কারবালাঃ মুসলিম উম্মাহর এসিড টেস্ট এবং মানবমুক্তির বিদ্যাপীঠ

লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাত মাহমুদ সিদ্দিকী ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৫৪:১১ দুপুর



আমরা যখন কারবালায় হাজির হই- ইসলামে রাজতন্ত্রের দফারফা সেখানেই হয়ে যায়। এবং বাতিলের সাথে কখন কতোটুকু আপোস গ্রহণযোগ্য, হয়ে যায় তারও ফয়সালা। এসব জানা কথা। যাই হোক-

এখন কষ্ট করে একটু কার্ল মার্ক্সকে নিয়ে আসুন। দেখবেন মার্ক্সিজমও সুস্থ হয়ে উঠছে। মার্ক্স এখানে তাঁর বেসিক স্ট্রাকচারের(basic structure) প্রতিপক্ষে মানুষের সর্বোত্তম ‘ইচ্ছাশক্তি’র পরম বহিঃপ্রকাশ দেখে দারুন প্রশান্তি বোধ করবেন।

এরপর এন্থনি গ্রামসিকে ডাকুন। তাঁর কাঙ্ক্ষিত ‘স্বাধীন বুদ্ধিজীবী’(independent intellectuals) তৈরীর ফর্মূলা পেয়ে আল্লাহু আকবার বলে নিশ্চিত লাফিয়ে উঠবেন।

অতঃপর মাও সেতুং। দেখবেন তিনি এই পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার প্রতিপক্ষে ‘ক্যাপিটালিজমের স্পর্শমুক্ত চিন্তা’র উদ্বোধনে সিজদায় নত হয়ে আছেন।

আর যদি একবার ভ্লাদিমির লেলিনকে আনতে পারেন, ‘পেশাদার বিপ্লবী’র আসল রুপ দেখে তিনি সবধরণের হঠকারিতা ছেড়ে বিশ্ববিপ্লবের মাষ্টারপ্লানে নিরত হবেন।

কিন্তু,

কখোনোই ওইসব কাঠমোল্লা কুলাঙ্গারদের নিয়ে আসবেন না। এরা এসেই শুরু করবে- “মুয়াবিয়া সাহাবী, তার কোনো দোষ থাকতে পারেনা! সে আল্লাহর সাথে পরামর্শ করেই এজিদকে রাজা বানিয়ে গেছেন! তার মানে, রাজপুত্র থেকে এজিদের রাজা হয়ে ওঠা আল্লাহরই ফয়সালা!

আর এজিদেরও কোনো দোষ নেই, কারবালা আসলে রাসূলেরই ভবিষ্যতবাণীর পরিণতি!!”

(বি.দ্র. সত্য-মিথ্যার ফয়সালা সিফফিনেই হয়ে গেছে। সংশয়ীদের জন্যই এসেছে কারবালা। এরপরও যাদের অন্ধত্ব ঘুচবে না, তারা ইমাম মাহদীর প্রতিপক্ষে প্রস্তুত হোন।)

বিষয়: বিবিধ

৭৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File