দেওয়ানবাগীদের পরিচয় এবং তাঁদের আক্কিদা ও বক্তব্য সমুহঃ

লিখেছেন লিখেছেন চলন্ত ইসলাম বনাম চুড়ান্ত ইসলাম ০৭ জুন, ২০১৩, ১২:২৪:৩৭ রাত

@@[1:[0:1:দেওয়ানবাগী পীরঃ]]

নামঃ মাহবুব এ খোদা। সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত। জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬ বাংলা মোতাবেক ১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৪৯ ইংরেজী। জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে। পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার। মাতা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোন। ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।

@@[1:[0:1:এক নজরে দেওয়ানবাগীদের কিছু আক্কিদা ও উক্তি সমূহঃ]]

১। “আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্নও কাশফের মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম ও আমার কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন যুবকের ন্যায় দেখতে পায়।”

(সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ পৃষ্ঠা ২৩)

২। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন “শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্য লক্ষ্য মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন”

(সুত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ)

“দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন।”

(সুত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯)

৩। “আমি এক ভিন্ন ধর্মের লোককে ওয়াজীফা ও আমল বাতলে দিলাম। ক’দিন পর ঐ বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল। নবিজীর হাতে হাত মিলালো। নিজের সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো। তারপর থেকে ওই বিধর্মী প্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে।”

(সুত্রঃ মানতের নির্দেশিকাঃ২৩, সূফী ফাউন্ডেশন, ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা)

৪। “কোন লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌঁছে, তখন তাঁর আর কোন ইবাদাত লাগেনা।”

(সূত্রঃ আল্লাহ কোনপথে,পৃষ্ঠা ৯০)

৫। “জিব্রাঈল বলতে আর কেও নন, স্বয়ং আল্লাহ-ই জিব্রাইল।”

(সুত্রঃ মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা, পৃষ্ঠা ২১)

৬। “সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময়। সুভে সাদিক অর্থ প্রভাতকাল। হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারি আযান দিয়ে দেয়। আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না। আযান দিয়েছে নামাজের জন্য। খাবার বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না।”

(সুত্রঃ মাসিক আত্মার বাণী, সংখ্যাঃ নভেম্বরঃ ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ০৯)

৭। “মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হায়াতে জিন্দেগী কে পুলসিরাত বলা হয়।”

(সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথে,তৃতীয় সংস্করন, পৃষ্ঠা ৬০)

৮। “আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ করতে থাকে। প্রভূর পরিচয় নিজের মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে। তখন তাঁর আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না। আর তা আত্মার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক। আত্মার এরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযোখ বলা হয়।” (সূত্রঃ আল্লাহ কোন পথে, পৃষ্ঠা ৪৪)

৯। দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। অতঃপর দরুদে মাহদী রচনা করেন। দরুদে মাহদীঃ

“আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আ’লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম।”

১০। দেওয়ানবাগী ১৯৮৯ সালে নাকি একটি ব্যতিক্রমধর্মী স্বপ্ন দেখে ফেলেন। এ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন,

“আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল বাগান ফুলে-ফলে সুশোভিত। ওই বাগানে আমি একা একা হেটে বেড়াচ্ছি। হঠাত্‍ বাগানের একস্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার চোখে পড়ে। আমি দেখতে পাই ওই ময়লার স্তূপে রাসুল (সাঃ) এর প্রানহীন দেহ মোবারক বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা মোবারক হাটুতে ভাজ হয়ে খাড়া অবস্থায় রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করলাম। সাথে সাথেই তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল। তিনি চোখ মেলে আমার দিকে তাকালেন। মূহুর্তের মধ্যেই রাসূল (সাঃ) দেহ সুন্দর পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে গেলো। তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ হে ধর্মপূনর্জীবন দানকারী! ইতমধ্যেই আমার ধর্ম আরও পাঁচবার পূনর্জীবন লাভ করেছে। একথা বলে রাসূল (সাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটে হেঁটে আমার সাথে চলে এলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল।”

(সুত্রঃ দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ “রাসূল স. সত্যিই কি গরীব ছিলেন?”, প্রকাশকালঃ জুন ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ১১-১২)

১১। "দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ওতার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে­ দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়। অতঃপর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে একটি মিছিল বের করে। মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনেরঃ যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবা­গী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো।"

(সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকাঃ ১২/০৩/৯৯ )

১২। দেওয়ানবাগীর এক পাঁচাটা কুত্তা বলে (নাম মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী) "আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আঃ) নির্মিত মক্কার কাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সাঃ) বলছেন ''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) তার সাথে আছি এবং সর্বক্ষণ থাকি। আর কাবা ঘরওতার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্ দেওয়ানবাগী প্রচার করতেছেন।"

@@[1:[0:1:আমার মন্তব্যঃ]]

আমার মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

বিষয়: বিবিধ

১০৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File