আজ " ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ " এর ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ সারওযার সুমন ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০৬:০৯ বিকাল
আজ " ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ " এর ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের ২৪শে জানুয়ারী গঠন করা হয় আদর্শ ছাত্র সংগঠন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ। তাই ছাত্র জমিয়তের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সবা প্রাণঢালা অভিনন্দন ও জমিয়তী শুভেচ্ছা।
↓↓↓ছাত্র জমিয়ত প্রতিষ্ঠার ইতিহাস↓↓↓
.
নব্বইর দশক। শিক্ষালয়ে চলছে অস্ত্র চালনার সবক। নকলবাজী, দখলবাজীর যন্ত্রণায় কুলশিক্ষার্থী সমাজ কাতর। বই-খাতা-কলমের বদলে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে গোটা কলেজক্যাম্প্যাস আতংকের মুখে। রাজনীতির নামে চলছে নিরীহ ছাত্রদেরকে পরকালের টিকিট ধরিয়ে দেয়ার মচ্ছব। প্রতিদিন ঝরছে হাজারো ফুটন্ত গোলাপ। বুক চাপড়াচ্ছে সন্তানহারা হতভাগা মা-বাবা। এককথায় গোটা দেশ ছাত্ররাজনীতির মরণ ছোবলে সাপেকাটা রোগীর মতো কাতরাচ্ছে। অধীর অপেক্ষায় একজন আলো-দিশারীর। এক পরম কান্ডারীর। তখনি হাল ধরলেন আলেমসমাজ ছাত্ররাজনীতির পালে আদর্র্শের হাওয়া লাগতে 1991 সালের 12 ডিসেম্বর "সন্ত্রাস নয় সম্প্রীতি, ছাত্রজমিয়তের মূলনীতি" শ্লোগান দিয়ে ব্যক্তি গঠন ইসলামী শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি নিয়ে গঠন করেন শতাব্দীর সেরা আদর্শ সংগঠন তারুণ্যের প্রাণের স্পন্দন মুক্তির মোহনা, সত্যের ঠিকানা-ছাত্রজমিয়ত বাংলাদেশ।
↓↓↓↓↓↓↓↓↓বৈশিষ্ট্য↓↓↓↓↓↓↓↓↓
.
ছাতজমিয়ত আরো দশটা সংগঠনের মতো ভূঁইফোড় কোন সংগঠন নয়। তার রয়েছে স্বর্ণালী ঐতিহ্য, গৌরবময় ইতিহাস। বাতিলের ত্রাস সে হকের সমাজ। তার নেতৃত্বে রয়েছে হক্বপন্থীদের সরব উপস্থিতি। আর আক্বীদার ক্ষেত্রে তো ছাত্রজমিয়তের জুড়ি মেলা ভার। ফিতনা-ফাসাদের এ যুগে ছাত্রজমিয়তই আপনাকে দিচ্ছে 100% বিশুদ্ধ আক্বীদার গ্যারান্টি। সাথে সাথে দিচ্ছে আমল-আখলাক শুদ্ধির সবক। ছাত্রজমিয়ত তাই অনন্য। অতুলনীয় স্বতন্ত্র তার মর্যাদা। উন্নত তার বৈশিষ্ট্য।
↓↓↓↓↓লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য↓↓↓↓↓
.
.
(1)সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণ:
বর্তমানে ছাত্ররাজনীতি ও সন্ত্রাস সমার্থবোধক শব্দে পরিণত হয়েছে। কলেজ-ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজদের দাপট মেধাবী ছাত্রদের মনে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপারে জুজুর ভয় সৃষ্টি করে দিয়েছে। ফলে মেধাবীদের নেতৃত্ব থেকে বনঞ্চিত হচ্ছে দেশ। তাই আদর্শভিত্তিক রাজনীতি চচার্র মধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে সন্ত্রাসের ভূত তাড়াতে ছাত্রজমিয়ত সদা তত্পর।
(2)খিলাফাই আলা মিনহাজিননুওয়াহ প্রতিষ্টা:
মানব-সমাজে শান্তির সুবিমল বাতাস চালু করতে হলে ইসলামী হুকমতের বিকল্প নেই। ছাত্রজমিয়ত সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। ইসলামের সুমহান আইন মানব-জীবনের প্রতিটি স্তরে বাস্তবায়িত করে মানুষের ইহলৌকিক পরলৌকিক উত্কর্ষে ছাত্রজমিয়ত বদ্ধপরিকর।
↓↓↓↓↓সাংগঠনিক স্তর↓↓↓↓↓
প্রশিক্ষণ ও কাজের সুবিধার্থে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রদের তিনটি স্তরে বিন্যস্ত করা হয়েছে।=
(1) সমর্থক (2) সদস্য (3) কর্মী।
!______সমর্থক______!
আহলুসুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদার বিশ্বাসী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় সংহতিতে আস্থাশীল যে সব শিক্ষার্থী ছাত্রজমিয়তের নীতি-আদর্শের সাথে ঐকমত পোষন করবে তাকে সমর্থক বলে গন্য করা হবে।
!______সদস্য______!
ছাত্রজমিয়তের নীতি আদর্শ কর্মসূচি, কর্মপন্থা ও গঠনতন্ত্রের সাথে ঐকমত পোষণকারে যেকোনো ছাত্র সংহগঠনের সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে সদস্যপদ লাভ করতে পারে।
!________কর্মী________!
ছাত্রজমিয়ত যে সদস্য সংগঠনের প্রাথমিক সিলেবাসের বইগুলো অধ্যয়ন করবে, ইসলামী জিবন-যাপন অভ্যস্ত হবে, সর্বোপরি সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কর্মসূচী ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বাত্নক প্রয়াসী হবে ছাত্রজমিয়তের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মী হিসেবে গন্য করা হবে।
!--ছাত্র জমিয়তের আহবান--!
ছাত্র জমিয়ত দেড়-যোগের কিশোর হলেও সাফল্য তার অনেক। ছাত্র জমিয়ত তাই একটি আদর্শ সংগ্রাম। এক রুহানী বিপ্লব। সে সবাইকে ইলমী,আমলী ময়দানের প্রতিটি বাঁকে অবদান রাখার মতো যোগ্য করে গড়তে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মিলিত হও, অংশ নাও সেই আকাবিরদের মিছিলে,যাদের দ্বীন ও জাতি রক্ষার উপাখ্যান আজও প্রেরণা যোগায়। দেরি কেন? তাড়াতাড়ি! কন্ঠ মিলাও কবির সাথে!
"কুতবে আলাম শায়খে আ'জম দেখালেন মোরে পথ,রেখে গেলেন মোদের তরে তার প্রিয় জমিয়ত।
হস্তে নিয়ে উক্বাব নিশান বক্ষে লব কোরআন, বজ্রকন্ঠে উচ্চারিব জিহাদের জয়গান"।
বিষয়: বিবিধ
৩৩৮৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশ্ববিদ্যালয় গুলাতে তো তাদের দাওয়াত চোখে পড়েনা।
মাদ্রাসার ছাত্ররা তো মাদ্রাসা থেকে দ্বীনি শিক্ষা পায়।
স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় কারা দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দিবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন