স্মরণীয় বরণীয় মনিষীগনের সান্যিদ্ধে
লিখেছেন লিখেছেন মোল্লা দো পেঁয়াজো ১১ মার্চ, ২০১৪, ১০:৩৫:৪৩ সকাল
সময়টা ২০০৭ সালের কোন একদিন
আমি যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় মেশকাত জামাতে অধ্যয়নরত
বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে এক ইসলাম বিদ্বেষী নরপিষাচদের দ্বারা
একের পর এক ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে দেশের জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
কোরআন সুন্নাহ বিরোধী নারীনিতি বাস্তবায়নের জন্য অনেক ততপরতা চালানো হয়েছে।
ফলে দেশের আলেমউলামা ও তৌহিদী জনতা এর প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে।
সকল ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধভাবে কখনো বিচ্ছিন্নভাবে এই আন্দোলন করে।
দীর্ঘদিন লালবাগে থাকার কারনে বাতিলের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলনের রুহানী উপকারিতা বুঝতে পারছিলাম ভালভাবেই।
তাই শত বাধা বিপত্তি পেড়িয় হেন কোন আন্দোলন ছিলনা যেখানে শরীক হইনি।
একদিন শুনলাম উপমহাদেশের বরেন্য শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক সাহেব রহঃ নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশ হবে।
এর আগেও হুজুরের অনেক সমাবেশে ছিলাম।
যথারিথী যাত্রাবাড়ী থেকে আসতে আসতে দেখলাম মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে।
পিছনে বায়তুল মোকাররমের গেটে দেখলাম হুজুর হুইল চেয়ারে বসে আছেন।
মনে মনে ভাবলাম মিছিল তো অনেক করেছি আজ হুজুরের সাথে থাকব।
মিছিল চলে গেলে আমরা পাঁচ ছয়জন হুজুরের সামনে থাকলাম।
হুজুর আমাদের সামনে বক্তৃতার মতো চিত্কার করে বলতে লাগলেন
"এই নারিনীতি ইসলাম বিরোধী
কোনভাবেই এই নিতী বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবেনা।
এই আন্দোলনে কেউ যদি না আসে আমি একাই থাকব
আমি আগে রক্ত দিব এই জন্য।"
তোমরা থাকবে তো???
আমরা সমস্বরে বললাম জ্বী হুজুর আমরা আছি।থাকব।
সেদিনের হুজুরের শহিদী তামান্না আমরা উপলব্ধি করেছি।
আসলে তাদের রেখে যাওয়া বাংলাদেশে আমরা তাদের উত্তরাধীকার দাবি করি ঠিকই।
আমাদের সামনেই কোরআন সুন্নাহ বিরোধী নারিনীতি বাস্তবায়নের পথে।
তাই আমার দেশপ্রেমিক ভাইবোনদের প্রতি অনুরোধ
ইসলাম বিরোধী নারিনীতি বাতিল করুন
নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করুন
বিষয়: বিবিধ
১৩১৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমনে যত কতাই বলেন, আমার মনে হয়, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট প্রধান আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিধ, হজরাতুল আল্লামা মাওলানা মিছবাহুর রহমান শ্রীহট্টির সাথে আপনার কোন মূল্যবান সান্নিধ্য ঘটে নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন