‘ফারজানা মাহবুবা’দের মনস্তত্ত্ব(পর্ব-০১)
লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ০৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০২:০৮:৩৭ রাত
কেউ যদি বলেন- আমাদের সমাজটা স্কলার বানানোর সমাজ না, তার সাথে দ্বিমত করার সুযোগ কম। কিন্তু কেউ যদি এর দার্শনিক বিবর্তন এবং ঐতিহাসিক কার্যকারণ পর্যালোচনা ছাড়াই বিশেষ কাউকে অভিযুক্ত করেন, সেটা বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই। যেমন, ফারজানা মাহবুবা, একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি, বলছেন-
‘আমাদের সমাজের যে পারিবারিক সিস্টেম, এই সিস্টেম আপনাকে ‘স্কলার’ বানানোর সিস্টেম না। এই সিস্টেম ঘরের মেয়েদেরকে ‘আমার হাজবেন্ড যদি অনুমতি দেয়’-টাইপের অধীনস্ত পারিবারিক সম্পত্তি বানানোর সিস্টেম’।
অভিযোগটা কার বিরুদ্ধে? পারিবারিক সিস্টেমের বিরুদ্ধেই তো, না? পরিবার কী করেছে… হ্যাঁ, তার জবানেই শুনুন- ‘প্রতিদিন সকালে নাস্তার টেবিলে দুই প্রকারের ফ্রেশ ভাজি আর তরকারী দিতে ‘হয়’, একদম চুলা থেকে নামানো এখনি সেঁকা গরম গরম রুটি, ফলোড বাই টাটকা বানানো চা! তারপর দুপুরে কমপক্ষে তিনটা তরকারী তো অবশ্যই, আবার ফলোড বাই বিকেলে নাস্তা, চা। আর রাতে আবার দুপুরের তরকারীগুলোর সাথে কমপক্ষে একটা ফ্রেশ তরকারী। প্রত্যেকবার এগুলো টেবিলে আবার সার্ভ করা, এবং সবার খাওয়ার পর ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা! ‘আর’ শ্বশুড় শ্বাশুড়ি দেবর ভাসুর ‘থাকলে’, এমনও ‘হয়’ কেউ খাওয়ার পর প্লেট ধুয়ে রাখা তো দূরের কথা, টেবিলে কাউকে কাউকে হাত ধোঁয়ার পানি পর্যন্ত এনে দিতে ‘হয়’!
আবার এর মধ্যে ‘মেয়েদের উপর মানসিক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অত্যাচারগুলো’ও চলে! ‘এটা এভাবে না রেধে ওভাবে রাধলে মজা হতো’, ‘এটা ঠান্ডা হয়ে গেছে, ঠান্ডা খাওয়া যায় নাকি?’, ‘এত লবন বেশী দিয়েছো? মুখেই দিতে পারছিনা’, ‘টেবিলে বোন-প্লেট দিলে না? ঝুটা কোথায় ফেলবো?’, ‘প্রতিদিন একই নাস্তা খেতে কার ভাল লাগে? অন্য কিছু বানাও না!’
সারকথা হলো- রান্নাবান্না, খাবার পরিবেশন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং দু’চারটা সামান্য কমেন্ট! এতেই তিনি পারিবারিক সিস্টেমের উপর ত্যক্ত-বিরক্ত! আর হ্যাঁ, এই সবগুলো কথাই তিনি মা আয়েশার দোহাই দিয়ে বলেছেন! মা আয়েশার যদি এসব করতে হতো তিনি হাদীসের অতো বড় স্কলার হতে পারতেন না! মিসেস ফারজানাও চান মুক্ত মনে স্কলারশীপ চর্চা করতে, মা আয়েশার মতো বড় স্কলার হতে। এসব উনার ভালো লাগে না…।
কিন্তু শুধু পারিবারিক সিস্টেমই কী দায়ী?... মা আয়েশা একজন পঞ্চাশোর্ধ পুরুষকে(রাসূলুল্লাহর বয়স তখন পঞ্চাশের বেশী ছিল) বিয়ে করেছেন, দশেরও কম বয়সে। এবং বিশের আগেই স্বামীর ইন্তেকাল… আমরা যতদূর জানি। তার কোনো সন্তান-সন্ততিও ছিলো না। উম্মুল মুমিনীন হিসেবে তিনি আর বিয়ে করেননি, সো সংসারের দায়িত্ব তার ছিলো না বললেই চলে। ‘স্কলার হতে হলে একজন মানুষকে তার ব্যক্তিগত জীবনে ‘যে’ পরিমান সময় ব্যায় করতে হয় পড়ালেখা/ জ্ঞান অর্জনের পিছনে’ তিনি তা করতে পেরেছেন।
তো মিসেস ফারজানা, আপনিও তাই করুন, অনাগত স্কলারদের তা’ই করতে বলুন। অন্তত যতটুকু সম্ভব। শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি দেবর ননদ সমস্যা মনে করলে- মা বাবা ভাই বোন নেই, বা তাদের না দেখলেও চলবে এমন কোনো পুরুষকে বিয়ে করুন। রান্না-বান্না, খাবার পরিবেশন ইত্যাদি টাইমকিলিং মনে করলে এমন কাউকে বিয়ে করুন- যেখানে বাবুর্চি আর কাজের বুয়া এসব করে দেবে, আপনাকে মোটেই ভাবতে হবেনা এসব। এবং আপনি যদি কারো কমেন্ট না শোনার মতো সত্যিই অমন সেনসেটিভ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কেউ হন, তাহলে পাত্র বাছাইয়ে নেম-ফেম বার্থ ব্রিলিয়ান্স বিউটি ব্যাংক-ব্যালেন্সের চেয়ে সেরকম মানবিক এবং নৈতিক গুণসম্পন্ন পুরুষকেই অগ্রাধিকার দিন।
এরপরও কোনো খিটিমিটি হলে নিজেরা ম্যানেজ করুন। বিষয়টা সহনীয় পর্যায় অতিক্রম করলে আপনি ঠান্ডা মাথায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় বের হয়েও আসতে পারেন! একজন স্কলারকে তো আমরা ধুকে ধুকে সব সয়ে যেতে বলতে পারি না!
কিন্তু ভাই আমরা আমজনতা তো আর স্কলার হবো না, আমাদের তো খেয়ে পরে বাঁচতে হবে! ভালো বাবুর্চি আর কাজের বুয়া রাখার সামর্থ আমাদের আর কতটুকুই! শেষ পর্যন্ত বউতেই ভরসা! একটু ভালো রান্না হলে প্রশংসা বাক্য, খারাপ হলে দু-একটা এইসেই মন্তব্য! ঐ যে পেট খালি থাকলে যা হয় আরকি! এ নিয়ে আপনারা পিএইচডি হোল্ডাররা মাতামাতি করলে আমরা ভড়কে যাই! যাওয়ারই কথা! আর হ্যাঁ, এটাও মনে রাখবেন ভাই, এইসব কমেন্ট কিন্তু এক তরফা হয় না, কখনও কখনও এক কমেন্টে পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত ত্রিশ কমেন্ট খাওয়ারও রেকর্ড আছে! খতিয়ে দেখলে আরো বড় সাপও বেরিয়ে আসবে হয়তো!
০২.
এরপর যা বললেন- এই সিস্টেম ঘরের মেয়েদেরকে ‘আমার হাজবেন্ড যদি অনুমতি দেয়’-টাইপের অধীনস্ত পারিবারিক সম্পত্তি বানানোর সিস্টেম’।
এটা পুরাই ভোগাস কথা! ঠিক যে, আমাদের সমাজে মেয়েদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কিন্তু যে কোনো অবস্থার কথাই আপনি বলুন, হাজবেন্ডের অনুমতি নেয়ার নাম কিন্তু অধীনস্ত হওয়া নয়, ‘অধীনস্ত পারিবারিক সম্পত্তি’ তো দূরের কথা! ইসলামে অধীনস্তের কোনো ধারণাই তো নেই। এখানে আল্লাহই এক মাত্র হুকুমকর্তা()! আমরা মুসলমান হওয়ার পর, শুধু সেই হুকুমের আওতায় নিজেদের চর্চা করতে পারি মাত্র, ব্যাস এটুকুই! হতে পারে কোনো পিএইডি হোল্ডার স্ত্রী ভাবতেই পারেন, আমি কেনো সিম্পল মাস্টার্স করা একজন পুরুষকে মান্য করবো? এটা তার ব্যাপার! তাদের ব্যাপার!
কিন্তু আপনি যদি বিষয়টি পাবলিকলি নিয়ে আসেন, তাহলে বলতে হয়, কুরআন বলছে(০৪:৩৪)- পুরুষ হচ্ছে নারীর ক্বাওয়াম(protectors& maintainers/in charge/manager of affairs/executor)। ক্বাওয়াম নিয়ে অনেকে অনাহুত বিতর্ক করে। অথচ পুরুষের ক্বাওয়াম হওয়ার কারণের মধ্যেই আল্লাহ নিজেই বিষয়টি ক্লিয়ার করেছেন- প্রথমত, তাদেরকে আমি আধিক্য(সামর্থ্যের) দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, তারা নারীদের জন্য তাদের সম্পদ ব্যয় করে।
এই দ্বিতীয় কারণের উল্লেখ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর ইচ্ছে হলো- নারীরা অন্তত তাদের স্বামীদের ততটুকু মান্য করবে,(বস নয়, আগেই বলেছি ইসলামের কোথাও বসের কোনো ধারণা নেই, আর কেউ তো দূরে থাক স্বয়ং নবীদের পর্যন্ত আল্লাহ বস বলেননি। অবাক করা বিষয় হলো- সূরা মুমতাহানা’তে আল্লাহ তা’লা নবীর আনুগত্যে পর্যন্ত সৎ কাজের শর্ত যোগ করেছেন…৬০:১২) যতটুকু আনুগত্য না করলে একটা ফ্যামিলি রা’ন করতে পারে না।
সে অনুগত্য স্বামী হিসেবে করা হোক, স্বামীকে বন্ধু হিসেবে নিয়ে করা হোক, নইলে ভালোবাসার মানুষ হিসেবে করা হোক, কিংবা একজন মানুষ আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন, আমার জন্য তার কষ্টার্জিত সম্পদ ব্যয় করছেন, সেই অনুভূতি থেকে করা হোক- তাতে ইসলাম নাক গলায় না। ইসলাম মোটেই সেটি খতিয়ে দেখতে যায় না। বরং স্বামী-স্ত্রীর প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে একটি পরিবার যখন বিকশিত হয়, ইসলাম তাদের থেকে সেই সামান্য কর্তৃত্ব-আনুগত্যের বিষয়টিও লুকিয়ে রাখে, মনে হয়! কারণ, যে উদ্দেশ্যে ইসলাম স্বামী-স্ত্রীকে দায়িত্বে-আনুগত্যে বেধে দিতে চায়, সে উদ্দেশ্য যদি প্রেম-ভালোবাসায় অর্জিত হয়ে যায়, ইসলামের চেয়ে বেশী খুশি আর কেউ হয় না!...
অর্থাৎ, এই ব্যাপারগুলো তখনই আসে, যখন নুশুজের(স্ত্রীর পক্ষ থেকে অবাধ্যতার) প্রশ্ন আসে। পরবর্তী আয়াতে(০৪:৩৫) সে সব আল্লাহ বলেছেন। আরো জানতে চাইলে পড়ুন-ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক: একজন তরুণ চিন্তকের সাথে কথোপকথন https://web.facebook.com/notes/shahadat-mahmud-siddiquee/1115302585191868।
তাহলে আমরা যেটা বলতে চাইছি- স্বামীর অনুমতি নিলে মেয়েরা মোটেই ‘অধীনস্ত পারিবারিক সম্পত্তি’ হয়ে যায় না। বরং সেটাই স্বাভাবিক। কমনসেন্স থেকেই যেটা বোঝা যায়- আপনি যদি এক পক্ষের উপর সব দায়িত্বের বোজা চাপিয়ে অন্যপক্ষকে ‘উলালা’ করতে দেন, সহজ কথায়- পুরুষ তখন আর ‘হাজবেন্ড’ হতে চাইবে না। ...বাকি থাকবে শুধু লম্পট হওয়ার পথ!… কারণ একজন ঘাম-ঝরানো অর্থ-ব্যয় এবং অন্যান্য দায়িত্ব গ্রহণের শর্তে কাউকে গ্রহণ করবে, আর অন্যজনের নিঃশর্ত স্বাধীনতা চর্চিত হবে, কোনো ব্যাপারে স্বামীর অনুমতিরও পরোয়া করবে না, এরচেয়ে ফাউল তর্ক আর কি হতে পারে…
আচ্ছা, ফাউল তর্কও না হয় চালিয়ে গেলেন। কিন্তু এর আফটারম্যাথ কি, জানেন?... জানেন না। জানলে কথাগুলো এভাবে বেরুতো না। আপনি কুরানিক সায়েন্স পড়ুন আর যাই পড়ুন, প্রায়োগিক ইসলাম বুঝতে হলে আপনাকে সমাজও বুঝতে হবে, এবং পরিবারও! পুরুষের এই যে লম্পট হওয়ার পথ...লম্পট হবে কারে নিয়ে?... তখন সমাজ? সমাজের কী হবে, মিসেস স্কলার?...
না। একথা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা লাল গালিচায় হেটে এখানে এসেছেন! যে সমাজে আপনার একজন বৈধ বাবা আছেন, মা আছেন। এখানে ইসলামের কোনো খিলাফাত তো ছিলো না। বিভিন্ন নামে বিজয়ী রাজা-বাদশারা এ অঞ্চল শাসন করেছেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা সেই সব আল্লাহ-ভীরু মহান মুবাল্লিগদের পবিত্র ইসলাম বয়ে বেড়াচ্ছি, কিসের জোরে! পরিবার! পরিবারই আমাদের সুখের দিনের প্রেরণা এবং দুঃখের দিনের শেষ আশ্রয়!
সেই পরিবারের প্রতিপক্ষে দাঁড়িয়ে আপনি কার জন্য স্কলার হতে চান মিসেস?... স্কলারের মানে আপনার কাছে কী? সে যা’ই হোক, আপনার ব্যবস্থা আপনি করুন। যতদিন না সমাজ নিজেই গড়ে উঠছে, ততদিন আমাদের যতদূর সম্ভব এভাবেই এগুতে হবে। নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। সেই সব পুঁজিবাদী চিন্তকদের মতো আমরা বলতে পারিনা- সমাজ বিকাশে প্রয়োজন ‘ব্যক্তিকে পরিবারের দানবীয় প্রকান্ড দৃঢ়মুষ্ঠি’ থেকে মুক্ত করে দেওয়া(C.H.Hunt)। পারলে বলুন। পুঁজিবাদের আরো একটা প্রেতাত্মা হয়ে উঠুন...
হ্যাঁ, দুনিয়া লুন্ঠন করে, স্কলারে স্কলারে তাদের সমাজ বিকশিত হয়েছে বৈকি! কিন্তু বিধ্বস্ত হয়ে গেছে পরিবার! পরিবার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া মানে কী? সমান্তরালে গড়ে ওঠা পতিতালয়…।
০৩.
যা’ক। এ পর্বে আর বেশী কিছু না বলি। শুধু জেনে রাখুন- ফারজানা মাহবুবা’দের মনস্তত্বের একটি দিক এখানে ক্লিয়ার, সেটা হলো- তারা সবার উপর নিজেকে আরোপ করে দেখে, নিজের মাঝে বৈচিত্রকে দেখার, গ্রহণ করার সামর্থ রাখেন না, মোটেই। ফলে সে ডাক্তার হলে ভাবে বাংলাদেশের সব মেয়ে বুঝি ডাক্তার! সে পিএইচডি করা হলে, ভাবে সবাই বুঝি এমনই পিএইচডি করা! এটুকু বুঝে না, একজন ডাক্তার/শিক্ষক/উচ্চশিক্ষিত নারী সংগত কারণেই তার ফ্যামিলি থেকে যতটুকু প্রিভিলেজ পেতে পারে, একজন এসএসসি পাশ গৃহবধূর সেম প্রিভিলেজ পাওয়া উচিত নয়। উচিত নয়, তার নিজের স্বার্থেই, নিজের কল্যাণে, নিজের প্রয়োজনেই।
শুধু তা’ই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে এভরি সিংগল ইন্ডিভিজুয়ালের জন্য আলাদা প্রিভিলেজ প্রয়োজন হতে পারে। ইসলামী শরীয়ার সীমায় সে নমনীয়তা আছেও!
সুতরাং, কিছু হলেই, সেই সামান্য ব্যক্তিগত ব্যাপারকে সামাজিকীকরণের বদ-অভ্যাস, ঘটনার এপিঠওপিঠ স্ক্রুটিনাইজ না করে সমাজকে নারী পুরুষ বিভক্ত করে দেখার আত্মঘাতী প্রবণতা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই বাঞ্ছনীয়।
০৪.
[উপসংহারে পদ্যাংশটুকু প্রাসঙ্গিক]
…তার চেয়ে বরং আসুন ভালোবাসার কথা বলি। কথা বলি প্রেম ও পবিত্রতার। কথায় কথায় আপনি স্বাধীনতা চর্চা না করলে তো ক্বাওয়াম চর্চার বেদনা সইতে হয় না আমাকে। …আসুন না, নুশুজের কথা তাহলে ভুলে যাই। দারাবা বিতর্ক আর না উঠুক কোনো দিন। জীবন আর কয় দিনের বলুন! চারপাশে দেখুন শয়তান ক্যামোন ওত পেতে আছে। চারদিকে তাগুতের বেষ্টনী, আস্ফালন দাজ্জালের প্রাক-প্রেতাত্মাদের।
আসুন ভালোবাসি। ভালো না বাসলে বড়ই নড়বড়ে হয়ে ওঠে সমস্ত প্রতিরোধ! দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে স্বপ্নের রাত্রিগুলো! সুদৃঢ় হয় না সত্যের সাক্ষ্য পর্যন্ত! আমাকে ভালোবাসুন, ততটুকু অন্তত, যতটুকু ভালোবাসলে গা জ্বলবে না আপনার, সামান্য কমেন্টে। অনাহুত হীনমন্যতা স্পর্শ করবে না কোনোদিন। কর্তৃত্ব মনে হবে না আমার কথা, যতদূর ভালোবাসলে, ততদূর অন্তত নেমে আসুন, এবং ভালোবাসতে দিন আমাকেও, ততটকুকু অন্তত! যতটুকু ভালোবাসলে মনে হবে না আমি বয়ে বেড়াচ্ছি কারো বোজা! খরচ করে ফেলছি আমার সম্পদ, অপরের জন্য! ততদূর ভালোবাসাতে আসুন নিমগ্ন হই! যতদূর ভালোবাসলে দয়াময় খুশি হন। দরদভরা দক্ষিণা নিয়ে তাঁকান কোনো দম্পতির দিকে! সে পর্যন্ত ভালোবাসতে অনীহা কেন? কোথায় অনীহা রমণী? কোথায়??...
বিষয়: বিবিধ
২২৫২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দায়িত্ব নেই তার মানে কি এই যে সে স্বামীর ঘর সংসার ফেলে স্কলার হতে বের হয়ে পড়বে ? যাদের সংসারে কোন অতিথি এখনও আসেনি সে ঘরের মহিলাটির কি শুধু নিজে পেয়েই যাবে ?
নিজের প্রাপ্যের ব্যাপারে মেয়েরা সবসময় একট্টা , ম্যাক্সিমাম ক্ষত্রে দেখা যায় যে তারা ১৬ আনার উপ্রে ৩২ আনাই পেয়ে যায় । কিন্তু দেবার প্রশ্ন আসলে ধানাই পানাই শুরু হয় ।
আপনার প্রতিষ্ঠান আপনাকে ভাল বেতনে রাখলে আপনার কাছ থেকে তারা সে অনুযায়ী দায়িত্ব ও কাজ আশা করে ।
চাকুরিজীবী স্কলার মেয়েরা কি সেটা জানে না ?
স্বামীর সংসারে কাজ করলে স্কলারে ঘাটতি আসে , আবার যখন বিমানবালা হয়ে যাত্রীদের খাবার সার্ভ করে সেটাতে স্কলারত্ব আপগ্রেডেড হয় !
মেয়েদের এরকম ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মানসিকতার জন্যই মেয়েরা অপদস্ত হয় সবখানেই।
পড়লাম, দোয়া করি, জাযাকাল্লাহ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন