যে কারণে জামায়াত নেতৃবৃন্দের জেল-ফাঁসির আদেশ জরুরী ছিল
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ানের আম্মু ২৯ জুন, ২০১৩, ০১:৫৩:২৮ দুপুর
এই ধরণের অবমাননাকর ছবি ইসলাম এবং প্রতিটি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্যই বেদনাদায়ক। নারী নেতৃত্ব হারাম, একানব্বই-৯৬ খালেদার বিরুদ্ধে সমাবেশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং মাহফিলে আল্লামা সাঈদী যেভাবে বিষেদাগার করেছেন তা কি ভুলে যাবার মত? কিন্ত ৯৭ থেকে দুই হাজার একসালের নির্বাচন পরবর্তী খালেদা জিয়াকে একই নেতৃবৃন্দ 'দেশ নেত্রী' সহ বিভিন্ন উপাধিতে ভুষিত করে মুখে ফেনা তোলা, ০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামি লীগ জয়লাভের পর বিভিন্ন সমাবেশে আমীরে জামায়াত থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে 'বাংলাদেশের স্থপতি' সহ বিভিন্ন গুনগান করে আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আকর্ষন সম্ভবত আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে দিয়েছে। হাদীসে আছে, 'ফাসিক ব্যক্তির প্রশংসা করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে'। আল্লাহ হয়ত চাই নাই যে, আমীরে জামায়াত, আল্লামা সাঈদী থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঐসব ব্যক্তিদের প্রশংসা না করুক সেজন্যই হয়ত তাদের জেলে ঢুকাবার ব্যবস্থা করেছেন।
কই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর এখন তো জামায়াত নেতারা শেখ মজিব বা হাসিনার কীর্তন গায় না বরং সমালোচনা করে।
আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি জামায়াত নেতৃবৃন্দ আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন, আল্লাহ তাদের দিয়ে জাতির খেদমত করাবেন সেজন্যই তাঁদের রেক্টিফিকেশন, পিউরিফিকেশন, ইসলামের গভীর নলেজ অর্জন ইত্যাদির সুযোগ করে দিতেই জেল-জুলুমের ব্যবস্থা করেছেন। এখন জামায়াত নেতারা কাঠগড়ায়ও কোরআন তেলাওয়াত করে সময় ব্যয় করে, এটার খুবই প্রয়োজন ছিল।
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন