শেখ হাসিনার মিথ্যচারিতা

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্দাল ২৯ জুন, ২০১৩, ১০:৫৮:৫৬ রাত

শেখ হাসিনার মিথ্যচারিতা ও পাগলীর প্রলাপ

বিরামহীন মিথ্যাচারিতা

শেখ হাসিনা বলেছেন,“সেই (৫ মে) দিন কোনো গোলাগুলি বা সেরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তারা সেখানে গায়ে লাল রঙ মেখে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ যখন তাদের ধরে টান দেয়,দেখা গেল উঠে দৌড়াচ্ছে। দেখা গেল লাশ দৌড় মারল।”

শেখ হাসিনা সে রাতে ঘরে বসে শাপলা চ্ত্ত্বরে লাশের দৌড় মারার চিত্র দেখেছেন!আস্ত উম্মাদিনীর প্রলাপ।

বেকুবদের প্রলাপ>>>

অনেক বেকুব বলে এগুলু নাকি মায়ানমারের ছবি!!!!!! এত বোকা তোমরা মতিজিল কে এখন চিনতে পারো না??? আসলে এরা বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করে।

আর তাছাড়া যারা মারা গেছে তারা নিসশন্দদেহে শহীদ। তাদের মৃত্যু নিয়ে হাসি ঠাট্টা !!!!

দৈনিক যুগান্তর লিখেছে,এ হামলায় ১৫৫,০০০ গুলি নিক্ষেপ করা হয়।পুলিশ ছুড়েছে ৮০,০০০ টিয়ার গ্যাসের শেল এবং ৬০,০০০ রাবার বুলেট। এছাড়া ছুড়া হয়১৫,০০০ শর্টগান বুলেট এবং ১২,০০০ সাউন্ড গ্রেনেড। সরকার বলছে মাত্র ১০ মিনিট অপারেশন চলে। অথচ যুগান্তর লিখেছে হামলা হয়েছে তিন ঘন্টা ধরে, রাত ২:৩০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় ৫:৩০ মিনিটে। তিন ঘন্টার এ যুদ্ধে নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ বুলেট, টিয়ার গ্যাস,রাবার বুলেট ও গ্রেনেড ব্যবহার করা হয় তা পাকিস্তান আমলের সমগ্র ২৪ বছরেও ব্যবহৃত হয়নি। দেশের নিরস্ত্র সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে এতবড় বর্বরতা কি কোন কালেই হয়েছে? জনগণ রাজস্ব দেয় এ জন্য যে, তাদের অর্থে প্রতিপালিত পুলিশ,র‌্যাব ও বিজিবী তাদের জীবনে নিরাপত্তা দিবে।কিন্তু এখানে ঘটেছে উল্টোটি।তাদের অর্থে কিনা বুলেট,কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও গ্রেনেড ব্যবহৃত হয়েছে তাদেরই বিরুদ্ধে।কইয়ের তেলে এরূপ কই ভাজার কাজটি এদেশে করে গেছে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকেরা। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা সে পথই ধরেছে।উল্লেখ্য যে, র‌্যাব-সদস্যরা এ কাজে প্রশিক্ষণও নিয়েছে ব্রিটিশদের থেকে।

সে কালো রাতে যে নৃশংস বর্বরতাটি ঘটেছে তার ভূক্তভোগী ও সাক্ষি শুধু হেফাজতে ইসলামের লক্ষাধিক নেতাকর্মীই নন,বরং প্রত্যক্ষদর্শী হলো শত শত মিডিয়া কর্মী ও সাধারণ মানুষ।তাছাড়া এ নৃশংসতার শত শত ভিডিও চিত্রও রয়েছে। এবং বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়েছে। কোন সজ্ঞান ও সুস্থ্য মানুষ কি সে সচিত্র প্রমাণগুলো অস্বীকার করতে পারে?

যে কোন সভ্য দেশে পুলিশের গুলিতে একজন মারা গেলেও বিরাট খবর।তা নিয়ে তদন্ত হয়।তদন্ড শেষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিও হয়। সরকার দায়ী হলে তাতে সরকারের ভিত্তিও নড়ে উঠে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রেয়ারি ঢাকায় মাত্র তিন জন নিহত হয়েছিল আর তাতেই একটি সরকারের পতন ঘটেছিল। হাসিনার আমলে মানুষের জীবনের মূল্য কি তবে এতটাই কমে গেল যে সরকারি প্রেসনোটে ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হলেও সেটি কোন ব্যাপার রূপে গণ্য হচ্ছে না? শেখ হাসিনার কাছে আরো প্রশ্ন,ঐ দিন কিছু না হলে ১১ জন মানুষ মানুষ লাশ হলো কি করে? বলা হচ্ছে কোন রূপ গুলি ছুড়া হয়নি। তারা কি তবে আসমান থেকে বাজ পড়ায় মারা গেছে?

তিনি যে কতটা ইসলামের শত্রু সেটি তো দেশের মানুষ স্বচোখে দেখেছে।সংবিধানে তিনি যেমন আল্লাহর উপর অবিচল আস্থার কথাটিই সহ্য করতে পারেননি,তেমনি সইতে পারেননি দেশের মাটিতে কোরআনে তফসির এবং জিহাদ বিষয়ক বই।

বিষয়: রাজনীতি

১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File