বজরঙ্গি ভাইজান যদি একটা হিন্দু মেয়ের লেখা- পড়ার দায়িত্ব নিতে পারে, তাহলে আমরা কেউ কেন মহিলা মাদরাসায় পড়বে একটা ছোট্ট মেয়ের লেখা-পড়ার দায়িত্ব নিতে পারবো না!
লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ সারওযার সুমন ০২ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৪৬:১১ সন্ধ্যা
গত বুধবার আমার ছোট বোনকে নিয়ে সিলেটের গহরপুরে অবস্থিত সুলতানপুর মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করার জন্য নিয়ে গেলাম। যেহেতু মৌলভীবাজারে সেই মানের কোন মহিলা মাদরাসা এখনো হয়নি!
সিএনজি করে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় ড্রাইভার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন এতদূর থেকে কেন সেখানে যাওয়া। বললাম, বোনকে মাদরাসায় ভর্তি করাবো। একথা বলতেই বেচারা ড্রাইভার সাহেব বলে উঠলেন, আমার একটা ছোট মেয়ে আছে। ইচ্ছে ছিলো কোন মহিলা মাদরাসায়। পড়াবো। কিন্তু খরচের কারণে.....
আমি বললাম, চিন্তার কারণ নেই। যেহেতু আপনার নেক ইচ্ছা। ইনশা'আল্লাহ একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আল্লাহ কুদরতিভাবে এর একটা ফয়সালা করে দিবেন। আপনার ফোন নাম্বারটা দিন। দেখা যাক কী হয়। বেচারা বিস্ময় দৃষ্টিতে অপলক নয়নে শুধু আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ফোন নাম্বার দিলেন।
এখন কথা হলো! হিন্দি ফিল্ম বজরঙ্গি ভাইজান-এর মূক বালিকার ভূমিকায় দর্শকদের মুগ্ধকরা অভিনয়কারী ছোট্ট হর্ষালি মালহোত্র'র লেখা- পড়ার দায়িত্ব নেবে। অভিনেতা সালমান খান এবং পরিচালক কবির খান বলে নিউজ প্রকাশ হয়েছে। এমনকি এটাও প্রকাশ হয়েছে যে, লেখা- পড়া বাবত অলরেডি এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে গেছে।
শুনে খুশী হলাম। আলহামদুলিল্লাহ....তবে মুসলিম একটা মেয়ের যদি লেখা-পড়ার দায়িত্ব নেয়া হত, তাহলে কতইনা ভালো হত। যুগ যুগ ধরে ইসলামের ফায়দা হত, আর ফেরেশতারা নেকীর খাতায় সওয়াব লিখতে থাকতেন। ফলে জান্নাতের পথ সুঘম হত।
যাহোক! ব্যস্ততার কারণে ব্যক্তিগতভাবে এই মেয়েটির লেখা-পড়ার জন্য কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। বর্তমানে আমি অন্যান্য দিকে জড়িত আছি বিধায় আমার পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই আপনাদের কাছে আরজ করলাম। বিশেষ করে আমাদের সিলেটিরা বিষয়টা একটু বিবেচনা করবেন।
বজরঙ্গি ভাইজান অথবা সালমান খান এবং কবির খান যদি একটা হিন্দু মেয়ের লেখা- পড়ার জন্য কোটি টাকার উপরে দিতে পারে, তাহলে আমরা অবস্থাশালীরা কেন মহিলা মাদরাসায় পড়বে ছোট্ট মেয়েকে প্রতি মাসে পনেরো শ' থেকে দু' হাজার টাকা দিতে পারবো না!
আশাকরি কেউ না কেউ, আল্লাহর কোন বান্দা এগিয়ে আসবেন। আমার কাছে মেয়ের পিতার ফোন নাম্বার আছে। যোগাযোগ করতে নিতে পারবেন।
ইনশা'আল্লাহ! দুনিয়া- আখেরাতে আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন। কেননা, এই মেয়েটি দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। একটা ফ্যামেলী তার পরশে আলোকিত হবে। দ্বীনদার-নামাযী হবে। এভাবে চলতে থাকবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত। আর সওয়াবের অংশীদারী হবেন আপনিও। জাযাকুমুল্লাহ..
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা অতি সহজেই অপচয় রোধ করে একাধিক দরিদ্র ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে পারি।
Share the phone number.
Thanks.
মন্তব্য করতে লগইন করুন