এডলফ হিটলারের শেষ ভাষণ ॥

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ আতিকুজ্জামান ০৫ জুন, ২০১৩, ১২:৫২:৩৩ রাত

"নিজস্ব

সম্পত্তি বলতে আমার

যা কিছু আছে তার

মালিক

হবে নাৎসি পার্টি।

পার্টির অস্তিত্ব

যদি বিলুপ্ত হয়,

তবে জার্মান রাষ্ট্রই

হবে সে সবের

অধিকারী। আর রাষ্ট্রই

যদি না থাকে,

তবে আমার বলার কিছু

নেই।"

এইটুকু বলার পর পকেট

থেকে রুমাল বের

করে চোখ দুটো মুছলেন

পরাক্রমশালী হিটলার।

মাথা উচুঁ রাখার

যথাসাধ্য

চেষ্টা করলেন। কিন্তু

সম্ভব হলো না।

ভারী মাথাটা বার বার

ঝুঁকে পড়তে লাগলো সামন

শক্ত দেহ কুজোঁ হয়ে গেল।

অবাধ্য চুলগুলো কপাল

ছাড়িয়ে বাম

চোখটাকে ঢেকে ফেলতে

হাত দিয়ে কয়েকবার

সরিয়ে দিলেন

তিনি শক্ত চুলগুলো। চোখ

মুছে নিলেন আর একবার।

তারপর

একটা লম্বা নিঃশ্বাস

ছেড়ে বললেন-

"জার্মানীর শাষন-

ক্ষমতা যার হাতেই আসুক

না কেন,

আমি তাকে একটা অনুরোধ

করবো। যুগ যুগ

ধরে আমি যেসব চিত্র

সংগ্রহ করেছি, যক্ষের

ধনের মত যেসব

শিল্পকলা সংরক্ষণ

করেছি, তার

পিছনে একটা বিশেষ

উদ্দেশ্য কাজ করেছিল।

আমি চেয়েছিলাম,

দানিয়ুব নদীর

তীরে আমার

জন্মভূমি লিনৎসে একটা

গ্যালারী স্হাপন করবো।

আমার মনের সেই সুপ্ত

বাসনা সুপ্তই

রয়ে গেছে। বাস্তবায়িত

করারঅবকাশ

আমি পাইনি।

আমি যা পারিনি মৃত্যুর

দুয়ারে দাঁড়িয়ে অনাগতদ

কাছে সবিনয়ে অনুরোধ

করবো, তারা যেন আমার

সে সাধ পূরণ করেন।

আগামীতে অনেকেই

হয়তে আমকে দ্বিতীয়

মহাযুদ্ধের নায়ক

হিসেবে চিহ্নিত করার

চেষ্টা করবে। সকল দোষ

চাপাবে আমার ঘাড়ে।

তখন আমার পক্ষ

থেকে জবাব দেবার কেউ

থাকবে না। তাই মৃত্যুর

আগে আমি স্পষ্টভাবে বল

যে,

আমরা জার্মানবাসীরা ১

সালের যুদ্ধ চাইনি।

ওটা আমাদের উপর

চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল

আমরা চেয়েছিলাম,

প্রথম মহাযুদ্ধের

গ্লানি কাটিয়ে উঠতে।

একটা আত্নমর্যাদাসম্পন্

জাতি হিসেবে পৃথিবীতে

আমরা চেয়েছিলাম,

আমাদের জাতীয়

অবমাননার দলিল

"ভার্সাই চুক্তি" বাতিল

করতে। গ্রেট ব্রিটেন

আর ফ্রান্সকে বন্ধু

হিসেবে গ্রহন করতে।

কিন্তু ইহুদি বংশসম্ভূত

না হওয়া সত্ত্বেও

আন্তর্জাতিক

খ্যাতিসম্পন্ন কতিপয়

রাষ্ট্রনায়ক ইহুদিদের

স্বার্থরক্ষার

জন্যে আমাদের

উসকানি দিয়েছিলেন

মারাত্নক পথে ধাবিত

হতে। বৃহৎ শক্তিগুলোর

প্রতি অনুরোধ

করেছি অস্ত্র

সীমিতকরণ

চুক্তি সম্পাদন করতে।

কিন্তু কেউ

এগিয়ে আসেনি। অথচ

আমি জানি, সকল দোষ

চাপানো হবে আমার

ঘাড়ে।"

প্রথম মহাযুদ্ধের

বিভীষিকার পর

ইংল্যান্ড

এবং আমেরিকার

বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার

যুদ্ধেজড়িয়ে পড়তে আমরা

সে শক্তি সত্যিই

কি আমাদের ছিল? তবু

যখন যুদ্ধ বেধেঁই গেছে,

দ্বিতীয় মাহাযুদ্ধের

নায়ক যখন আমাকে হতেই

হয়েছে, তখন

আমরা প্রাণপণ

চেষ্টা করেছি জাতীয়

মর্যাদা রক্ষা করার

জন্য। বিলাস

ব্যসনকে দূরে সরিয়ে রে

সর্বশক্তি নিয়োগ

করেছি জয়লাভে। কিন্তু

বেইমান ইহুদিজাতির

আন্তর্জাতিক

বিশ্বাসঘাতকতা আমাদে

সফল হতে দেয়নি।

এই ধ্বংসপ্রাপ্ত

বার্লিন নগরী ও

পরাজিত জার্মানীর

যারা এরপরও

বেচেঁ থাকবে, নিশ্চয়

তারা ইহুদীবাদ ও

তাদের সহযোগীদের

অভিসম্পাতদান করবে।

মনে মনে ঘৃণা করবে।

কারণ আমাদের জাতির

এই অভাবিত পরাজয়ের

জন্য তারাই দায়ী।

বিগত ছয়টি বছরের

যুদ্ধে সব

কয়টি সেক্টরেই

আমরা পরাজিত হইনি।

জয়লাভ করেছি প্রায়

সর্বত্র। কিন্তু যখন

আমরা পরাজিত হলাম

তখনই সব শেষ

হয়ে যাচ্ছে না।

ইতিহাস নিশ্চয়ই

আমাদের পরাজিত

জাতি হিসেবে বেঁচে থা

গৌরবময় ও বীরত্বপূর্ণ

সংগ্রামের

কথা লেখা থাকবে।

আত্নরক্ষার জন্য

বার্লিন ছেড়ে অনত্র্য

সরে যেতে অনেকেই

আমাকে উপদেশ দিচ্ছে।

কিন্তু ইতিহাস

সৃষ্টিকারী আমার প্রিয়

বার্লিন শহর

ছেড়ে আমি আত্নরক্ষা কর

যদি ও এখন

আমি নিশ্চিত যে, শত্রু

বাহিনীর প্রচন্ড

আক্রমণ প্রতিহত করার

ক্ষমতা আমদের নেই।

তাদের মারাত্নক

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের

সাংঘাতিক

আঘাতে বার্লিন শহরের

বিশাল বিশাল ইমারত

ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

নগরের

অভ্যন্তরে আটকা পরে হা

হাজার নিরীহ নর-

নারী, শিশু-বৃদ্ধ, যুবক-

যুবতী মৃত্যুবরণ করবে।

তবু আমি আত্নসমার্পণ

করতে কিংবা প্রাণরক্ষা

জন্যে পালাতে চাইনা।

আমি চিরদিন তাদের

ভাগ্যের সাথে নিজের

ভাগ্যকে জড়িয়ে রেখেছি

আজও তাই করতে চাই।

মরতে হয় সবাই

একসাথে মরবো।

একাকী পালাবো না।

সত্যিই যদি শেষ পর্যন্ত

বার্লিনের পতন হয়েই

যায় এবং আমার

আস্তানা রক্ষা করা কঠি

হয়ে পড়ে, তখন

আমি সেচ্ছায় মৃত্যুবরণ

করবো। নিজের মাথায়

গুলি চালাবো,

তবুবার্লিন

নগরী পরিত্যাগ

করবো না ।।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

২১৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File