বিশ্বনিন্দিত পর্নোস্টারকে বাংলার পবিত্র মাটিতে এখনই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হোক!
লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ সারওযার সুমন ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ১২:৫৪:৩০ রাত
যখন বিশ্বব্যাপী চলছে পর্নোগ্রাফি বর্জনের
প্রশংসনীয় জাগরণ, ঠিক তখনই বাংলাদেশে চলছে
পর্নোস্টারদের বরণের ন্যক্কারজনক আয়োজন!
সত্যিই অবাক হওয়ার মত একটি বিষয়।
পর্নোগ্রাফি আসক্তদের পর্নো বিমুখ করতে
বিভিন্ন দেশে চলছে নানা আয়োজন।
.
কারণ, পর্নোস্টারদের নানান ঢংয়ের অশ্লীল
ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে যুবসমাজ আজ ধ্বংসের
দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। যে এর প্রতি আসক্ত
হয়েছে, তার জীবনযৌবন দুটোই ধ্বংসন্মোখ।
.
কিছুদিন আগে একটি অনলাইন নিউজের রিপোর্টের
মাধ্যমে জানতে পারলাম বর্তমানে নেট কিংবা
ফেসবুকে বিচরণকারীদের মধ্যে শতকরা ৮০%
ইউজার পর্নো ভিডিও বা ছবি তালাশে লিপ্ত
থাকে। এটি কারো জন্য খুশির সংবাদ নয়।
.
বিভিন্ন দেশে পর্নোগ্রাফি ধারণ করার উপর
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পর্ণোস্টারদের
সতর্ক করা হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা বা ব্রিটেন
ইত্যাদি কোনো দেশেই এখন আগের মত অবাধে
পর্নোগ্রাফি ধারণ করতে পারছেনা। এটি
প্রশংসনীয় একটি ভালো উদ্যোগ।
.
কিন্তু, অত্যন্ত দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় হচ্ছে
এর সম্পূর্ণ বিপরীত গতীতে এগুচ্ছে বাংলাদেশ! যে
দেশে শতকরা ৯০% মুসলমান সে দেশে নাকি বিশ্বের
শ্রেষ্ঠ পতিতাদের অন্যতম নষ্টা বেহায়া,
নির্লজ্জ, জাহান্নামের কীট 'সানি লিওন'কে
ভাড়ায় আনা হচ্ছে!
.
আশ্চর্য! সত্যিই আমি অবাক না হয়ে পারছিনা।
সম্প্রতি ভারতীয় মুসলিম নামধারী এক
জাহান্নামের কীট বাংলার পবিত্র মাটিকে অপবিত্র
করে আমাদের অন্তরে যে ক্ষোভের জন্ম দিয়ে
গেছে সে ক্ষোভ এখনো আমাদের অন্তরকে
ক্ষতবিক্ষত করে তুলছে। এখনো ভুলতে পারছিনা
আমরা সেই বেহায়াপনার কথা।
.
কিন্তু এ আবার কি শুনছি? এমনিতেই যুকব-যুবতীরা
পর্নো আসক্ত হয়ে নীতি নৈতিকতা হারাচ্ছে।
ইভটিজিং, ধর্ষণের মত জঘন্য, অভিশপ্ত ও ঘৃণিত
অপরাধের সম্মুখীন হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার
বিশ্বনিন্দিত বেশ্যাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ
জানানো আর জ্বলন্ত আগুনে জ্বালানি তৈল
ঢেলে দেওয়া একই নয় কি?
.
ঢাকায় আসছে বিশ্ব পতিতাদের সর্দারণী সানি
লিওন, স্টেজ শো দেখার সর্বনিম্ন টিকেট ১৫,০০০
টাকা!! সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা। সত্যি বলতে কি,
এখন আমি নিজেও আমার প্রিয় মাতৃভূমিকে মুসলিম
রাষ্ট্র বলে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করি।
.
বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা করতে চাইলে তোমাদের
দেশেই করো, যে দেশ ধর্ষণের স্বর্গরাজ্য হিসেবে
বিশ্ব দরবারে পরিচিত। আমরা আর কোন বেহায়া
পতিতাকে বাংলার পবিত্র মাটিতে পা রাখতে দিতে
চাইনা! এর বিরুদ্ধে এখনই দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে
তোলা সময়ের অপরিহার্য দাবী।
.
এ দাবীকে সামনে রেখে সব জায়গায় সর্বস্তরের
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এগিয়ে আসা দরকার।
আপাতত অনলাইনে হলেও আমাদের কিছু একটা
করা দরকার বলে আমি মনে করি। সুতরাং বন্ধুগণ
আমি আশা করবো, কীভাবে কী করা যেতে পারে
সবাই নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাকির নায়েকদের ফিরিয়ে দেওয়া যেমন ইসলামিস্টরা রোধ করতে পারে নি তেমনি সানির আগমনও উনারা ঠেকাতে পারবেন না ।
যে দেশে ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমা তরুন তরুনিদের নাচের ইভেন্ট রাখা হয় সেখানে সানির মত কেউ এলে বরং আযান বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে যাতে তার পারফরমেন্সে কোন বিঘ্ন না ঘটে এবং উপস্থিত দর্শকেরা যাতে তাদের পয়সার পূর্ণ উসূল পেয়ে যায় ।
এমনও হতে পারে যে ইফার কোন অনুষ্ঠানে সানিকে বিশেষ অতিথি হিসেবেও ডাকা হবে।
ঐ দিন যদি ঢাকার রাস্তায় স্মরনকালের ভয়াবহতম যানজট লেগে যায় সেটাও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন