদালতে রিট দায়ের করত না, এত প্রচার প্রচারনা চালাতো না। অবশ্যই এর গুরুত্ব আছে, যা আমরা পুরোপুরি অনুধাবন করতে না পারলেও ওরা পারছে। কারন ওরা আমাদের চেয়ে অনেক ফাস্ট এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন।

.

এদেশের আইনকানুন পুরোপুরি ইসলামসম্মত নয়- এই অজুহাত দেখিয়ে যেটুকু আছে সেটুকুও বিসর্জন দিতে হবে এমন যুক্তির পক্ষে নই আমি। নাই মামার চেয়ে আপাতত কানা মামাই ভাল। তাহলে এই কানা মামাকে অন্তত একদিন সুস্থ মামায় পরিণত করার আশা থাকে।

.

হয়তো জানেন, একটা সময় তুরস্কে আরবীতে আযান দেয়া নিষিদ্ধ ছিল। এই আইনটা জারী করার পূর্বে সবার আগে কিন্তু ঐদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিতে হয়েছিল।

সংবিধানে এই একটা পরিবর্তন ভবিষ্যতে আরো অসংখ্য ইসলামবিদ্বেষী আইন জারীর সুযোগ করে দেয়। আসলে এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা এক ধাপ এগোতে চাইছে, এতে সফল হলে পরবর্তী ধাপে চলে যাবে। নাস্তিকরা দেখতে চাইছে- দেশের মানুষ এটাকে কিভাবে নেয়। যখন তারা দেখবে সাধারন মানুষের এটা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া নেই তখন তারা আরো সাহসী হয়ে উঠবে। আরেকটু বেশি মাত্রার ইসলামবিদ্বেষী আইন জারী করার উদ্যোগ নিবে। তাই এই ষড়যন্ত্র ঠেকানোর এখনই উপযুক্ত সময়। দেরী হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকবে না।

.

আমি মনে করি, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকার এই ইস্যুটা তাসকিন-সানির ইস্যুর চেয়ে হাজারগুন বেশি গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, এমনকি রাষ্ট্রের ৮০০০ কোটি টাকা চুরি গেলেও এতটা ক্ষতি হবে না যতটা ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' তুলে দিলে।

.

(শেয়ার করে সর্বত্র ছড়িয়ে দিন, যাতে সাধারন মানুষ এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হয়)



বিষয়: বিবিধ

১৩০৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362344
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:০১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি ভালো লাগলো আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যে জাতির প্রধান খাদ্য বাত তা সংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত না হলেও কিছু যায় আসেনা। কিন্তু ইসলামযে আমাদের পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা তা কিন্তু আমরা মেনে নেওয়ার চেষ্ঠা করছি না।এর জন্য তৈরী হওয়া উচিৎ।
362345
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:২২
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

ঠিক বলেছেন
সবার ই বিষয়টা নিয়ে লিখা দরকার
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৪
300264
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনি এবার দাঁত কেলানোটা একটু বন্ধ করেন! এমনিতে বমির কথা শুনে ঘেন্না করতেছে, তার উপর আবার খালি দাঁত কেলায়!
১৩ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:২৬
300297
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : Frustrated Frustrated Waiting Waiting phbbbbt phbbbbt Crying Crying Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Broken Heart Broken Heart Broken Heart Liar Liar Tongue Tongue
১৩ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:২৯
300298
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : Frustrated Frustrated Waiting Waiting phbbbbt phbbbbt Crying Crying Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Broken Heart Broken Heart Broken Heart Liar Liar Tongue Tongue আপনার ইচছা হলে আপনি ও কেলান Tongue Tongue
অন্যেরটা দেখে এত হিংসা হয় কেন ??Rolling on the Floor Rolling on the Floor
362346
১৩ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৫
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
থাকা এবং না থাকা যদি সমান হত- তাহলে নাস্তিকরা এটা অপসারন করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করত না, আদালতে রিট দায়ের করত না, এত প্রচার প্রচারনা চালাতো না।


এই অংশটুকু খুবই ভালো লেগেছে। যৌক্তিক কথা।
362359
১৩ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩২
আনিসুর রহমান লিখেছেন : State religion Islam is our ID AND a great barriers to turn this country as a part of Ram state or Ram Rajatro.
That is why it is very very hard to preserve that ID. Because their hands are very strong.
362373
১৩ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : শুধু তাই নয়৷ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার পও ইসলামিক ফাউণ্ডেশণে ইমাম প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে ফিরিঙ্গী নাচ৷ নীল ফামারীতে মসজিদের উঠানে দূর্গা পূঁজা, খুলনায় মাদ্রাসা বন্ধ রেখে তরই পিছনে দূর্গাপূঁজা, স্টেডিয়ামে খেলার উব্দোধনে বাইতুল মুকার্রমের আজান বন্ধ৷ খোদ সংসদ চত্তরে স্বরসতী পূঁজা৷ এসব কেমন করে মূল্যায়ণ করবেন? এতে কি ইসলামকে দাঁড় করিয়ে তার সামনে তাকে অপমান করা নয়৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File