জোড়া-ফাঁসি পরবর্তী প্রথম আলো: ইন্ডিয়াপন্থিদের পাকিস্তান ভীতি ও আসমা জাহাঙ্গীর প্রসঙ্গ
লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ২৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৫১:০১ সকাল
“এখানে এ বিষয়টিই কেবল নিশ্চিত হয় যে ওই দুজন (সাকা ও মুজাহিদ) রাজনৈতিক এজেন্ট ছিলেন এবং পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতেন”। –আসমা জাহাঙ্গীর(২৫নভেম্বর, প্রথম আলো, ২য় পৃষ্ঠা)
একই দিন প্রথম আলোর উপসম্পাদকীয়তে ছাপা হয়েছে সোহরাব হাসানের কলাম- ‘দুই পাকিস্তানপ্রেমী’র জন্য পাকিস্তানের দরদ'; শুরু হয়েছে এভাবে-
“মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান সরকার এবং সেই দেশের গণমাধ্যম ও একাধিক রাজনৈতিক দল যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, তাতে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান রাষ্ট্রটির প্রতিই তাঁদের অধিক আনুগত্য ছিল।”
দেখা যাচ্ছে কলামটি মূলত মি.সোহরাবের নিজের ভাষায় আসমার বিবৃতিরই ভাব-সম্পসারণ। লক্ষ করুন- উপরে উদ্ধৃত সোহরাব সাহেবের কলামের শিরোনাম ও প্রথম লাইন এবং উপোরোক্ত মিসেস আসমার বিবৃতির লাইনটি একই অর্থ দিচ্ছে। একজন বলছে সাকা-মুজাহিদ ‘পাকিস্তানপ্রেমী’, অন্যজন বলছে ‘রাজনৈতিক এজেন্ট’! একজন বলছেন- ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রটির প্রতিই তাঁদের অধিক আনুগত্য ছিল’, অন্যজন বলছে ‘তারা পাকিস্তানের জন্য কাজ করতেন’।শেষোক্ত জন যেনো একটু বেশীই...।
সে বিষয়ে খানিকটা পরে আসছি…
০২.
এর আগে(নিচের লিঙ্কে দেখুন) আমরা দেখেছি- মি.সোহরাব হাসান তার কলামে কিভাবে চোরাগলিতে হেটেছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ‘পাকিস্তানের অনুগত’ কিংবা ‘পাকিস্তানপ্রেমী’ বলে, তাঁদের জীবন থেকে সাক্ষ্য-প্রমাণে না গিয়ে হাস্যকরভাবে নির্ভর করেছেন তাদের ‘মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান সরকার এবং সেই দেশের গণমাধ্যম ও একাধিক রাজনৈতিক দল যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে’- তার উপর। এবং অন্তত দু’টি ভিন্ন অর্থে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক অসততার পরিচয় দিয়েছেন।
এবার একটু অন্যভাবে দেখা যাক। মি. সোহরাব তার নিজের ভাষায় তোলা সেই অসার অভিযোগে খানিকটা সারবত্তা প্রদানের প্রয়োজনে টেনে আনলেন আসমা জাহাঙ্গীরকে। প্রথম আলোর ভাষায়- পাকিস্তানের ‘বিশিষ্ট’ মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী। আমাদের লিখার শুরুতে টানানো উক্তিটি উনারই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অসারতার দৌঁড়ে তার বিবৃতি, জনাব সোহরাবের অভিযোগের অসারতাও ছাড়িয়ে গেছে। বিবৃতিতে তিনি উলটো এটাই প্রমাণ করেছেন যে- উনি মানবাধিকার কর্মীই সার! বাস্তবে তিনি তাদের কাতারের, যারা- মুখে যতটুকু মানবাধিকার মানবাধিকার করেন, তার সতেরগুণ করেন রাজনীতি- আর দালালি করেন সত্তরগুণ! আরো সহজ করে বললে- এইসব মানবাধিকার কর্মীদের সৃষ্টিই হয়েছে সাম্রাজ্যবাদের আধুনিক লাঠিয়াল হিসেবে। ক্ষেত্র বিশেষে তৃতীয় বিশ্বে আধিপত্যবাদের লুটাধিকার আর শোষণাধিকারের ক্ষেত্র প্রস্তুত ও প্রশস্ত করতেই!
একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে তিনি বলতে পারতেন- পাকিস্তানকে তার দেশের জনগণের নাগরিক ও মানবাধিকারের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন ও সংবেদনশীল থাকতে হবে। এ প্রশ্ন প্রশ্নাতীত। তিনি অবশ্যই বলবেন- ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পাকিস্তানে ও সৌদি আরবে যেসব পাকিস্তানি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে’ সরকারকে সে ব্যাপারে নিতে হবে শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ। এবং সেটাই বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে আসমা জাহাঙ্গীর’রা আরো কঠোর ও জোরালো ভূমিকা পালন করুক। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে নিজের দেশকে সর্বোচ্চ মানবাধিকার রক্ষায় বাধ্য করতে যে কারও যেকোনো সুকর্ম একান্তই শ্রদ্ধার্হ ও স্বাগত জানানোর যোগ্য। কিন্তু একটি বিষয়কে অন্য একটি বিষয়ে বিভ্রান্তিকরভাবে মিশিয়ে পানি ঘোলা করলে তো মানবাধিকার রক্ষার কাজ হয় না, বরং বৃহত্তর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, আরো বিস্তৃতভাবে।
আবার বিবৃতির মেজাজ এবং মতিগতিও মানবাধিকারের চেয়ে অন্যদিকেই যেনো বেশী মনোযোগী। ছদ্মবেশী নিরপেক্ষতার সুশীলী ঠাট বজায় রাখার প্রয়োজনে ফাঁসি কার্যকর করায় বাংলাদেশ সরকারেরও নিন্দা করেছেন বটে। কিন্তু টার্গেট ছিলো সাকা-মুজাহিদকে পাকিস্তানের এজেন্ট বানানো। নইলে একজন মানবাধিকারকর্মী, তার দেশের সরকারকে মানবাধিকারের ব্যাপারে শাসাচ্ছে… বলছে অন্য দেশের চেয়ে নিজের দেশের নাগরিকদের প্রতি ভালবাসা দেখাতে… এরমধ্যে দু’জন মৃত মানুষকে তার দেশের এজেন্ট সাজানোর কি সম্পর্ক থাকতে পারে?... তাও কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই, শুধুই তার দেশের ‘অতি আবেগ’ দেখানোর বরাত দিয়ে!!
তাহলে কি- ঐ কথাই ঠিক? উনারা মানবাধিকারকর্মীই সার?! সাম্রাজ্যবাদের সেবার জন্যই সদাপ্রস্তুত মুখর!? সুযোগ পাওয়া মাত্রই মানবাধিকারের মোড়কে আধিপত্যবাদ ও তার এদেশীয় চেলাদের প্রোপাগান্ডার জ্বালানী সামগ্রী সরবরাহ করলেন?! নাকি বলবো- এ কেবলই মিসেস আসমার অজ্ঞতা। একটি দেশের স্বরাষ্ট্রনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মধ্যকার সম্পর্ক ও পার্থক্য নির্ণয়ে তার চিন্তার অসারতারই নিদর্শন? তিনি কি সত্যিই বুঝেননি যে- এটি মোটেই পাকিস্তান সরকারের আবেগ অনুরাগের ব্যাপার নয়, বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার পলিটিক্সে বিশেষত ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রেক্ষিতে এটি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি??
না, প্রথম আলো কথিত ‘বিশিষ্ট’ মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী এইসব সহজ সরল নিত্য ব্যাপার বুঝবেন না, এ অস্বাভাবিক! আসল ব্যাপার হতে পারে- পাকিস্তানেও একটি শ্রেণি নিশ্চয় আছে যারা দালালির বাইরে ভাবতে পারেনা কিছুই। যেনো ভারত আর পাকিস্তানের এজেন্ট ছাড়া কোথাও কেউ নেই। থাকতে পারে না।
এখানে আমাদের সোহরাব সাহেবদের সাথে মিসেস আসমাদের কতোই-না নিদারুণ মিল! একজন বলছেন- পাকিস্তান, সেই দেশের গণমাধ্যম ও একাধিক রাজনৈতিক দল যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, তাতে এটাই স্বাভাবিক যে আমাদের দেশের মৃত নাগরিক দুজন পাকিস্তানের দালাল ছিল। অন্যজন বলেছেন- আমাদের দেশ যেহেতু ‘আবেগ দেখিয়েছে’ “এখানে এ বিষয়টিই কেবল নিশ্চিত হয় যে ওই দুজন (সাকা ও মুজাহিদ) রাজনৈতিক এজেন্ট ছিলেন এবং পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতেন।”
লক্ষ করুন- ‘এ বিষয়টিই কেবল নিশ্চিত হয় যে’- আর কিছু নয়! বিষয়ের সাথে ‘টি’, টি’র সাথে ‘ই’-প্রত্যয়, তারপর আবার ‘কেবল’!!
০৩.
কার ফাঁসিতে কে কোথায় কি বিবৃতি দিল, কি প্রতিক্রিয়া দেখালো- শুধু এটুকুর উপর ভিত্তি করে কাউকে কারো এজেন্ট বানানো, তার উপর সীমাহীন নিশ্চয়তা আরোপ করা, সেসব নিয়ে আবার বড় নিউজ, প্রধান উপ-সম্পাদকীয় আয়োজন- সত্যিই প্রথম আলোকেই মানায়! এর আগে আমরা কামাল গাবালাকে দেখেছি, সিগফ্রিড উলফকে দেখেছি, আসমা জাহাঙ্গীরকে দেখছি… মানসিক প্রস্তুতিও নিচ্ছি আরো দেখার! প্রথম আলো বলে কথা। তবে এদেশের মানুষ পাকিস্তানের আসমা জাহাঙ্গীর কিংবা ভারতপন্থি প্রথম আলোর মতো এখানে কোন আবেগ দেখে না। ‘অতি আবেগ’ তো নয়-ই।
ইতোপূর্বে যুদ্ধাপরাধ এবং সংশ্লিষ্ট শাহবাগ নিয়ে ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়াপন্থি সমস্ত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া একই পন্থি ব্যক্তিবর্গসহ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের যে বন্য-বর্বর আবেগ দেখিয়েছেন, তাতেও এদেশের মানুষ আবেগ দেখেনি। আবার একই দিনের প্রথম আলো খবর- ‘সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি সমর্থন করেছে ভারত।’ শুধু সমর্থন নয়- “ভারত মনে করছে, বিচারব্যবস্থায় কোনো ফাঁক ছিল না। বরং ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতারই পরিচয় রেখেছেন।” …“তাই শেখ হাসিনার এই বিচারকে ভারত সমর্থন করে। ভারত মনে করছে, এই সিদ্ধান্তে সে দেশের জনগণের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে।”
এখানেও আবেগ দেখেনি এদেশের মানুষ। বিরাগও না। এসবই নির্জলা রাজনীতি। ইন্ডিয়ার রাজনীতি। পাকিস্তানের রাজনীতি। এ রাজনীতি ঐতিহাসিক। ছিল, আছে এবং থাকবে। এর ভেতরেই একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের নিজস্ব রাজনীতি ঠিক করতে হবে। সেই রাজনীতি হবে এদেশের গণমানুষের আবেগ-অনুভূতির প্রতি পূর্ণমাত্রায় শ্রদ্ধাশীল। তাদের স্বপ্ন, বিশ্বাস ও বিদ্রোহের সাথে একান্তই সংগতিপূর্ণ। এ হবে আন্তঃর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ কিংবা আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের এই যুগে সংগ্রাম ও সাধনা বলে, প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে বিকশিত হওয়ার ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতি।
কিন্তু সমস্যা হলো- এই সোহরাব হাসান’রা দক্ষিণ এশিয়া স্পেশালি বাংলাদেশে ইন্ডিয়ার রাজনীতিতে নেতিবাচক কিছুই খুঁজে পাননা। ইন্ডিয়ার আধিপত্যকে তারা ঈশ্বরের পরম আশীর্বাদ গণ্য করেই ধন্য হতে চান। এর ভেতর দিয়ে উনারা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে প্রভূ-অর্পিত ক্ষমতা চর্চা করেন। দালালির মাধ্যমে প্রাপ্ত স্বাধীনতাই উনাদের গৌরবময় অর্জন! কতোই-না শ্লাঘা বোধ করেন ঔপনীবেশিক দার্শনিকতায়! সাথে মুখাস্ত প্রগতিশীলতার বাগাড়ম্বর আর অবাধ প্রবৃত্তিপূজার নির্বিবাদ সুযোগ! বলতে গেলে সর্বদিক বিবেচনায় ইন্ডিয়ার আধিপত্যকেই উনারা উনাদের নিয়তি ধরে নিয়েছেন। এখন উনারা আর ইন্ডিয়া মানে উনারা-উনারাই!
তো ইন্ডিয়া যেহেতু উনাদের সাথে আছেন, যে যা-ই বলুক বাংলাদেশ তো তাদেরই! সাথে এও অনুসিদ্ধান্ত করেছেন যে, বাংলাদেশ যেহেতু উনাদের, উনাদের নিয়তি যখন ইন্ডিয়া, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের নিয়তিও ইন্ডিয়া হতে বাধ্য! কিন্তু বিষয়টা ঠিক এভাবে না বলে উনারা ’৭১কে টেনে আনেন। ‘মুক্তিযুদ্ধ’কে ঢাল বানিয়ে দিল্লির দাসত্বকে বন্ধুত্বের নান্দনিক মোড়কে চালাতে চান।
অহোরাত্রি এই নকলবাজি করতে গিয়ে ‘চোরের মনে পুলিশ পুলিশ’ আতঙ্কে স্বভাবতই সচকিত হয়ে থাকে ওদের স্নায়ু। ফলে কেউ যদি কখনও কোথাও ক্ষীণ কন্ঠেও প্রশ্ন তোলে- আধিপত্যবাদই যদি আমাদের নিয়তি হবে, তাহলে স্বাধীনতা কিসের? কেন মুক্তিযুদ্ধ আর ভারতের বন্ধুত্বের ভন্ডামী? উনারা তখন সব্বাই মিলে খেকিয়ে ওঠেন। তখন তারে জঙ্গী বানান, নাশকতাকারী সন্ত্রাসী সাজান সুযোগ থাকলে রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় নিয়ে যান। আরো কতো কি করার জল্পনা-কল্পনা-কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়!
বহু হিসেব-নিকেশ করে উনারা যা নির্ধারণ করেছেন তার বাইরে বাংলাদেশের নিয়তি আর কিছু হতে পারে না, পারবে না! হতে দেবেন-না উনারা! জান থাকতে না!! এখন এই জঙ্গী-জামাত-বিএনপি-টিএনপির সাথে যদি পাকিস্তান জুড়ে বসে তাহলে তো সমূহ-বিপদের কথা! ফলে পাকিস্তান আয়েশ করে একটু ‘আ’ করলেই সবাই ধুড়মুড়িয়ে দিশেহারা হয়ে ওঠেন! পাকিস্তান ওদের নাম উচ্চারণ করতে গেলো কেনো, দুই মৃত মানুষের সাথে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে! খিস্তি দিতে হবে ঘটনা যা তার চেয়ে দশগুণ আতঙ্কে!
ভাবখানা যেনো- জীবিত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ওরা কোনোদিন ‘পাকিস্তানপ্রেমী’, ‘পাকিস্তানের এজেন্ট’ ইত্যাদি বলেইনি! তবে কি শুধু কথিত যুদ্ধাপরাধ/ মানবতা বিরোধী আপরাধে উনাদের ফাঁসি ওরা নিজেরাই জাস্টিফাই করতে পারছে না!? মজাদার জটিল মনঃস্তত্ত্ব বটে!
সাবাশ বাংলাদেশ সরকার!
সাবাশ প্রথম আলো!
সাবাশ মি. সোহরাব হাসান….
(সমাপ্ত)
(সাকা-মুজাহিদ ‘পাকিস্তানপ্রেমী’; মি. সোহরাব হাসান, আপনি?..
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/6441/shahadat.fbw/71956)
বিষয়: রাজনীতি
১৫৫৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিয়মিত আপনাকেও পাবো ইনশাআল্লাহ...
সেই সময় কোন গনভোট নিলে আরো কত পাকিস্তানপন্থি বের হতো সেটার হিসাব ও নেওয়া দরকার!
গণভোটের ব্যাপারটি ঠিক বুঝলাম না, তাই কিছু বলতে পারছি না...
আল্লাহ আপনার লেখনি শক্তিতে বরকত দিন এই দোয়া করি। জাযাকাল্লাহ খায়ের।
"৭১কে‘মুক্তিযুদ্ধ’কে ঢাল বানিয়ে দিল্লির দাসত্বকে বন্ধুত্বের নান্দনিক মোড়কে চালাতে চান। কেউ যদি ক্ষীণ কন্ঠেও প্রশ্ন তোলে- আধিপত্যবাদই যদি আমাদের নিয়তি হবে, তাহলে স্বাধীনতা কিসের? কেন মুক্তিযুদ্ধ আর ভারতের বন্ধুত্বের ভন্ডামী? উনারা তখন সব্বাই মিলে খেকিয়ে ওঠেন। তখন তারে জঙ্গী বানান, নাশকতাকারী সন্ত্রাসী সাজান সুযোগ থাকলে রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় নিয়ে যান। আরো কতো কি করার জল্পনা-কল্পনা-কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়!
আল্লাহ কবুল করুন আমাদের...
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন