পাল্সের কয়েকটি উপাদান
লিখেছেন লিখেছেন যুবক ছেলে ১৬ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৪৩:০৮ সকাল
পা
ল
সে
র
ক
থা
পাল্সঃ একটি বৈদ্যূতিক সিগনাল (ভোল্টেজ অথবা কারেন্ট) যার কিছু সময়ের ব্যপ্তি, স্থির এমপ্লিচুড এবং একক পোলারিটি থাকে তাকে পাল্স বলা হয়। পোলারিটি পজিটিভ অথবা নেগেটিভ যে কোন একটি হবে। একটি পালসে একই সাথে পজিটিভ এবং নেগেটিভ উভয় পোলারিটি থাকবে না। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
আদর্শ (Ideal) পাল্সঃ যে পালসের রাইজ টাইম এবং ফল টাইম শূণ্য থাকে এবং কোন নন-আইডিয়াল কন্ডিশন (যেমনঃ ওভারশুট, ড্রপ, রিংগিং ইত্যাদি) থাকেনা তাকে আদর্শ পাল্স বলে কিন্তু বাস্তবে এমন কোন সার্কিট পাওয়া যাবেনা যা আদর্শ পাল্স তৈরী করতে পারে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
প্রকৃত (Real) পাল্সঃ বাস্তব ইলেকট্রনিক সার্কিটে যে পাল্স তৈরী হয় তা-ই প্রকৃত পাল্স। প্রকৃত পালসের রাইজ টাইম এবং ফল টাইম খুব কম হলেও তা শূন্য নয়। চিত্রে প্রকৃত পাল্স দেখানো হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
রাইজ টাইমঃ কোন পাল্স সিগনাল পূর্ণ এ্যামপ্লিচুডের ১০% হতে ৯০% এ্যামপ্লিচুডে পৌছাতে যে সময় লাগে তাকে রাইজ টাইম বলা হয়। চিত্র (খ)তে একটি প্রকৃত পাল্সের রাইজ-টাইম দেখানো হয়েছে। একে tr দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ফল টাইমঃ কোন পাল্স সিগনাল পূর্ণ এ্যামপ্লিচুডের ৯০% হতে ১০% এ্যামপ্লিচুডে নামতে যে সময় লাগে তাকে ফল-টাইম বলা হয়। চিত্র (খ)তে একটি প্রকৃত পাল্সের ফল-টাইম দেখানো হয়েছে। একে tf দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
পাল্স উইথঃ সাধারণ হিসাবে কোন পাল্স সিগনালের রাইজ টাইমের ৫০% হতে ফল টাইমের ৫০% পর্যন্ত পৌছাতে যে সময় লাগে তাকে পাল্স উইথ বলা হয়। তবে বিশেষ সিস্টেমের ক্ষেত্রে তা পরিবর্তন হতে পারে। পাল্স উইথকে tw দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ওভারশুটঃ স্টেট পরিবর্তনের/রাইজিং এর সময় একটি সিগনাল পাল্স তার নির্ধারিত পূর্ণ এ্যামপ্লিচুড অতিক্রম করে কিছুটা বৃদ্ধি পায় একে ওভারশুট (Overshoot) বলা হয়।
রিংগিং – ওভারশুট কন্ডিশনের পরবর্তি কিছু সময় ধরে একটি সাইনুসইডাল ড্যাম্পড অসিলেসন প্রত্যক্ষ করা যায় একেই রিংগিং (Ringing) অবস্থা বলা হয়। রিংগিং পরবর্তি সময়ে পাল্স সিনাল তার পূর্ণ স্টেডি স্টেট এ্যামপ্লিচুড লাভ করে। পাল্স জেনারেটর সার্কিটের আউটপুটে ইন্ডাকটিভ ও ক্যাপাসিটিভ ইফেক্টের কারণে এরূপ রিংগিং কন্ডিশন তৈরী হয়।
ড্রপঃ একটি পাল্স সিগনাল তার পূর্ণ স্টেডি স্টেট এ্যামপ্লিচুডে পৌছানো পর থেকে শুরু করে ফল-টাইমে পৌছা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পাল্স এ্যামপ্লিচুড কিছুটা হ্রাস পায়। হ্রাস প্রাপ্ত ভোল্টেজকে পাল্স ড্রপ (Pulse Droop) বা ভোল্টেজ ড্রপ (Voltege Droop) বলা হয়।
পাল্স সাইকেলঃ একটি পালসের রাইজ বিন্দু হতে পরবর্তী পালসের রাইজ বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে পূর্ণ সাইকেল বলে। অথবা একটি পালসের ফল বিন্দু হতে পরবর্তী পালসের ফল বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে পূর্ণ সাইকেল বলে।
পাল্স রেট এবং ফ্রেকুয়েন্সিঃ প্রতি সেকেন্ডে পালসের সংখ্যাকে পাল্স রেট বা পাল্সের হার বলা হয়, এবং প্রতি সেকেন্ডে যতগুলি পূর্ণ সাইকেল সম্পন্ন হয় তাকে ফ্রেকুয়েন্সী বলা হয়। ফ্রেকুয়েন্সীকে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
পিরিয়ডঃ একটি পূর্ণ পাল্স সাইকেল সম্পন্ন হতে যে সময় লাগে তাকে পিরিওড বলা হয়। একে T দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ডিউটি সাইকেলঃ কোন সিগনালের পাল্স উইথ পূর্ণ সাইকেলের শতকরা অংশকে ডিউটি সাইকেল tduty বলা হয়। ডিউটি সাইকেল পিরিওডিক সিগনালের একটি বৈশিষ্ট্য।
ডিউটি সাইকেল = (পাল্স উইথ / পিরিওড)×১০০%।
বা, tduty=(tw/T)×100%
পাল্স উইথ পূর্ণ সাইকেলের অর্ধেক হলে, ডিউটি সাইকেল ৫০% হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন