বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ ও একটি পর্যালোচনা।

লিখেছেন লিখেছেন উচ্ছল ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:০৫:৪৮ দুপুর

চির প্রতিদ্বন্দী বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ শেষ। ২-২ এ ড্র বর্তমানে। বাকি আছে মাত্র ১ টি ম্যাচ।

জিততেই হবে। জীবন মরন সমস্যা।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অনেকেই ক্লান্তি, হতাশা, পুরো জাতির আশা-ভরসার চাপ এবং টেনশনে জর্জরিত।

কি হবে এই শেষ ম্যাচে। কে জিতবে কে হারবে??

পাশে এসে দাঁড়ালো বন্ধুপ্রতিম ভারত। মাশরাফি, মুশফিকের পাশাপাশি ধোনি ও খেলতে চায় এ খেলায়। দু্’এক খেলোয়াড়ের আপত্তি সত্ত্বেও প্রস্তাব মানতে বাধ্য সবাই।

ব্যাটিং ওর্ডার- ওপেনিংয়ে তামিমকে সরিয়ে সেখানে ব্যাট করবেন বিরেন্দ্র শেহবাগ সাথে ইমরুল কায়েস।

ওয়ান ডাউনে সাকিব-আল-হাসান,

টু ডাউনে আশরাফুলের পরিবর্তে মাঠে নামবে ভিরাট কোহলী,

এরপর মমিনুল,

তারপরে মুশফিকুর রহিমের স্থলে ধোনি,

এবারে নাসির হোসেনের জায়গায় সুরেশ রায়না,

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,

মাশরাফি বিন মর্তুজা,

মুস্তাফিজ এবং

সবশেষে তাসকিন এর বদলে উমেশ যাদব।

এহেন স্কোয়াড গঠনের কিঞ্চিত প্রতিবাদ করায় দেশদ্রোহী সাব্যাস্ত করে টিম থেকেই বাদ দেওয়া হলো আশরাফুলকে।

এবারে খেলা।

টসে হেরে পরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের যখন প্রয়োজন আর ১ বলে ২ রান ঠিক তখন ক্রিজে আছে শেষ উইকেট জুটি স্ট্রাইকে উমেশ যাদব ও নন স্ট্রাইকে মুস্তাফিজ এবং বোলিংয়ে আছে পাকিস্তান দলের উমর গুল। সিরিজের শেষ বল।

এ বলেই ভাগ্য নির্ধারন হবে বাংলাদেশের। মাত্র ২ রান দরকার বলে ফিল্ডাররা ব্যাটসম্যানকে ঘিরে ধরে আছে কাছাকাছি। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার মাত্র ৩ জন।

ভাগ্য সহায়। উমর গুলের সর্টপিচ বলে উমেশ বানিয়ে দিলেন ওয়ান ড্রপ বাউন্ডারি। ৪ রান।

বিজয়ের আনন্দে দেশবাসি দিশেহারা।

ক্যাপ্টেন মাশরাফি সেজদায়।

গ্যালারীতে চিৎকার, মুহুর্মুহ করতালি।

পাড়ার রাস্তায় রাস্তায় আনন্দ মিছিল।

টিভিতে বিভিন্ন কোম্পানির পুরস্কার প্রস্তাব।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর বিজয় বার্তা।

রাষ্ট্রীয় ভাবে ১ দিন সরকারী ছুটি ঘোষণা।

সবশেষে এবারে পুরস্কার বিতরনী।

কিন্তু একি!!!

পুরস্কার গ্রহন করছেন বিজয়ী দলের পক্ষ থেকে ধোনী।

পুরস্কারের ট্রফি, প্রাইজমানি সব কিছু নিয়ে ভারত এখন তাদের দেশের উদ্দেশ্যে.....

এরপর থেকে ইএসপিন আর স্টার স্পোর্টসের নিয়মিত আয়োজন Indian Cricket : Vijay Diwas.

বাংলাদেশীরা ভাবে-

ট্রফি, প্রাইজমানি নিয়ে যাক।

ভারতের মিডিয়াতে যত যাই আসুক, কিছু বাংলাদেশী তা প্রতিবাদ করুক আর নাই করুক।

তাতে কি- আমরা বিজয়ী হয়েছি, আমাদের এখন চোখ বন্ধ করে পাকিস্তানিদের কেমন বাঁশ দিলাম তা ভেবে ভেবে নৃত্য করা উচিত পাশাপাশি এই এক চোখ অন্ধ চেতনার ইতিহাস পরবর্তী ক্রিকেটারদের ট্রেনিং সেশনে নিয়মিত টিচ দেওয়া উচিত।

এদিকে পাকিস্তানি মিডিয়াতে ‘আশরাফুলকে না খেলানোর’ প্রতিবাদে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আশরাফুলকে পাকি দালাল সাব্যাস্ত করে এবারে আজীবন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বহিস্কারের ঘোষণা করে।

.

.

.

.

.

ইহা একটি কাল্পনিক ঘটনা। কোন চরিত্র কিংবা ঘটনার সাথে এ কাহিনীর মিলন নিতান্তই কাকতালীয়। যাই হোক তাই হোক- আমরা জিতেছি, আসুন ফুর্তি করি, চিয়ার্স।

বিষয়: বিবিধ

১০৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File