ইস ! যদি আরেকটু বেশী পেতাম......
লিখেছেন লিখেছেন তপু ২৪ জুন, ২০১৩, ০৭:২১:০৫ সন্ধ্যা
সময় হয় কোনো কল্যাণকর কাজে ব্যয় হয়, নয়তো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাপ কর্মের মধ্য দিয়ে এই সময়ের অপচয় করা হয়।
আমাদের সবাই স্বীকার করব যে, অবসর সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার হবে যদি সেই সময়কে কিছু ইবাদত কর্মের মধ্য দিয়ে কাটানো যায়। তবে অধিকাংশ সময় আমাদের মনেই থাকে না যে, আমাদের পার্থিব জীবনের লক্ষ্যই হলো আল্লাহ্র ইবাদত করা।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) বলেন : “আমি জিন এবং মানুষকে এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা (শুধু) আমার ইবাদতই করবে।” [সূরা জারিয়াত ৫১: ৫৬]
মোবাইল ফোন :
নিঃসন্দেহে মোবাইল ফোন এই শতাব্দীর অন্যতম বিষ্ময়কর আবিষ্কার। এই আবিষ্কার দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ভ্রমণ করা, হাত মারফৎ চিঠি পাঠানো এবং অপ্রত্যাশিত অতিথির আগমনের অবসান ঘটিয়েছে। তবে সেই সাথে এটি আমাদের জন্য সময় নষ্ট করার এক বিশাল সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে। মাঝে মাঝে মোবাইলে আমরা এমন সব কথা বলে পাপে জড়িয়ে পড়ছি যেসব কথা কোনোভাবেই আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় ।
যেমন এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই আমাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে “সাক্ষাৎ” করে ফেলি। প্রত্যাহিক কাজের ফাঁকে বিরতি নিয়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে সংক্ষিপ্ত চায়ের আসোরে বসতে পারি। তবে এসব আসোরও জীবন থেকে অনেক মুল্যবান সময় চুরি করে নেয় যা আরও কল্যাণকর কোনো কাজে ব্যয় করা যেতো। যত্নের সাথে মনোযোগী হয়ে সময়কে ব্যবহার করুন, নয়তো সময়ই আপনাকে ব্যবহার করবে।
পরনিন্দা ও গুজব ছড়ানো :
আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনো সময়ে অন্যকোনো মানুষের মাংস খেয়েছি। হতে পারে সেটা আমাদেরই কোন শত্রু কিংবা বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, আমাদের বস, কিংবা আমাদের অধীনস্থ কেউ। পরনিন্দা করা এবং অন্যের নামে গুজব ছড়ানো দুটি মারাত্মক বদভ্যাস। এই বদভ্যাসটি শুধু নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হলেও, এর চর্চাটা আমাদের মধ্যেই বেশি। এই আচরণের জন্য আমাদের খ্যাতি(?) রয়েছে। আমরা সহজেই এসবে জড়িয়ে পড়ি। এক্ষেত্রেও সময়টা অবসর সময়, যে সময়ের সদ্ব্যবহার হয় না। এই সময়ের পাতা ফাঁদেই আমাদের অগ্নিময় জিহ্বাটা ধরা পড়ে।
আমরা যখন সাধারণত কারো সাথে আলাপ করতে বসি, এমনটা কতবার হয়েছে যে আমাদের কথোপকথনে অন্যান্য মানুষের পারিবারিক ব্যাপারগুলো ঢুকে গেছে? এসব ক্ষেত্রে কি আমরা ভালো কাজে আদেশ এবং মন্দ কাজে নিষেধের শিক্ষা মেনে চলি? পরামর্শ চাওয়ার নামে আমরা কি এমন কোনো কথা ফাঁস করে দিই না যা অন্য কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে বলে রেখেছে? যখন কাউকে ফোন করি কিংবা কারও বাসায় বেড়াতে যাই, তখন আমরা পরিষ্কার মনেই যাই। কিন্তু হঠাৎ আলোচনায় ঢুঁকে পড়ে, “ভাবী শুনেছেন নাকি?” “বললে তো বিশ্বাস করবেন না, জানেন ঐ কী ক্যান্ডটাই না করেছে!” কিংবা “অমুক তো এই কথা বলেছে।”
প্রায়ই আমাদের কথাবার্তা ‘হারাম’ (নিষিদ্ধ) আলোচনার আওতায় চলে আসে। ফলে আমাদের অবসর সময় ব্যয় হয় মারাত্মক ধ্বংসাত্মক কাজের মধ্য দিয়ে। এমনকি কেউ যদি এরকম আলাপ-আলোচনায় শুধুমাত্র নীরব দর্শক হয়েও বসে থাকেন, তথাপি সময়ের অপব্যবহারের জন্য তিনিও সমানভাবে দায়ী।
আমাদের সামনে এখন প্রশ্ন হলো আমরা কীভাবে আমাদের সময়কে কল্যাণকর কাজে ব্যয় করতে পারি। এই পৃথিবী বিভিন্ন ধরণের ভালোমন্দ কাজকর্মে পরিপূর্ণ। কীভাবে আমরা ভালোটাকে বেছে নেব? কীভাবে আমরা স্থান, কাল এবং পাত্রকে বেছে নেব? যে কারণে কোনো একটিকে বেছে নেব তার কারণ হিসেবে নিজেকে কি উত্তর দেব? এখানে এমন কিছু নীতিমালা দেয়া হলো যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে এবং জীবনে স্থিতিশীলতা বয়ে আনতে সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ্।
]আল্লাহ্কে ভয় করুন[
জীবনে যা কিছু করবেন, সবকিছুর মধ্যে আল্লাহ্রভীতিকে স্থান দিন। আমাদের দ্বীনের মূল স্তম্ভগুলোকে মাথায় রাখুন – শুধুমাত্র ঈমান ও ইসলামের বিষয়গুলি নয়, ইহসানের ব্যাপারটিও মাথায় রাখুন। অর্থাৎ “এমনভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করুন যেন আপনি আল্লাহ্কে দেখছেন। তবে মনে যদি এমন অনুভূতি সৃষ্টি করতে না পারেন, তবে অন্তত এটুকু অনুভব করুন যে, আল্লাহ্ আপনাকে দেখছেন।” [বুখারি, খণ্ড ২, অধ্যায় ১, হাদীস ৪৭ এবং মুসলিম, অধ্যায় ১, হাদীস ১ ও ৪]
কত তাৎপর্যপূর্ণ এবং শক্তিশালী কথা! এই কথাটিকে আপনার জীবনের পাথেয় করে নিন। একথাও মনে রাখুন যে, আমাদের সমগ্র জীবন এবং আমাদের পারিপার্শ্বিকতা সবই আমাদের জন্য পরীক্ষা। ভুলে যাবেন না আপনার সময়, ধনদৌলত, সুস্বাস্থ্য ইত্যদির প্রতিটি কীভাবে ব্যবহার করেছেন সে সম্পর্কে আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা সূরা আল-কাহ্ফের মধ্যে বলেছেন :
“নিশ্চয়ই পৃথিবীতে যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে ওর জন্য অলংকার হিসেবে বানিয়েছি তাদেরকে (মানুষদের) পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কাজেকর্মে কে শ্রেষ্ঠ। [সূরা কাহাফ ১৮ : ৭]
আপনার জীবন ও প্রত্যাহিক কাজকর্মের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে মনোযোগী হোন। আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি সম্যক অবগত। তার পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে আমাদের বিবেচক হওয়া উচিত এবং তাঁকে স্মরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। আমরা যদি আল্লাহ্কে ভয় করি এবং সর্বক্ষেত্রে তাঁর সম্পর্কে সচেতন হয়ে জীবন যাপন করি, তাহলে আমরা আমাদের সময়ের ব্যাপারেও দায়িত্বশীল হব এবং এর সদ্ব্যবহার করব।
দায়িত্বশীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত হউন :
জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, এবং সে অনুযায়ী আমাদের দায়িত্বও পরিবর্তিত হয়। সবার আগে আল্লাহ্র কাছে আমরা দায়ী। আমাদের জীবনের সকল দায়দায়িত্ব এর সাথে সংশ্লিষ্ট। শুধু যদি এই কথাটিই আমরা মনে রাখি তবে আর সবকিছু নিয়মানুযায়ীই হবে এবং অধিকাংশ গর্হিত কাজ এড়িয়ে চলা যাবে।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত কুপ্রবৃত্তিতে এতটাই মশগুল হয়ে ডুবে যাই যে, আমরা আমাদের দায়িত্বের বৈধ গণ্ডিকে মাড়িয়ে নিষিদ্ধ গণ্ডিতে পদার্পণ করি। আঙ্গুলের ছাপের মতো প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ জীবনে স্বতন্ত্র। আমাদের মাঝে কেউ বিবাহিত, কেউ আবার অবিবাহিত। কেউ একক পরিবারের বাসিন্দা, কেউ আবার যৌথ পরিবারের। কারও সন্তানসন্ততির সংখ্যা দুই তিনটা, কারও আবার বাড়ি ভর্তি, কারও একটিও নেই।
যার ফলে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের ভার আলাদা, এবং অবসর সময়ের পরিমাণটাও ভিন্ন ভিন্ন। আপনাকে আপনার সকল দায়দায়িত্বের তালিকা করতে বললে আপনি হাঁপিয়ে যাবেন। যাই হোক, ‘কী কী কাজ করছেন’ তার তালিকা করার চেয়ে কাজগুলো সময় মতো হচ্ছে কিনা সেটাই আসল কথা।
আমাদের চলার পথের ‘সঠিক’ আর ‘অত্যাবশ্যকীয়’ এই দুটো কাজকে উর্দ্ধে রেখে, আমরা যদি কী করলে আরও ভালো হবে, উপকার হবে, সেগুলো খেয়াল করি, তাহলে দেখতে পারব, এসব কাজের মাধ্যমেই আমরা আনন্দ ও তৃপ্তি পাচ্ছি যা হয়তো শুধু নিছক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
আমাদের এই বিচিত্র জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমরা যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করি, তাহলে বুঝতে পারব যে, আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের যা কিছু দিয়েছেন তার সবকিছুর মধ্যেই কোনো না কোনোভাবে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহসমূহকে আমরা যত স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বীকার করব, ততই আমরা উত্তরোত্তর কল্যাণ লাভ করব।
আল্লাহ্ আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেলুন না কেন, সেগুলোকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করুন। পারিপার্শ্বিকতাকে বিবেচনায় নিয়ে পরিপূর্ণভাবে আপনার কর্তব্য সম্পাদন করুন। নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন আপনার উপর আল্লাহ্ তা‘আলার হক্ব আপনি ঠিকমতো আদায় করছেন তো? অন্যের হক্ব এবং নিজের উপর হক্ব আদায় করছেন তো?
সৎ সঙ্গে থাকুন
আমাদের অধিকাংশেরই একজন “সবচেয়ে কাছের বন্ধু” থাকে। তার সাথেই আমরা আমাদের হৃদয়ের গোপন কথাগুলোও ভাগাভাগি করি, সারাদিন কি হচ্ছে না হচ্ছে সব আমরা তার সাথে আলাপ-আলোচনা করি।
নবী (সা) বলেছেন “প্রত্যেকেই তার বন্ধুর বিশ্বাসকে অনুসরণ করে। সুতরাং কাকে বন্ধু বানাচ্ছো ভেবে দেখো।” [আবূ দাঊদ, অধ্যায় : ৪১, হাদীস ৪৮১৫ ও তিরমিযী]
ভালো বন্ধুরা আপনার সব কথাই মনযোগ দিয়ে শুনবে। কিন্তু যেই মূহুর্তে আপনি অন্যের গীবত করা শুরু করবেন, সে আপনাকে থামিয়ে দিবে। আপনি খারাপ দিকে ঝুঁকে গেলে সে আপনাকে ভালো কাজের দিকে টেনে তুলবে। সে আল্লাহ্র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আপনাকে খারাপ কাজের ব্যাপারে সতর্ক করে দিবে।
আল্লাহ্র অবাধ্যতা থেকে সে আপনাকে বারণ করবে। বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে সে আপনাকে ওই কথা বলা থেকে বিরত থাকবে না। আপনি যদি এইরকম কোন বন্ধু পাওয়ার মতো যোগ্য হন, তাহলে তার এই কথাগুলো ভালো মনেই গ্রহণ করবেন এবং অবশ্যই আল্লাহ্ তা‘আলার প্রশংসা করবেন যে, তিনি আপনাকে এমন একজন ভালো বন্ধু জুটিয়ে দিয়েছেন।
নিজের দুর্বলতা এবং কুপ্রবৃত্তিগুলোকে চিহ্নিত করুন
আমাদের সবার মধ্যেই এসব আছে। কেউ কেউ এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, কেউ আবার সেগুলোতেই গা ভাসাই। যেমন : ফোনে কথা বলা, বন্ধুদের ই-মেইল করা, কেনাকাটা কিংবা বিভিন্ন সামাজিক কাজ ও চাকরির কারণে বাইরে বের হওয়া, এমনকি দা‘ওয়াহ কিংবা শিক্ষার কাজে বের হওয়া। এধরণের প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই এমন হতে পারে যে, আমরা হয়তো আমাদের মূল দায়িত্ব বাদ দিয়ে শুধু এগুলো নিয়েই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছি।
ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের অংশ হিসেবে এগুলোর কোনোকিছুই খারাপ নয়, যদি এসবের মধ্যে কোনো হারাম কিছু না থাকে। কিন্তু এসবে অংশগ্রহণ যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য ‘অত্যাবশ্যকীয়’ কাজের উপর প্রভাব ফেলে, তাহলে কিয়ামতের দিন আপনাকে হয়তো অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
একান্তে কিছুক্ষণ বসে একটু চিন্তা করে দেখুন, কোথায় এবং কীভাবে আপনি আপনার সময় ব্যয় করছেন। অনেক সময়ই দেখা যায় আমরা হয়তো এমন সব কাজে আমাদের ব্যস্ত করে রেখেছি যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে ভালো মনে হলেও, সেগুলো আদৌ কোনো দরকারি কাজ নয়। যেসব কিছু আপনার জীবনকে অধিক পরিমাণে প্রভাবিত করছে, সেগুলো সনাক্ত করুন।সময়ের সাথে ঐ কাজগুলো কতটুকু জরুরী তা মূল্যায়ন করুন। আপনি কি আপনার ‘অত্যাবশ্যকীয়’ কাজগুলো বাদ দিয়ে এগুলোর জন্য সময় বের করে নিচ্ছেন? এগুলো কি আপনার পরিবারের অন্যান্য মানুষদের সাথে আপনার সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে? এই কাজগুলো পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার দরকার নেই। তবে এসবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বিধান করা জরুরী।
অবসর সময় অবশ্যই আনন্দদায়ক। আর এই আনন্দের সময়টা যেন একটু বেশী বেশী হয় এটা সবাই চায়। কিন্তু এর সাথে আমাদের এটাও মনে রাখা উচিৎ যে, প্রতি মূহুর্তে আমরা আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই সময় আর ফিরে আসবে না।
আসুন আল্লাহ্ রব্বুল ‘আলামীন যেভাবে বলেছেন ঠিক সেভাবেই আমরা আমাদের সময়কে ব্যবহার করি:
“সময়ের কসম, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্থতায় নিপতিত। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।” [সূরা আল-আস্র, ১০৩ : ১-৩]
আপনি নিজেই নিজেকে আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী যাচাই করে দেখুন। আপনার মনেও সেই ব্যধি উঁকিঝুঁকি দেয় কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হউন। আল্লাহ্ বিধান অনুযায়ী সেই রোগের চিকিৎসা করুন। হৃদয়ের পরিশুদ্ধির মধ্য দিয়ে মনে প্রশান্তির জন্ম হয় এবং সেই প্রশান্তি উপলব্ধি করা যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন