হিজাবের সুফল ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধির জন্যে ৪টি অনন্য আর্টিকেল
লিখেছেন লিখেছেন অপূরণ ১৯ জুন, ২০১৩, ০২:১৬:৪২ দুপুর
সমাজে হিজাবের সুফল বয়ে আনতে হলে, হিজাবকে জানতে হবে, মানতে হবে। হিজাবের সুফল ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধির জন্যে ৪টি অনন্য আর্টিকেল আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম।
১। “আমার জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন।’’ (একজন মুসলিম বোনের গল্প!)
২। হিজাব যেভাবে ইসলামের দিকে পথ দেখাল। (সংকলিত)
৩। বিজ্ঞাপন-সংস্কৃতি ও শালীনতা। (সংকলিত)
৪। বিয়ে কিংবা ট্যুরে বা পিকনিকে যেতে বোরকা/ হিজাব খুলতে হবে কেন?
(সংকলিত)
(আর্টিকেলগুলি পড়তে চাইলে, আপনার ই-মেইল আই,ডি লিখুন অথবা আমায় ইনবক্স করুন, আপনাদেরকে (Bijoy,Sutonymj এবং Unicode ফন্টে প্রতিটি ফাইলের doc এবং pdf ফরম্যাটে সেন্ড করা হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও যদি কারো ই-মেইল থেকে ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ না থাকে তাহলে, আপনার ঠিকানা জানাতে পারেন, কুরিয়ারের মাধ্যমে ফ্রী পাঠাবো ইনশাআল্লাহ)
আপু, এসো দৃঢ় করি মন : একজন সত্যিকারের যিনি মুসলিমাহ, তিনি অবশ্যই বোরকা পরবেন এবং এজন্য তিনি বন্দী নন। তিনিই সত্যিকার অর্থে স্বাধীন, কারণ, তিনি সেই কাপড়টা পরেন না যেটা তাকে yellow (একটি ফ্যাশন হাউজ) পরতে বলে, তিনি সেই কাপড়টাও খোলেন না যেটা তাকে নকশা (দৈনিক প্রথম আলোর নারী পাতা) খুলতে বলে। তিনি নিজের প্রবৃত্তির পূজারী নন, তিনি এমনও নন যিনি culture (সংস্কৃতি) নামক abstract (ভাবমূলক) এবং relative (সম্পর্কিত) কিছু set of concept (নির্দিষ্ট কিছু ধারণা) কে বিনা বাক্য ব্যায়ে গ্রহণ করেন। একজন মুসলিমাহ হচ্ছেন চিন্তাশীল নারী, যিনি জানেন তিনি কোথা থেকে এসেছেন এবং কার কাছে ফিরে যাবেন। তিনি সচেতন কারণ তিনি জানেন দাসত্ব করতে হয় এক আল্লাহর, ফ্যাশন হাউজের বা যুবকের ক্ষুধার্ত চোখের নয়। তিনিই মুক্ত, কারণ তার জীবনের role model (ব্যক্তি-আদর্শ) শরীরসর্বস্ব কোন মডেল বা সিনেমার নায়িকার নয়। যে কেবল টাকার বিনিময়ে তার ধোকাঁবাজিময় বিজ্ঞাপন করে সৌন্দর্য নিয়ে ব্যবসা করে। উচ্চাভিলাশী বোন আমার, ইসলামের সীমানায় থেকে তুমি সবই করতে পারো ! যদি, পড়তে চাও তবে যত ইচ্ছা পড়তে পারো ! ব্যবসা-চাকুরী কিংবা যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারো ! শুধু পর্দা লঙ্ঘন করো না। মনে রেখো, ইসলাম তোমার অগ্রযাত্রায় বাধা নয়। পর্দাও অন্তরায় নয় বরং প্রগতির পথ। ইসলাম চায়, তুমি যেখানেই থাকো তোমার সতীত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মান রক্ষা হোক। তোমার কোমলতা, সৌন্দর্য এবং ভদ্রতা বজায় থাকুক। ইসলাম তোমাকে বন্দী করতে ইচ্ছুক নয়। বরং কোনো চরিত্রহীন যেন তোমাকে কলংকিত করতে না পারে ! ছলে-বলে কৌশলে তথা কোনভাবেই তোমাকে অপমানিত করতে না পারে এটাই ইসলামের অন্বেষা। আপু, ইতিহাস পড়ে দেখো, ইসলামই সর্বপ্রথম নারীকে মুক্তি দিয়েছে। নারীকে ভোগের পণ্য হতে দেয়নি শান্তির ধর্ম ইসলাম। একমাত্র ইসলামই কন্যা সন্তান প্রতিপালনের পুরস্কার ঘোষণা করেছে জান্নাত। ইসলামই পুরুষের চারিত্রিক শুচিতা যাচাইয়ে স্ত্রীর সাফাইয়ের কথা বলেছে। ইসলামে কোনো সুযোগ রাখা হয়নি যে, মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে বউ নিয়ে সুখে থাকার অথবা জন্মের পর থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত কোনো একটি পর্বে মাকে অবমূল্যায়ন করার। স্ত্রী, কন্যা ও মাতা,নারী জীবন তো এর বাইরে নয়। এ তিনটি ক্ষেত্রের কোনোটিতেই ইসলামের চেয়ে বেশি দিতে পারেনি কোনো ধর্ম বা কোনো জাতি। আমার স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজ/ভার্সিটি পড়–য়া বোন, তুমি পাশ্চাত্যের মেকি স্বাধীনতায় প্রবঞ্চিত হয়ো না। স্যাটেলাইট চ্যালেনগুলোর হৃদয়কাড়া চিত্র দেখে ধোঁকায় পড়ো না। নাটক-সিনেমা আর ইউরোপ-আমেরিকার সুখের ছবি দেখে নিজেকে হতভাগী ভেবো না। পশ্চিমা সমাজের একটু ভেতরের খবর নিলেই জানতে পারবে বাস্তব অবস্থা।
আমাদের মা-বোনদের নাসীহাহ/উপদেশ দিতে হবে বেশী-বেশী করে। আর আমাদের হতে হবে সাহসী ও সচেতন। আমাদেরকেই এই সমাজের শির্ক ও অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন