জাকির নায়েক যেভাবে পথভ্রষ্ট হলেন!!!

লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ সারওযার সুমন ০৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৫৭:২৮ দুপুর

প্রথম কথা হলো জাকির নায়েক

নিজে নিজে কোরআন-হাদীস

পড়ে মাওলানা হয়েছেন।

কোনমাদ্রাসায় যান নাই এবং তার কোন

ওস্তাদবা শিক্ষক ছিল না। এই

ধরনের

লোকেরা সাধারণত ইসলামের মূল

স্পিরিট বা মর্ম

বুঝতে পারেন না। ফলে নিজেও পথভ্রষ্ট হয়

এবং সাথে সাথে তার

অনুসারীদেরকেও পথভ্রষ্ট

করে। ইতিহাসে এমনটাই

দেখা গেছে। এই রকম

বেশকয়েকজন লোক আছেন যারা নিজে নিজে কোরআন-হাদীস

পড়ে লেংড়া মাওলানা হয়েছেএবং কোটি

করে জাহান্নামে পাঠিয়েছে ।

নিজে নিজে কোরআন-

হাদীস পড়ে যদি হেদায়েত

পাওয়া যেতো, তবে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের

দিয়ে সাহাবায়ে কেরামদের

নিকট কোরআন-হাদীস

পাঠিয়ে দিতেন। ওস্তাদ

হিসাবে আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-

কে পাঠাতেন না। আমরা যদি সোনালী যুগের

মুসলমানদের ইতিহাস

পড়ি তাহলে দেখতে পাই যে,

তখনকার মুসলমানরা একেকজন শত-

শত এমনকিকেউ কেউ

হাজারে হাজার ওস্তাদের কাছ

থেকে ইলমে শরীয়ত

শিক্ষা করতেন এবংশত-শত

পীর-আওলিয়ার কাছ

থেকে ইলমে মারেফাত

শিক্ষা করতেন। এজন্য তাদের জ্ঞান অর্জন

ত্রুটিমুক্ত ছিল। এখনকারদিনেও

যারা মাদ্রাসায়

ইলমে দ্বীন শিড়্গা করেন, তারাও

অনত্মত পাঁচথেকে দশ জন

ওসত্মাদের সহায়তা পেয়ে থাকেন।

কিন'যার নিদেনপড়্গে পাঁচ জন

ওসত্মাদওনাই,

তারপড়্গে পথভ্রষ্ট হওয়াখুবই

সহজ। এই ধরনের লোকেরা সহজেই

কোন জাহান্নামী ফেরকায় যোগ

দেয় অথবা নিজেই কোন পথভ্রষ্ট

দল / গোমরাহ

ফেরকার সৃষ্টি করে।

সৌদি আরবের অভিশপ্ত শয়তান

আবদুল ওয়াহ্্হাব নজদী একশ বছর

আগে যেই ওহাবী ফেরকার জন্ম

দিয়ে গেছে,

সৌদি রাজারা তেলের টাকা খরচ

করে সেই জাহান্নামী মতবাদ

সারা মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সড়্গম

হয়েছে।

জাহান্নামী ওহাবীদের গত একশ

বছরের

সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো জাকির

নায়েকের মতো একজন শ্রেষ্ট

বক্তাকে টাকা দিয়ে তাদের

দলে ঢুকাতে পারা। জাকির

নায়েকের কোন ইনকাম

নাই, তার

টিভি চেনেলগুলোতে কোন বিজ্ঞাপনও

প্রচার হয় না। বিষেশজ্ঞদের

মতে, তার

টিভি চেনেলগুলো চালানোর খরচ

কোটি কোটি টাকা সৌদি ওহাবীরা

মহলের মতে, সারা দুনিয়ার ৯৫% ভাগ

সুন্নী আলেম-

ওলামা এবং মাদ্রাসা জেনে নাজে

হয়ে পড়েছে। আর এদেরকে প্রকৃত

সুন্নী আদর্শে ফিরিয়ে আনা যে কত

কাজ তা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে।

আলেমরা কেন জাকির নায়েক-

কে ঘৃণা করে?

আসলে কোরআন-হাদীসে বিশেষজ্ঞ

হওয়ার কারণে আলেমরা জাকির

নায়েকের ১০ মিনিটের

লেকচার শুনেই সে যে অভিশপ্ত

ওহাবী মতবাদ

প্রচার করে তা বুঝতে পারেন।

কিন'সাধারণ মুসলমানরা কোরআন-

হাদীস সম্পর্কে যথেষ্ট

জ্ঞান না থাকার কারণে জাকির

নায়েকের লেকচার

১০ বছর শুনেও

তা বুঝতে পারবে না।

সত্যি বলতে জাকির নায়েক কোন আলেম না,

বরং সে হলো তুলনামূলক

ধর্মতত্ত্বের

(Comparative religion) একজন

পন্ডিত (অর্থাৎ কোরআন, বাইবেল,

গীতা, ত্রিপিটকইত্যাদি - ধর্মগ্রন্থে কি কি মিল

এবং অমিল আছে, সেই বিষয়ের

বিশেষজ্ঞ)।

সে যতদিন তার বিষয় নিয়ে ছিল,

ততদিন কোন ভূল

করেনি এবং কারো সমালোচনার শিকারও হয়নি।

কিন্তু যখনই সে আলেম/

মুফতী না হয়েও বিভিন্ন

বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া শুরু করল,

তখনই

সে মারাত্মক সব ভুল করতে শুরু করল এবং আলেম

সমাজের নিকট তীব্র সমালোচনার

টার্গেটে পরিণত

হলো। যদিও আহমদ

দীদাতকে জাকির নায়েকের

ওস্তাদ মনে করা হয়, কিন্তু সত্যি বলতে কি তাদের

দুজনের মধ্যে দেখা-সাক্ষাত

খুবকমই হয়েছে। কারণ

দুজনের বাড়ি দুই

মহাদেশে,হাজার মাইল দূরে।

আহমদ দীদাতসারাজীবনতা -ঁর সাবজেক্ট নিয়েই ছিলেন,

কখনও আলেম-মুফতী সেজে সব

বিষয়ে ফতোয়া দিতে শুরু করেন

নাই।

তাছাড়া আহমদ দীদাত ছিলেন

পাকিস্তানের বিশ্বখ্যাত আলেম ওপীর

ডঃ তাহের উল কাদেরীর

মুরীদ। সুযোগ্য পীরের সান্নিধ্য

এবং পথনির্দেশনার কারণেই

অভিশপ্ত

ওহাবীরা আহমদ দীদাতকে ব্রেনওয়াশ

করতেপারে নাই,

কিনতে পারে নাই। এইজন্যআহমদ

দীদাত মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সকলের

নিকট

সম্মানিত ও সকল বিতর্কের উর্ধে ছিলেন।

বিষয়: বিবিধ

৪৩৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File