মোল্লা দো পেঁয়াজোর ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন মোল্লা দো পেঁয়াজো ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩৭:১৩ সকাল
মুঘল সম্রাট বাদশাহ আকবরের পথভ্রষ্টতা মোটামুটি সবার জানা
সম্রাট আকবর তার রাজত্বকালে ইসলামের যে ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে এই বাতিলের বিরুদ্ধে হকের ঝান্ডাবাহী বীর হযরত মুজাদ্দীদে আলফে সানীর মাধ্যমে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছেন
সম্রাট আকবর দুটি পরিষদের মাধ্যমে রাজত্ব পরিচালনা করতেন
৯ সদস্যর পরিষদকে বলা হত
"নবরত্ন"
এই পরিষদের প্রধান ছিলেন সম্রাট আকবর নিজেই।
মূলত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ছিল এই পরিষদের হাতেই।
আর এক পরিষদ ছিল যার সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০ জন।
এই পরিষদের সদস্য ছিলেন মূলত উলামায়ে কেরাম।
এর প্রধান ছিল মোল্লা মুবারক নাগুরী।
সম্রাট আকবরের "নবরত্ন" এর একজন ছিলেন ইতিহাসখ্যাত
"মোল্লা দো পেঁয়াজো"
তিনি হযরত মুজাদ্দীদে আলফে সানীর ভক্ত ছিলেন।অত্যন্ত সাদাসিধে আল্লাহওয়ালা ছিলেন।
একদিন সম্রাট আকবর তার নবরত্নের সঙ্গে খোশালাপে লিপ্ত ছিলেন।
সম্রাট আকবর হঠাত নবরত্নের উদ্দেশ্যে বলে ফেললেন,
একেক জনকে ইশারা করে বললেন, 'তুমি আমার দরবারের আবু বকর'
'তুমি আমার দরবারের উমর'
তুমি উসমান, তুমি আলী......
ভ্রষ্ট সম্রাটের এসব উক্তি শুনে দো পেঁয়াজো চুপ করে ছিলেন।
এবার সম্রাটের দৃষ্টি পড়ল দো পেয়াজোর উপর।
বললেন আরে দো পেঁয়াজো তুমি কি আমার দরবারের কিছু হবেনা?!!!
মাথা উঁচু করে দো পেয়াজো বললেন,
আজ্ঞে জাঁহাপনাঃ আমি তো হতে চাই। কী হতে চাই তা বললে তো আমাকে মেরে ফেলবেন।
জানের নিরাপত্তা দিলে বলতে পারি।
সম্রাট আকবর বললেনঃ
তোমার জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া হল।তোমাকে মারা হবেনা।
কী হতে চাও তারাতারী বল।
মোল্লা দো পেঁয়াজো বললেন,
জাঁহাপনা, আমি আপনার দরবারের আবু জেহেল হতে চাই।
মোল্লার জবাব শুনে দরবারে হাসির রোল পড়ে গেল।
উল্লেখ্য যেহেতু মোল্লা দো পেঁয়াজো মুজাদ্দীদে আলফে সানীর ভক্ত ছিলেন তাই সরাসরি আকবরের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ প্রতিরোধ না করতে পারলেও হাসি তামাশার ভেতর দিয়েও এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে পিছপা হননি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হতভাগা
আকবরের জগাখিচুড়ি ধর্মের নাম ছিল
"দ্বীনে এলাহি"
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন