এক এগারো প্রসঙ্গ: বাংলাদেশ থেকে পলাশী...

লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ১১ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৯:৪৭:২৯ রাত



আজ থেকে আড়াইশো বছর আগে।

পলাশীর আম বাগানে কিছু গোলাগুলি হয়েছিলো।

তারপর দুই শতাব্দীর জন্য ডুবে গিয়েছিলো এ ভূ-খন্ডের স্বাধীনতার সূর্য! ‘বিদ্রোহপ্রবণ’ যে প্রদেশটির উপর ‘বিরক্ত’ হয়ে একদা চুপসে যেতো স্বয়ং দিল্লি, সে আজ ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী’ পেরিয়ে আসা একটি কোম্পানীর দাসানুদাস!

কারণ?-

একদিকে জগৎশেঠ-রায় দুর্লভ-উমিচাঁদ-রাজবল্লভ-কৃষ্ণচন্দ্র-মীরজাফর-ঘসেটি বেগম গং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পক্ষে, অন্যদিকে নিতান্তই রাজনীতি-অচেতন জনগণ। এই জনগণ নিয়ে আমরা ঠাট্টা করি। -যদি জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশও সেদিন ব্রিটিশদের সেই ভাড়াটে বাহিনীর দিকে 'থুথু' নিক্ষেপ করতো, তারা স্রেফ উড়ে যেতো! কিন্তু হায়! কেউ বুঝেনি- আজ থুথু মারার দিন...

০২.

থুথু মারার দিন আজও!

আজ এগারো জানুয়ারি!

এক এগারো নামেই সবাই চিনে।

না, এদিন সতেরশো সাতান্নর তেইশে জুনের মতো গোলাগুলি হয়নি। বরং গোলাগুলি ঠেকাতেই জারি হয়েছিলো কারফিউ। কেনো?

–যাতে কোনোপ্রকার প্রতিরোধ ছাড়াই সংঘটিত হতে পারে আরেকটি পলাশী! হ্যাঁ, পলাশীই! এবং হয়েছিলোও তাই! পরের দিন শপথ নিয়েছিলেন- মীর জাফর! অন্য নাম- ফখরুদ্দীন আহমদ। যারা সেখানে ছিলেন, সে-ই জগৎশেঠ-উমিচাঁদ-ঘসেটি বেগম গং-ই! যারা ছিলেন না, তারা ভেবেছিলেন- ‘দেশে রাজা বদল হচ্ছে’, কয়দিন পরে আবার বদল হবে…।

আর জনগণ?

-ঘুমে অচেতন। কিংবা খেলায় মগ্ন। অথবা অর্থহীন জীবনের ঘানি টানতে টানতে বিপর্যস্ত-পরাজিত এবং উদাসীন। হতাশায় নিমজ্জিত সমস্ত ব্যাপারে...

০৩.

কয়দিন পরে আর রাজা বদল হয় না।

আশায় আশায় ‘একদা-বাঘ্রের’ হুংকার থেমে যাচ্ছে...

‘একদা-শার্দুল’ হারিয়ে যাচ্ছে পথে পথে…

এ যে আরেক পলাশী-উত্তর বাংলাদেশ!

০৪.

কিন্তু পলাশীই বাংলাদেশের গন্তব্য নয়। হতে পারে না!

কিন্তু কী হবে এরপর, বাংলাদেশের?!?...

বিষয়: রাজনীতি

১০৫৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356693
১১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৫২

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File