"বাংলাদেশে শরিয়াহ ক্বায়েম নেই, তাই রাষ্টধর্ম ইসলাম থাকলেই কি আর বাদ পড়লেই কি" এমন প্রশ্ন যাদের মনে তাদের জন্য এই লিখাঃ
লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ সারওযার সুমন ১২ মার্চ, ২০১৬, ০৭:৩১:১৫ সন্ধ্যা
বাংলাদেশে পর্দার আইন নেই। বড় একটি অংশ পর্দার বিধান লঙ্ঘন করছে। এখন আমরা বলতে পারি না, মেয়েরা বিকিনি পড়লেই কি আর শালোয়ার-কামিজ পড়লেই বা কি। বাংলাদেশে প্রকাশ্যে সিনেমা হলে মুভি দেখানো হয়। পর্ণ দেখানো শুরু হলে আমরা বলতে পারি না মুভি যেখানে দেখানো হচ্ছে পর্ণ দেখালেই বা কি। অশ্লীলতা বা পাপাচারকে কোনক্রমেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। যথাসম্ভব, টুঁটি চেপে এদের রুখতে হবে। এই যুক্তিগুলো জাহিলদের। তারা বলে গান শোনি, মুভি দেখি তাই নামায পড়ি না। একটি গুণাহ আরেকটি গুণাহের অনুমতি দেয় না। বরঞ্চ, গুণাহ খোলে দেয় তাওবার দরজা। আপনি যদি কোন গুণাহ করেন তো আপনার উচিত বেশি করে নেক আমল করা যেনো আপনার অন্য গুণাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আপনি যদি গা ছেড়ে দেন, আর গুণাহের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যান, ক্ষমা না চান। তবে কখনো আল্লাহর রহমত পাবেন না। কিন্তু যদি আল্লাহর কাছে ভুলের জন্য ক্ষমা চান নিশ্চয় পৃথিবীর সমস্ত গুণাহের চেয়েও আল্লাহর রহমতের ভাণ্ডার অনেক বিশাল। তেমনি আমাদের রাষ্ট্র শরিয়ত থেকে দূরে, এর মানে এই না যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম না থাকলে কিছু না। বরঞ্চ আমাদের উচিত আমরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার জন্য অনেক বেশি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো, পাশপাশি দেশে যেনো শরয়তি রাষ্ট্রব্যবস্থা ক্বায়েম হয় সে প্রচেষ্টাও করতে থাকবো। দেশের মানুষ শরিয়াহ সম্পর্কে সচেতন নন। এই সুযোগে তাদের মাঝেও শরিয়তি রাষ্ট্রের জরুরত তোলে ধরে তাদের মধ্যেও সচেতনতা জাগ্রত করতে পারি। পজিটিভলি চিন্তা করুন। শয়তান তো চায় আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাই।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন