ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ কি সবার মতকে শ্রদ্ধা করে??(০১)

লিখেছেন লিখেছেন হাসান ফরিদ ১৪ জুন, ২০১৩, ০৩:২৭:২৩ দুপুর

‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ ইংরেজী ‘সেকিউলারিজম’ শব্দেরই বাংলা অনুবাদ। গত আড়াই শত বছর থেকে এটা দুনিয়ার সর্বত্র একটি আদর্শের(!) মর্যাদা লাভ করেছে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম কামাল পাশাই তুরস্কে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করেন। ইতিপূর্বে মুসলমানগণ এরূপ নির্লজ্জভাবে দুনিয়াময় প্রচার করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের দীক্ষা গ্রহণ করেছে বলে কোন নযীর পাওয়া যায় না। তাই এ মতবাদের জন্ম ও পরিণাম সম্পর্কে জানা দরকার।

ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিচয়ঃ

ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যক্তি জীবনে সীমাবদ্ধ রেখে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে ধর্মের অর্থাৎ আল্লাহ এবং রাসুল(সাঃ)এর প্রভাব মুক্ত রাখাই হলো ধর্ম নিরপেক্ষতা। যেই মতাদর্শ আল্লাহ এবং রাসুল (সাঃ) এর প্রভাব মুক্ত থাকবে, সেটি ধর্ম নিরপেক্ষ নয় বরং ধর্মহীনতা।

ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদে আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার না করলেও আল্লাহর গুনাবলীকে অস্বীকার করা হয়েছে। স্বার্থের পক্ষে যায় আল্লাহর এমন কিছু গুণাবলীকে তারা তাদের বিশ্বাসে স্থান দেয়। যেমন-আল্লাহ এই আল্লাহ তায়ালা এই বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন, মানুষকেও সৃষ্টি করেছেন এবং কিছু বিধানও দিয়েছেন যা মানার মধ্য দিয়ে মৃত্যুর পর মানুষের কাজে আসতেও পারে নাও আসতে পারে। কিন্তু দুনিয়ার উন্নতি, অগ্রগতি আর কল্যাণ সাধনে এর কোনও কার্যকারিতা নেই।অথবা এসবের কোন প্রয়োজনও নেই। ধর্ম নিরপেক্ষতার এটিই মূল দর্শন। সুতরাং ধর্মের অনাবশ্যক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখাই প্রগতিশীলতা। (চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৫১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File