বিকিরিত আলোক বর্ণের ভিন্নতার কারন
লিখেছেন লিখেছেন যুবক ছেলে ১৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:৪৮:১৮ বিকাল
এই বিষয়টি বুঝার আগে আমাদের ব্যান্ডগ্যাপ এনার্জি সম্পর্কে জানতে হবে। ব্যান্ডগ্যাপ বলতে বুঝানো হয় পরপর দুটি শক্তিস্তরের মধ্যবর্তী দূরত্ব যেখানে কোন ইলেকট্রন অবস্থান করতে পারেনা। সাধারণতঃ সেমিকন্ডাকটরের ক্ষেত্রে ব্যান্ডগ্যাপ বলতে ভ্যালেন্স ব্যান্ডের সবোর্চ্চ সীমা এবং কন্ডাকশন ব্যান্ডের সর্বনিম্ন সীমার মধ্যবর্তী শক্তি পার্থক্যকে বুঝানো হয়। এই শক্তি পার্থক্য বা এনার্জিগ্যাপ বা ব্যান্ডগ্যাপ বিভিন্ন পদার্থের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয় এবং ইহাকে ইলেকট্রন ভোল্ট (eV) এককের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে
এখানে বিভিন্ন সেমিকন্ডাকর যৌগের ব্যান্ডগ্যাপ তালিকা দেয়া হলো যা আমাদের কাজে লাগবে।
কয়েকটি সেমিকন্ডাকটর যৌগের ব্যান্ডগ্যাপ তালিকাঃ
এবার আসুন দেখা যাক কিভাবে বিভিন্ন পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন রঙ সৃষ্টি করে। মনে করি একটি এলইডি তৈরীতে গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ফসফাইড ব্যবহৃত হয়েছে যার ব্যান্ডগ্যাপ এনার্জি = 1.5 হতে 2.26 ইলেকট্রন ভোল্ট এর মধ্যে। তাহলে এই এলইডি কি রঙ বিকিরণ করবে?
আমার জানি GaAsP এর ব্যান্ডগ্যাপ এনার্জি 1.5 হতে 2.26 এর মধ্যে তাই এখানে আমরা সুবিধার্থে ধরে নিই ব্যান্ডগ্যাপ এনার্জি = 2.0 ইলেকট্রন ভোল্ট।
যা লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সমান। তাই GaAsP দ্বারা তৈরী এলইডি লাল আলোক বিকিরণ করবে। এভাবে বিভিন্ন সেমিকন্ডাকটর ম্যাটেরিয়ালের ভিন্ন ভিন্ন ব্যান্ডগ্যাপ এনার্জি থাকার কারণে তাদের বিকিরিত আলোকের বর্ণ ভিন্ন ভিন্ন হয়।
কয়েকটি সেমিকন্ডাকটর যৌগের বিকিরিত তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও রঙের তালিকাঃ
বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে
বিষয়: বিবিধ
১৩১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন