ফিলিস্তিনঃ মানবিক স্বাধীতার বটবৃক্ষ
লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:১৯:৩৪ রাত
ফিলিস্তিন!
ফিলিস্তিন কি কোনো ভূখন্ডের নাম?
না,ফিলিস্তিন আজ বিচ্ছিন্ন কোনো জাতিসত্ত্বা শুধু নয়। যুগ-যুগান্তরের এ লড়াইও নয় তাদের একার!
ফিলিস্তিন- শতাব্দীর পর শতাব্দী বিশ্বব্যাপী অবরুদ্ধ মজলুম মানবতার সর্বাত্মক মুক্তির প্রথম পদক্ষেপ। ফিলিস্তিন- পৃথিবীর সুবিচারবাদী সাথীদের জাগিয়ে তোলার জীয়নকাঠি। ফিলিস্তিন- সংগ্রামদিশারী শ্লোগানমুখর টকটকে লাল সূর্য! তাবৎ বর্বর বর্ণবাদী পশ্চিমা লুটেরাদের প্রতিপক্ষে বজ্রমুষ্ঠি! ফিলিস্তিন- মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত তাবেদার বিদয়াতি রাজতন্ত্রের কাপুরুষতার মুখে থুতু! এবং নিষ্পাপ শিশুদের কফিনের সারি, শহীদের লাশের স্তুপ আর রক্তপ্লাবিত জমিন থেকে গজিয়ে ওঠা মানবিক স্বাধীতার বটবৃক্ষ!
কে তোমরা, বেলফোর ঘোষণা দেয়ার!? প্রায় দু’হাজার বছর ধরে ভুমির অধিকার নিয়ে জন্ম নেয়া শতভাগ ফিলিস্তিনীর মাতৃভূমি কেনো হয়ে যাবে ইউরোপ বহিস্কৃত ইহুদিদের ‘ন্যাশনাল হোম’!? তা’ও ১৩৫ (একশো পঁয়ত্রিশ) সাল, কিংবা তারও আগে বসবাসের ছুঁতো তুলে!! সেই অবৈধ জারজ রাষ্ট্র এখন- “ফিলিস্তিনীদের সেনাবাহিনী পুষতে দেয়া উচিত নয়”- বলার স্পর্ধা দেখায়! হায়! এ কোন নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার! এখানে অন্ধরাই সবচেয়ে বেশী চোখে দেখে! শুধু তা’ই নয়, রোগই এখানে শেখাতে চায় চিকিৎসাবিদ্যা! শরীর এবংকি জীবনেরও মালিক হয়ে যেতে চায় জীবাণু!!!
তাই আজ আর বলবো না- ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা! ফিলিস্তিন কি কারও উপনিবেশ! স্বাধীনতার কথা বলে ফিলিস্তিনকে আমরা পরাধীন করে ফেলি। ফিলিস্তিন পরাধীন নয়। বরং অসুস্থ পৃথিবীর জাজ্বল্যমান উপসর্গ! ফিলিস্তিন বিষফোঁড় আক্রান্ত! ফিলিস্তিন- আগ্রাসনবাদী পৃথিবীর পিশাচ পড়া অঞ্চল মাত্র। ফিলিস্তিন- বিশ্ববিধ্বংশীদের চাপিয়ে দেয়া পরজীবীর শিকার! ফিলিস্তিন- সত্য মিথ্যা পৃথক করে দেয়া শক্তির উদ্বোধিত উদাহরণ! ফিলিস্তিন- যায়নবাদমুক্ত পৃথিবীর প্রসব বেদনা!
আর ইসরাইল??
ইসরাইল- পরের ধনে পোদ্দারী করা আগাছা। ইসরাইল- স্বস্তিকামী ইহুদীদের ছিঁড়ে ফেলা জিহ্বা! সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়ানক! দাবার দূরদর্শী চালের ঘুটি! না হয় দিক না একটু আশ্রয়- ইউরোপ, পাশ্চাত্য। পৃথিবীর ধনী ও পর্যাপ্ত অনাবাদী অংশের মালিক তো তারাই। খানিকটা প্রায়শ্চিত্য হবে তাদের পাপেরও। বছ্রের পর বছর নানা কায়দায় ইহুদী নির্যাতনে সঞ্চিত হয়েছে যে পাপ! তাহলে বেঁচে যেতে পারতো প্যালেস্টাইনের নিস্ফলা, সাঁড়াশি আবদ্ধ নিত্য শংকা নিয়ে বসবাস করা ইনোসেন্ট ইহুদীরা! পাশ্চাত্যের শহুরে অভিজ্ঞতায় অভ্যাসে বেড়ে ওঠা এই ইহুদীদের নানাভাবে বাধ্য করছে তো যায়নবাদী জিউইস এজেন্সি। এই এজেন্সিই তো আগ্রাসী ইসরাইল। সাগরের তলদেশ থেকে উঠে আসা একনায়ক অস্থিরতা!
কিন্তু সত্য কি?
সত্য এই ইসরাইলের মতো কম্পনপ্রবণ নড়েবড়ে নয়। বরং এটাই সত্য যে, সত্য বড়ই সহিষ্ণু। এবং খানিকটা দেরী মনে হলেও যথা সময়েই উত্থিত হয়।
সত্য যেদিন উত্থিত হবে সেদিন খসে পড়বে মিথ্যার হুংকার। সেদিন নতুন করে কথা বলবে শহীদ ওয়াদি সাদাদ, জুহাইর মহসীন, ফাতি শিকাকীদের রক্ত। শেখ আহমদ ইয়াসিন, শেখ খলিল’সহ হাজার হাজার শহীদের খুন স্পর্শ করে পৃথিবীর প্রতিটি সত্যপন্থি মানুষ উত্তোলন করবে তার মুষ্ঠিবদ্ধ হাত। ব্যর্থ হয়ে যাবে ডেভিড বেনগুরিয়ান, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু থেকে এ পর্যন্ত সকল ষড়যন্ত্র। বিকল হয়ে যাবে মার্কাভা ব্যাটল ট্যাংক, কেফির ফাইটার এয়ার ক্রাফট কিংবা এন্টিব্যালাস্টিক মিসাইল দিফেন্স অথবা তারচেয়ে ভয়ানক কোনো যুদ্ধ/মরণাস্ত্র!
মানুষ যখন অমানুষ হয়ে যায় তখন তার মনুষ্যবিহীন বায়বীয় যান কিংবা রকেট্রিও- তারই ধ্বংশ ছাড়া কিছুই ত্বরান্বিত করে না! তার জন্য অনিবার্য হয়ে যায় জগৎসমূহের অভিশাপ। বুঝে উঠতে পারে না মনের হরষে মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলুড়েরা নিজের রক্তই শেষে বৈধ করে ফেলে। কাবার গিলাফেও তখন আর আশ্রয় থকেনা তাদের…
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বিশ্লেষন ভালো
লাগলো আপনাকে
ধন্যবাদ
ভালো লাগল,ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন