ডিবেটস অন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (পর্ব-০২)
লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৫৪:৩৮ দুপুর
[খিলাফাত আ’লা মিন হাজিন নবুয়াহ কায়েমের আগ পর্যন্ত এ বিতর্ক চলবে। কারণ দেশে দেশে এখনও সেই বিদয়াতি রাজতন্ত্র/স্বৈরতন্ত্র চলছে... এবং কোথাও কোথাও ইসলামের মুখোশ পরেই... কথিত আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের নাকের ডগার উপর দিয়ে। তা'ই আলোচনা হুবহু তুলে রাখলাম। আগামী দিনের খিলাফাতের কান্ডারীদের জন্য...। এ প্রসঙ্গে দেয়া আরেকটি পোস্ট ছিলো- সমালোচনা কাকে বলে আজও জানা হলো না,… আসুন, সরাসরি সেখানকার কমেন্ট-রিপ্লাইতে যাওয়া যাক!]
Saifuddin Mahmud Plabon: ইয়ারমুকের যুদ্ধে আবু সুফিয়ান যখন পিছু হটছিলো তখন হিন্দার তাড়া খেয়ে আবার যুদ্ধে গিয়েছিলো। হিন্দা খুব ডেডিকেটেড নারী যখন যে বিশ্বাসে থাকে সে, তবে মক্কা বিজয়ের ঠিক আগ মূহুরতে আবু সুফিয়ানের ইস্লাম গ্রহন মাঝে মাঝে খুব টেকনিকাল মনে হয়। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে সাহাবী সমালোচনার উরদ্ধে থিওরিকে সাপোরট করি না, এবং আমি মনে করি এই ফতোয়া দিয়ে মুয়াবিয়ার বিতরকিত চরিত্রের আলোচনা বন্ধ করা পসিবল হবে না। সেই দৃষ্টিভকোন থেকে মাঝে মাঝে এক্টা প্রশ্ন জাগে যে উসমানের হত্যাকারিদের কাছ থেকে খেলাফত গ্রহন করাটা কি আলীর অবসথান কে বিতরকিত করে না?
রিপ্লাইঃ
খিলাফাতে রাশেদার মধ্যেও আলীর খিলাফাত ছিলো নির্বাচন ও অবসানের দিক থেকে অধিকতর নিষ্কলুশ! কিভাবে?... আলীকে যখন খিলাফাতের দায়িত্ব নিতে সবাই বলেছে, তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে বলেছেন, যদি তোমরা আমাকে চাও'ই তাহলে মসজিদে নববীতে চল, খলিফা নির্বাচন প্রকাশ্যে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে হওয়াই বাঞ্চনীয়! এবং সর্বসাধারণের অবাধ অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর খলিফা নির্বাচন!
আর হযরত উসমানের দুঃখের দিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন হযরত আলী, শুধু সংকটের দিনগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলেই আপনি ক্লিয়ার হয়ে যাবেন! যেদিন উসমান শাহাদাত বরণ করেন, সেদিনও উনার বাড়ীর মূল ফটকে দু'পাশে দাঁড় করিয়ে গেছেন, তাঁর দুই সন্তান হাসান এবং হোসাইনকে, উন্মুক্ত তরবারি হাতে, যাতে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে!(এবং মূল ফটক দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারেনিও)! উসমানের প্রতিপক্ষের কাউকে কাউকে চিহ্নিত করা গেলেও তাঁর হত্যাকারী আসলে আইডেন্টিফাইড ছিলো না, এবং সেরকম কাউকে আলী প্রেফার করেছেন বলে জানা নেই। থাকলে বলতে পারেন, আমিও দেখবো...
…ও আচ্ছা অবসান। অবসানের দিক থেকে নিষ্কলুশ এজন্য বলি- মৃত্যুশয্যায় উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো- আপনার পরে আমরা কি ইমাম হাসানকে খলিফা বানাবো? আপনি আমাদের জন্য অসিয়ত করে যান। উনি বলেছেন- আমি তোমাদের সে অবস্থায় রেখে যেতে চাই, যে অবস্থায় রাসূলুল্লাহ তাঁর উম্মতদের রেখে গিয়েছিলেন! অর্থাৎ, তোমাদের যাকে খুশি তাকে বানাও!...
Saifuddin Mahmud Plabon: thanks vai ক্লিয়ার হলাম অবশেষে।
Ismail Azhari: নিজে নিজে ঘরে বই পড়লে আপনার মত অজ্ঞ ইসলামিক স্কলার তৈরি হবে
অনেক অনেক,
রিপ্লাইঃ
কেনো ভাই, ভুল কিছু বলেছি?...বললে সংশোধন করে দেবেন, আপনারা যারা ঘরের বাইরেও বই পড়েন!...
Ismail Azhari: স্টাটাস পুরাই ভুলে ভরা,
কোন একজন আলেম কে দেখিয়ে নিয়েন।।
রিপ্লাইঃ
দু'একটা বলুন না, প্লিজ!...
Ismail Azhari: ঠিক বলতে কিছু নাই ভাইয়া
আপনার আগের পোষ্ট গুলি থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় ছিল,
কিন্তু এই পোষ্ট সমপুর্ন ফেতনায় ভরপূর্ণ
জাযাকাল্লাহ
রিপ্লাইঃ
আপনি আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ভাষায় কথা বলছেন, কিন্তু আমি বেশী পছন্দ করি আম্মার ইবনে ইয়াসিরের ভাষা...। কি ভুল, কেন ভুল, কতটুকু ভুল, সঠিকটা কি হবে, তাও তো আমাদের আলোচ্য হওয়া উচিত, না?... আর হ্যাঁ, আমাদের সব চিন্তা যে হুবহু মিলে যাবে, তা না। সেটা ভাবাও ঠিক না। কিন্তু সংগত ও গঠনমূলক আলোচনা করতে দোষ কী?...
আমি এখানে যা বললাম, নিজের কোনো কথা নেই। জাস্ট ইতিহাস। পর্যালোচনা আপনারা করুন। ভুল হলে সঠিক ইতিহাস তুলে আনতে হবে। আর শুদ্ধ হলে ভাবুন, এই ইতিহাসকে কিভাবে আমরা ভেঙ্গেচুরে কাঙ্খিত ভবিষত্যের ইতিহাস বিনির্মাণ করতে পারি?... অনেক ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ!...
Ismail Azhari: রাজুর আব্বু রাজুর আম্মা কে ছোট বেলায় খুব মেরেছে,, রাজু তা দেখেনাই, একটি বিষয় ভুল বুঝাবুঝি হয়ে একবার
রাজুর বাবা একবার মারতে মারতে রাজুর আম্মাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল,
রাজু তখন ছোট, সে কিছুই বুঝেনা।
তার আশে পাশের মানুষ গুলি তা দেখেছে।। কিছু দিন পর তার বাবা মা আবার সাভাবিক হয়ে যায়, ভুল ভেংগে যায়, আবার দুইজন দুইজন কে খুব ভালোবাসে,, এবং মরন পর্যন্ত ভালোবাসে, পরে রাজুর মা মারা যায়,,, রাজুর আব্বু রাজুর জন্য বাড়ি ঘর করে দেয়, এবং বৃদ্ধ হয়ে মারা যায়, রাজু আজ প্রতিষ্টিত, রাজু সমাজতত্ত্ব নিয়ে পড়া শুনা করে একজন বিজ্ঞ লোক হয়েছে,,,
শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে রাজুর প্রতিবেশি রাজু কে বলিল,,, রাজু, তূমি কি তোমার আব্বুর ইতিহাস জান? রাজু বলিল, না,
লোকটি সবার সামনে বলিল,
তোমার আব্বু তোমার আম্মুকে বিবস্ত্র করে পেটাতো,,,,, এই সত্য ইতিহাস বলে লোক টি রাজুর সামাজিক ও আর্থিক কতটুকু উপকার করেছে,, তা জানাবেন,,????
জ্ঞানী হলে আর ব্যাক্ষা করতে হবেনা,
আশা করি সব বুঝে নেবেন
রিপ্লাইঃ
দুঃখিত ভাই, প্রথমত, আপনি পোস্টের মূল টোনটা বুঝেননি।
দ্বিতীয়ত, এখানকার বিষয়টা কোনো পারসোনাল বিষয় নয়। ঘটনার ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক তাৎপর্যের ব্যাপারটা বুঝতে হবে।
তৃতীয়ত, সবার সামনে বলার কিছু নাই, সবাই রাজুর আব্বুর ইতিহাস জানে(ইহুদী, হিন্দু, খ্রিস্টান সবাই), শুধুই রাজুই বেকুব, সে জানে উলটো ইতিহাস! তার বাপ শয়তান, অথচ রাজুকে শেখানো হয়েছে মা-বাপ দু'জনই একই ক্যাটাগরির!
তাকে শিখতে দেয়া হয়নি, কিভাবে অন্ধকারের প্রতিপক্ষে লড়াই করে আলোর অভিমুখে যেতে হয়। কিভাবে শিখবে? মিথ্যা সম্মানের কল্পরাজ্য তৈরী করে তাকে বারবার বোঝানো হয়, আলো-অন্ধকার পরখ করতে যেও না, ওটা করলে পাপ হবে। তারচেয়ে বরং আলোকে ভালোবাসো, ভালোবাসো অন্ধকারকেও! কিন্তু রাজু শিখেছে আলো আর অন্ধকার এক হতে পারে না। মা-বাবা দুজনকেই সে ভালোবাসে, কিন্তু তাকে বুঝতে হবে, কে জালিম কে মজলুম? বাবাকে ভালোবাসা মানে এই নয় যে, তার জুলুম তার অন্যায়, তার অধপতনকেও ভালোবাসতে হবে!...
ধন্যবাদ।
Ismail Azhari: আপনার সাথে তর্ক করা আমার উদ্দেশ্য নয়।।।। সাহাবায়ে কেরামের ভুল ধরার আপনি কে???? আব্দুল কাদের জীলানী রহঃ কে হযরত মুয়াবিয়া রাঃ সমপর্কে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল, তিনি বলেছেন,
মুয়াবিয়া রাঃ যে ঘোড়ায় যুদ্ধ করেছে,, ওই ঘোড়ার পায়ের ধুলাও আমার চেয়ে কোটি কোটি গুন শ্রেষ্ঠা।।।
আর সেই ক্ষেত্রে আমি তো যমীনের নর্দমা। আমি আসছি, সাহাবায়ে কেরামের ভুল ধরার জন্য,,, আল্লাহ ক্ষমা করুন।।।।।
ইমাম বোখারী রহঃ সিকা রাবী, তথ্য যে রাবীর হাদীস সহীহ হবে, তা বলতে গিয়ে বলেছেন,,, সিকা রাবী তাকে বলা হয়,
যার মাঝে যবত ও আদালতের গুন বিদ্যমান থাকে।
আদালত বলা হয় ইনসাফের সর্বোশ্রেষ্ট সীমা কে,,, যা যুলুমের অপজিট ওয়ার্ড।
আর সাহাবায়ে কেরামের সবাই আদালতের গুন সম্পন্ন।।। (কিতাবুর রেজাল)))
এরপরেও যদি আপনি না বুঝেন, তাহলে আর কিছুই করার নাই,,।
রিপ্লাইঃ
তাই তো, আমি কে??? সে প্রসঙ্গ থাক।
প্রশ্ন হলো ভুল কে ধরলো? বলতে গেলে ভুল ধরলেন তো আপনি। আপনি পোস্টের শর্ট নিয়ে ব্লু আন্ডার লাইন করে বললেন যে, এগুলো ভুল!? আপনি হয়তো জানেন না, সে কাজগুলো জনাব মুয়াবিয়াই করেছেন। আমি শুধু উল্লেখ করলাম, মন্তব্য করেছেন আপনি। বুঝুন...
দ্বিতীয়ত,
এটা নিয়েই তো পোস্ট! যদি সর্বজনবিদিত ইতিহাসই বলা না যায়, যদি নির্জলা ইতিহাস বললেই সমালোচনা হয়ে যায়, তাহলে ‘শুধু মুয়াবিয়ার জন্য কেন আপনাদের এতো দরদ!?
কেনো তার পিতা আবু সুফিয়ানের জন্য নয়!?
কেনো নয় তার মা হিন্দার জন্য!?
তারাও তো সাহাবী, না??...
আসুন,
যত কিতাবে আবু সুফিয়ানের কুকর্মের বর্ণনা আছে
সেগুলো পুঁড়িয়ে ফেলি,
নইলে কি সাহাবী সমালোচনা বন্ধ হবে?
হিন্দার কলিজা চিবানোর ইতিহাস লিখা আছে যত পুস্তকে
সব বাজেয়াপ্ত করা হোক,
নইলে যে সাংঘাতিক সাহাবী নিন্দা হবে, হবে না!?
আসুন, সে আন্দোলনে সবাই নাম লিখাই!’
তৃতীয়ত,
যেটা বলেছেন- আবদুল কাদের জিলানী কথাটা সাহাবীদের সম্পর্কে বলেছেন, মুয়াবিয়া সম্পর্কে নয়। আর হাসান বসরী কি বলেছেন শুনুন- মুয়াবিয়ার চারটি কাজ এমন যে, তার যেকোনো একটিই ক্ষতির জন্য যথেষ্ট!
০১.উম্মাহর বিরুদ্ধে তরবারি ধারণ, পরামর্শ ছাড়াই ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। অথচ তখনও জলিল কদর সাহাবীদের কেউ কেউ বেঁচে ছিলেন।
০২. সন্তানকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করা(রাজতন্ত্রের চূড়ান্ত প্রচলন)।
০৩. সুস্পষ্ট শরীয়া লংঘন করে, যিয়াদকে আপন পরিবারভূক্ত করা।
০৪. হুজর ইবনে আদি রা. এবং তার সাথীদের নির্বিচারে হত্যা করা।
এখানে সংক্ষেপে বললাম, এর কোনোটি নিয়ে আপনার জানা না থাকলে বলবেন।
এবার বলুন, সাহাবীদের ভুল ধরার হাসান বসরী কে?
এ কোনো ভুল ধরা নয়, এ হলো ইতিহাস!
শেষত,
ইমাম বোখারীর রাবী!
আর সাহাবীরা সবাই আদালতের গুণসম্পন্ন!
এসবই আসলে মুয়াবিয়াপ্রেমীদের অবলম্বন। তারপর বলে না, কাতেবে ওহী??...ইত্যাদি।
আচ্ছা!
তো একটা কমেন্টে আপনিই তো বললেন- 'আপনার আগের পোষ্ট গুলি থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় ছিল, কিন্তু এই পোষ্ট সমপুর্ন ফেতনায় ভরপূর্ণ'।
এর মানে কী, আমার আগের পোস্টগুলো গ্রহণ করেছেন বলে, পরেরগুলোও আপনাকে গ্রহণ করতে হবে? নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত, ফেতনায় পরিপূর্ণ হওয়ার পরও কি এ পোস্ট আপনি গ্রহণ করবেন??
মুয়াবিয়া রা. সাহাবী ছিলেন, একটা প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন, হযরত উসমানের সময় তার প্রদেশের সীমানা আরো বিস্তৃত করে দেয়া হয়েছে। তিনি ভালোই হয়তো প্রদেশ চালিয়েছেন। তারপর, অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন, অহীও লিখেছেন। স্মরণশক্তি ভালো ছিলো, ভালো মানুষ ছিলেন, হাদীসও বর্ণনা করেছেন, তার মধ্যে বিশুদ্ধ প্রমাণিত হাদীসও আছে, সব ঠিকাছে। সেই সাহাবী মুয়াবিয়ার ইতিহাস আমরা সম্মানের সাথে গ্রহণ করি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণও করি। সাহাবী মুয়াবিয়ার সাথে আমাদের কোনো মতবিরোধ নেই!...
আমাদের মতবিরোধ উম্মাহর খিলাফাত জবরদখলকারীদের সাথে!
মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে সাহাবীদের লানত বর্ষণ এবং গালি-গালাযের সংস্কৃতি উদ্ভোধকের প্রতিপক্ষে!
আমাদের মতানৈক্য নির্বিচারে সাহাবী হত্যাকারীদের সাথে!
হাদীসের রাবীর বিপক্ষে আমাদের কোনো কথা নেই, আমরা কথা বলি সুস্পষ্ট হাদীসের বিরুদ্ধচারণ করে পিতার ‘জারজ’সন্তানকে পরিবারভুক্ত করার বিরুদ্ধে!
যারা সুস্পষ্ট সত্যপন্থি খলিফার বিরুদ্ধচারণকারীদের পক্ষ নেয়, তাদের সাথে আপোসের কোনো রাস্তা আছে কি?
যারা মূসার সাথে হারুণের সম্পর্কের মতো বিশ্বনবীর সাথে সম্পর্কিত আলীর প্রতিপক্ষে বিদ্রোহকে ‘আদালাতের গুণ’ বলতে পারে, তারা আসলে কারা??
যারা রাসূলুল্লাহর সারা জীবনের সাধনা- তাওহীদের উপর, আল্লাহর সার্বভৌমত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত খিলাফাত, তার হাজার হাজার সাহাবীর অকুন্ঠ রক্তদানের বিপরীতে হাদীসে ভাষ্য অনুসারে একজন রাজাকে দাঁড় করিয়ে সাহাবীপ্রীতি দেখানোর স্পর্ধা ধারণ করে, তাদের নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে বৈকি!...
Ismail Azhari: আসতাগফিরুল্লাহ,
হসফিটালের স্টাপ যদি অপারেশেন থিয়েটারে যায়, রোগির যা হবে,
আপনার ক্ষেত্রে তাই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আল্লামা মওদুদি সাহেবের লিখিত কিছু বই পড়েছেন হয়ত, নয়ত কিছু ভুলে ভরা ইতিহাস পড়েছেন,
মেডিকেল কলেজে না পড়ে চিকিৎসা বিদ্যায় হাত চালালে যা হয়,
আপনার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।।
ইতিহাসের ও ইতিহাস আছে,
আর শিক্ষক ছাড়া মানুষ যখন তা পড়তে যাবে,, তখন ই সে ভুল করবে,
যা আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে।।।
আপনি যে স্বশিক্ষিত, ইতিহাস নিজে অধ্যায়ন করেই আজ সাহাবা বিদ্বেষী,
তাই আর বেশি কথা না বাড়ানোই ভাল।
কারন আপনার তর্ক হচ্ছে নিজের মতবাদ কে প্রতিষ্টিত করার জন্য,
সত্য গ্রহনের জন্য নয়।।।।।।
পরিষেশে এই কথাটাই বলবো,,
#ইতিহাসের_কাঠগড়ায়_আমীরে_মুয়াবিয়া নামক বই টা পড়ে নেবেন।।।।।
যদি হেদায়েত চেয়ে থাকেন,
সব প্রশ্নের উত্তর সেখানে পাবেন।।
জাযাকাল্লাহ খাইরা।।।।
রিপ্লাইঃ
আমার পড়া ইতিহাস যদি ভুলে ভরা হয়, তাহলে আমিই সবচেয়ে খুশি হবো। (‘নিজের মতবাদ’? ইসলাম ভিন্ন আমার কোনো মতবাদ নেই! সত্য ভিন্ন যেকোনো পথ কিংবা পাথেয় সর্বচিত্তে ঘৃণা করি।) আপনি একথা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, আমি হুট করে কিছু একটা বলে ফেলছি! এগুলো যন্ত্রণার ইতিহাস! কিসব ছুটা-মুটা যুক্তি দেখান, পারলে ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ করুন, নইলে মেনে নিন। গাছেও আছি তলায়ও আছি, এগুলো মেরুদন্ডী মানুষের খাসলত না, বুঝলেন?...
আর আপনাদের কথা শুনে মাঝে-মধ্যে অবাক হই! সাইয়েদ আবুল আ'লা লিখলে সেগুলো ভুলে ভরা হয়, আর ত্বকী উসমানী লিখলে সেগুলো হিদায়াতের পাথেয় হয়, না?... ভালো। পড়বো। সেইটা পড়ার আগে তাহলে আর নতুন কিছু লিখছি না। আসুন কুরআনের দু’টো আয়াত স্মরণ করি। সাহাবীদের নিয়ে বিস্তর কথা-বার্তা লুকিয়ে আছে আয়াত দুটোতে-
আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদ, এবং তার সাথীরা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন কিন্তু পরস্পরের প্রতি দয়া পরবশ৷ আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে...(৪৮:২৯)
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে থেকে যারা সবার আগে ঈমানের দাওয়াত গ্রহণ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে এবং যারা পরে নিষ্ঠা সহকারে তাদের অনুসরণ করছে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে…(০৯:১০০)৷
Ismail Azhari: বইটা পড়বেন।।।
আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও পরকালীন
সুন্দর জিবন দান করুন
Hasan Muhammad Fariduzzaman: ইসমাইল আজাহারি, কি সব আজাইরা বলতাছেন? জ্ঞান জাহির করেন? ইতিহাসের কাঠগরায় মুয়াবিয়া দিয়ে আপনি মুয়াবিয়া রা: এর বিচার করে ফেলতে বলছেন? একে তো মক্কা বিজয়ের মুসলমান মুয়াবিয়া রা:। আর যাই হোক সন্মানিত বদরি না উনি। আলি রা: কে আল্লাহ বেহেশতের নেতৃত্ব দিবেন। আর মুয়াবিয়া রা : এই নেতার খেলাফতের বিরোধিতা করেছেন তাদের নেতা হয়া যারা আলি রা: কে উসমান রা: এর হত্যাকারি হিসাবে দোষারোপ করেছে।
আপনি কি মনে করেন আল্লাহ একজন মুসলিম খলিফার হত্যা কারিকে বেহেশতের নেতা বানাবেন? এই মুয়াবিয়া রা: হাসান রা: এর খেলাফতেরও বিরোধিতা করেছেন অবশেষে চুক্তি ভেংগে মদ্যপ্য এবং নামাজ পরিত্যাগ কারি ইয়াজিদকে হুসাইন রা:এর বিপরিতে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। আজাহারি, আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন? রাসূলের পরিবারের মোকাবেলায় মুয়াবিয়া রা: এর পক্ষ নিয়েছেন। মুয়াবিয়া রা: তো একজন বাদসা।হাশরের ময়দানে আল্লাহ যাদেরকে বিচারের জন্য প্রথম তলব করবেন। আর হাসান, হুসাইন রা: তো বেহেশতের যুবকদের নেতা আর তার পিতা আলি রা: তাদেরও নেতা, বেহেশতে।
Ismail Azhari: অবশ্যই আমরা সবাই কে ভালোবাসি।
এবং আমরা স্বীকার করি,,
আলী রা; অবশ্যই মুয়াবিয়া রাঃ থেকে উত্তম মর্যাদার অধিকারী,
Hasan Muhammad Fariduzzaman: ইসমাইর আজাহারি ভাই, আপনি আব্দুল কাদের জিলানি র: এর বয়ান ভুল বলেছেন। উনাকে উনার মর্যাদা সাহাবি রা: সাথে তুলনা করা হয়েছিল তখন উনি বলেছেন আমি তো রাসূল স: এর সাহাবিদের যুদ্ধগামি ঘোড়ার খুড়ের ধুলার সমতুল্য না। এখানে মুয়াবিয়া রা: এর কথা আসে নি। আর মর্যাদায় সেরা সাহাবি বলতে আমরা ওয়াশি কে বুঝি না, বদরি সাহাবি রা: দের বুঝি।
আলি রা: কি উসমান রা: এর হত্যাকারি? আপনি কি মনে করেন? আর মুয়াবিয়া রা: তাদের নেতা হিসাবে আলি রা: এর খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন যারা আলি রা: কে দোষারোপ করেছে উসমান রা: এর হত্যাকারি সাব্যস্থ করেছে। আল্লাহ কি একজন খলিফার হত্যাকারিকে বেহেশতের নেতা বানাবেন? আপনি কি তাই মনে করেন?
নূরে এলাহী: জনাব ইসমাইল আযহারীর তামাম অবুঝ গোঁড়ামি হক্বের ইতিহাস দ্বারা তিরোহিত হবে।আস্তাগফেরুল্লাহ,নাউজুবিল্লাহ,সোবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ কখন কিভাবে বলতে হবে তাই আগে জানতে হবে।হৃদয়ঙ্গম করতে হবে।ইতিহাস দোষারপের নয়,ইতিহাস দোষারোপকারীদের সত্য পথ বাতলানোর।
রিপ্লাই টু Ismail Azhari:
আপনার জন্য সমবেদনা।
জনাব ত্বকীর বই পড়ে যারা এখানে ওখানে 'আসতাগফিরুল্লাহ' পড়ছেন। যেদিকে তাকান শুধু ভুলে ভরা ইতিহাস দেখছেন, তাদের সাথে বিতর্কের খুব বেশী কিছু নেই।
সেই পুরানা ক্যাচাল,
ফিকহ শাস্ত্রের উলটো প্রয়োগ অর্থাৎ, মুয়াবিয়াকে অগ্রিম ‘সাহাবী’ ধরে নিয়েই আলোচনা; এবং
দ্বিতীয়ত, সাহাবী মানেই ‘আদালতের গুণসম্পন্ন’ ধরে নিয়েই আলোচনা; তারপর
শেষত, কোথাও ব্যাখ্যা দিতে অক্ষম হলে তাকে ‘ইজতিহাদ’ বলে চালিয়ে দেয়া...
অথচ এভাবে ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ পাঠ অসম্ভব! এবংকি সম্ভব নয় বস্তুনিষ্ঠ পাঠও! ইতিহাসকে ‘বিশেষ’ভাবে যেমন পাঠ করতে হবে, একই সাথে আলাদা আলাদা ‘বিশেষ’সমূহের সাধারণীকৃত পাঠও অপরিহার্য! ইতিহাসকেই বলতে দিতে হবে- কে কতদূর সাহাবী আর কতদূর আদালতগুণসম্পন্ন!
ইতিহাসকেই বলতে দিন- কে কোথায় কেন কিভাবে ইজতেহাদ করেছেন; কিংবা সেটাকে আদৌ ইজতেহাদ বলা যায় কিনা?... কিন্তু জনাব ত্বকীর বইটি যতদূর পড়েছি, তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার বইতে ইতিহাসের হলিস্টিক বা সামগ্রিক পাঠ লাঞ্ছিত হয়েছে।
তিনি সাইয়েদ আবুল আ’লার প্রতিপক্ষে ‘ছুঁতো’ খুঁজতে যতদূর ব্যস্ততা দেখিয়েছেন, তার একাংশ মনোযোগও মুয়াবিয়ার ইতিহাস বোঝার জন্য দিতে চাননি! বইটি পড়তে পড়তে মনে হয় যেন মুয়াবিয়ার একজন মুখপাত্র(অভদ্র একটা শব্দও আছে) তিনি! সেই সাথে মনে পড়ে মুয়াবিয়ার ‘কুখ্যাত’ এক গভর্ণরের নাম! যা’ই হোক, আপাতত আর কিছু না বলি। আল্লাহ চাইলে আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ!...
ধন্যবাদ সব ভাইকে! আল্লাহ আমাদের সহায় হোন…
[Mjh Chatgami: ভাই আপনি কোন কোন ঐতিহাসিকের বইয়ের আলোকে সাহাবা আজমাঈনদের সম্পর্কে আলোচনা করছেন? মূলত যেসব বই পড়ে আপনি স্ট্যাটাস দিলেন সেগুলো যদি দয়া করে রেফার করেন,বড্ড উপকারে আসবে।
রিপ্লাই: হযরত আলীর ‘নাহজ আল-বালাঘা’, সাইয়েদ আবুল আ'লার ‘খেলাফত ও রাজতন্ত্র’, মুফতী শফির ‘শাহাদাতে কারবালা’, মুহাম্মদ আব্দুল মা'বুদের ‘আসহাবে রাসূলের জ়ীবন কথা’, আবুল কালাম আজাদের ‘জীবন সায়াহ্নে মানবতার রুপ’, কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর, সাহাবীদের উপর হাদীস সমূহ… ইত্যাদি। সাথে আল্লাহ পদত্ত মানবিক বুদ্ধিবৃত্তি এবং সত্যে পৌঁছার প্রেরণা... আর এখন পড়ছি আল্লামা ত্বকী উসমানীর ‘ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মো’য়াবিয়া রা.’... ধন্যবাদ।]
বিষয়: বিবিধ
২৪১৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হুমম আমার সন্দেহ আরও পাকাপোক্ত হল। তাইত বলি যে সাহাবাদের (রাঃ) সম্পর্কে খারাপ কোন কথা বলার ব্যপারে এতো এতো সাবধান বানী রাসুল সাঃ এর আছে। এই গুবরে পোকা কেম্নে এত সাহস পায়।
বিতর্কটা হুবহু তুলে দিলাম। আপনার নতুন কিছু বলার থাকলে বলুন।
আর গালিগালায মুয়াবিয়াপ্রেমীদের পুরানা স্বভাব, জানেন তো!...
চোখ বন্ধ করে শুধু সাহাবী সাহাবী জপের নাম সাহাবাপ্রেম নয়।
আপনাকে চিনতে হবে, চোখ খুলে দেখতে হবে, কে সাহাবী আর কে সাহাবী সমালোচক!
দেখতে হবে কে সাহাবী আর কে সাহাবী হন্তারক!
রাজদরবারের ফতোয়ায় কারো ঈমান যায়ও না, আসেও না!
আল্লাহর দেয়া আকলের নিয়ামত ইউজ করুন,
সাহাবাপ্রীতি এবং মুয়াবিয়াপ্রীতি গুলিয়ে ফেলবেন না। পুরো তিন পর্ব পড়ুন। গঠনমূলক কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে দিন।
ধন্যবাদ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন