কি দ্বারা পরীক্ষা করব?
লিখেছেন লিখেছেন যুবক ছেলে ০৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:২৮:৫২ সন্ধ্যা
কি
দ্বা
রা
পরীক্ষা
ক
র
বো
?
মুভিং কয়েল ইন্সট্রুমেন্ট বা এনালগ ওহম মিটার অথবা AVO মিটারের সাহায্যে ডায়োড পরীক্ষা করা যায়। তবে এর মাধ্যমে শুধুমাত্র এনোড, ক্যাথোড শনাক্ত করা এবং শর্ট ও ওপেন কন্ডিশন ইত্যাদি পরীক্ষা করা যায় কিন্তু ডায়োডের পটেনশিয়াল বেরিয়ার ভোল্টেজ নির্ণয় করা যায় না। পক্ষান্তরে আধুনিক ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে উপরোক্ত সুবিধাগুলির পাশাপাশি ডায়োডের পটেনশিয়াল ভোল্টেজের মান নির্ণয় করা যায়। ডিজিটাল মাল্টিমিটারে ডায়োড পরিমাপের জন্য বিশেষ একটি রেঞ্জ আছে যাতে ডায়োডের চিহ্ন দেয়া থাকে, ডায়োড পরিমাপের সময় ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সিলেকটর প্রোবটি উক্ত চিহ্নিত স্থানে স্থাপন করে পরিমাপ করতে হয়। আরো অধিক জানতে দেখুন এখানে।
এনোড ও ক্যাথোড শনাক্তকরণঃ
কোন ডায়োডকে সার্কিটে সংযোগের পূর্বে তার এনোড এবং ক্যাথোড সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে নতুবা ভুল পোলারিটিতে সার্কিটে সংযোগ করলে ডায়োডটি পুড়ে ধ্বংস হবার সম্ভবনা রয়েছে। এ কাজের জন্য আমরা ডিজিটাল এবং এনালগ AVO মিটার উভয়ের ব্যবহার শিখব।
ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমেঃ সর্বপ্রথম একটি ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সিলেকটর নবটি ডায়োড চিহ্নিত রেঞ্জে স্থাপন করতে হবে। মিটারের দুটি প্রোব ডায়োডের দুটি টার্মিনালে সংযোগ করলে যদি ডিসপ্লেতে .0L পাঠ দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে ডায়োডটি রিভার্স বায়াস প্রাপ্ত হয়েছে। এবারে ডায়োডের সংযোগটি উল্টে দিলে ডায়োডটি ফরওয়ার্ড বায়াস প্রাপ্ত হবে এবং মিটারের ডিসপ্লেতে 0.34 হতে 0.7 এর মধ্যেবর্তী যে কোন একটি পাঠ আসবে। এটি হচ্ছে ডায়োডের পটেনশিয়াল বেরিয়ারের মান। এই অবস্থায় লাল প্রোবের সাথে যুক্ত টার্মিনালটি ডায়োডের এনোড এবং অপরটি ক্যাথোড হিসেবে বিবেচিত হবে। আরো অধিক জানতে দেখুন এখানে।
ডিজিটাল মিটারে ডায়োড পরীক্ষা
ডিজিটাল মাল্টিমিটারের লাল প্রোবটি মিটারের অভ্যন্তরীণ ব্যাটারীর পজেটিভ প্রান্তে এবং কালো প্রোব নেগেটিভ প্রান্তের সাথে যুক্ত তাই যখন ডায়োডের এনোড লাল প্রোবের সাথে এবং ক্যাথোড কালো প্রোবের সাথে যুক্ত হয় তখন ডায়োডটি ফরওয়ার্ড বায়াস প্রাপ্ত হয় এবং ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের ফলে মিটারে পাঠ পাওয়া যায়। সংযোগটি এর উল্টা হলে রিভার্স বায়াসের কারণে কোন কারেন্ট প্রবাহ হয় না ফলে মিটারে কোন পাঠ আসে না। এনালগ AVO মিটারের অভ্যন্তরীণ ব্যাটারী ডিজিটাল মিটারের তুলনায় উল্টা ভাবে যুক্ত থাকে তাই এনালগ মিটারের সাহায্যে ডায়োড পরিমাপের পদ্ধতিটি এর উল্টা হবে। আরো অধিক জানতে দেখুন এখানে।
এনালগ AVO মিটারের মাধ্যমেঃ প্রথমে এনালগ AVO মিটারের সিলেকটর নবটি ওহমিক রেঞ্জের x100 স্থানে স্থাপন করতে হবে। মিটারের দুটি প্রোব ডায়োডের দুটি টার্মিনালে সংযোগ করলে যদি মিটারের কাটাটি বিক্ষেপ না দেয় তাহলে বুঝতে হবে ডায়োডটি রিভার্স বায়াস প্রাপ্ত হয়েছে। এবারে ডায়োডের সংযোগটি উল্টে দিলে ডায়োডটি ফরওয়ার্ড বায়াস প্রাপ্ত হবে ও মিটারের কাটাটি বিক্ষেপিত হয়ে মিটারের লো-রেজিস্ট্যান্স স্কেলে চলে আসবে এবং মিটারে পাঠে যে রেজিস্ট্যান্স মান পাওয়া যাবে তা হচ্ছে ডায়োডের ফরওয়ার্ড রেজিস্ট্যান্সের মান। এই অবস্থায় লাল প্রোবের সাথে যুক্ত টার্মিনালটি ডায়োডের ক্যাথোড এবং অপরটি এনোড হিসেবে বিবেচিত হবে।
CHECKANALOG
এনালগ মিটারে ডায়োড পরীক্ষা
উল্লেখ্য যে, এনালগ AVO মিটারের লাল প্রোবটি মিটারের অভ্যন্তরীণ ব্যাটারীর নেগেটিভ প্রান্তে এবং কালো প্রোবটি পজেটিভ প্রান্তের সাথে যুক্ত তাই যখন ডায়োডের এনোড লাল প্রোবের সাথে এবং ক্যাথোড কালো প্রোবের সাথে যুক্ত হয় তখন ডায়োডটি রিভার্স বায়াস প্রাপ্ত হয় এবং একারণে কোন কারেন্ট প্রবাহ হয় না ফলে মিটারের কাটা বিক্ষেপিত হয় না। এবার সংযোগটি এর উল্টা হলে ডায়োডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের ফলে মিটারে পাঠ পাওয়া যায়।
আদর্শ কন্ডিশন নির্নয়ঃ
একটি ডায়োড ফরওয়ার্ড বায়াসে লো-রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শন করবে এবং রিভার্স বায়াস অবস্থায় ওপেন সার্কিটের মত কাজ করবে বা উচ্চ রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শন করবে। মিটারের মাধ্যমে পরীক্ষিত ডায়োডের বৈশিষ্ট্য এমন হলে উক্ত ডায়োডকে ত্রুটিমুক্ত ও আদর্শ বলা যায়।
শর্ট এবং ওপেন কন্ডিশন পরীক্ষাঃ
যদি ফরওয়ার্ড এবং রিভার্স উভয় সংযোগেই ডায়োডটি শূণ্য ওহম বা শূণ্যের কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শণ করে তবে বুঝা যাবে ডায়োডটির জাংশন শর্ট হয়েছে। এক্ষেত্রে ডায়োটি ত্রুটিপূর্ণ বিধায় ব্যবহার করা যাবে না।
যদি ফরওয়ার্ড বায়াসে ডায়োডটি অসীম বা অনেক বেশী (সাধারণতঃ ১ কিলোওহমের বেশী) রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শণ করে তবে বুঝা যাবে ডায়োডটি ওপেন হয়েছে। এক্ষেত্রে ডায়োটি ত্রুটিপূর্ণ বিধায় ব্যবহার করা যাবে না।
ছিদ্রযুক্ত (Leaky) ডায়োড নির্ণয়ঃ
যদি কোন ডায়োড ফরওয়ার্ড অবস্থায় স্বাভাবিক রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শন করে অর্থাত শূণ্য ওহম বা শূণ্যের কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শণ করে কিন্তু রিভার্স বায়াসে অসীম রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শন করে না বরং মোটামুটি লো-রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শণ করে তবে বুঝতে হবে ডায়োডটি Leaky এক্ষেত্রে ডায়োটি ত্রুটিপূর্ণ বিধায় ব্যবহার করা যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
২৩১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন