নতুন বার্তার মিথ্যাচার : হলুদ সাংবাদিকতা আরেক ধাপ এগিয়ে
লিখেছেন লিখেছেন প্রেস২৪ ০১ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৩৮:৫০ বিকাল
কিভাবে একটা মিথ্যা সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে তার একটা নমুনা দেখুন। নতুন বার্তা আজ একটা মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করে দিগন্ত টিভি নিয়ে। নিউজটি হলো : দিগন্ত টেলিভিশনকে লে-অফ ঘোষণা- লিংক http://www.natunbarta.com/media/2013/07/01/33421/47db5df46d10d0a15bb559e997255dba
অথচ রিয়েল নিউজ হলো-লে-অফ ঘোষণা হয়নি, সম্প্রচারে ফেরার প্রত্যয়ে দিগন্ত : http://newspage24.com/2013/index.php?m=details&id=1272#.UdFcBD8-21s
ঝুলে আছে দিগন্ত টেলিভিশনের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। পুনরায় সম্প্রচার শুরুর অনুমতি পাওয়া অথবা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও হাল ছাড়ছে না দিগন্ত কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রচারসংক্রান্ত অনুমতির ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় দিগন্ত টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ চ্যানেলটির সব কর্মকাণ্ড লে-অফ (সাময়িক বন্ধ) ঘোষণা করতে পারে বলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় খবর আসে। সোমবার দুপুরে এক সভার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের কথা নাকচ করে দিয়েছে।
টেলিভিশনটির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন,“আমরা দিগন্তের লে-অফ ঘোষণা করিনি। কোনো স্টাফকেই আমরা বিদায় দিতে চাই না।” তবে অর্থনৈতিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহবান জানান।
মাহবুবুল আলম বলেন, “আমরা পেশাদরিত্বের সঙ্গে কাজ করেছি। কোনো দল বা গোষ্ঠির পক্ষে কাজ করিনি। কিন্তু একটি মহল দিগন্তের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে।” খুব শিগগিরই সরকার দিগন্তের ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
গত ৫ মে রাত আড়াইটায় ইসলামিক টিভি এবং ৬ মে ভোররাত সাড়ে চারটায় দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
চ্যানেল দু’টির সম্প্রচার বন্ধের পর গত ৬ মে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “দিগন্ত টেলিভিশনসহ দু-একটি টেলিভিশন দায়িত্বশীলতার বদলে ঘটনাকে উসকে দিয়েছে। এসব চ্যানেল বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে চরম অপরাধ করেছে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে প্রচলিত আইনে এ ধরনের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।”
তথ্য অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরো জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কিন্তু বন্ধ হওয়ার পর দু’মাস পেরিয়ে গেলেও চ্যানেল দু’টির ব্যাপারে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জানা যাচ্ছে না। এতে দিগন্ত টেলিভিশন পড়েছে সবচেয়ে বেশি সমস্যায়। তারপর বিশাল বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই চ্যানেলটির শেয়ার হোল্ডার ও পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সম্প্রচার বন্ধ থাকলেও দিগন্তের স্টাফরা নিয়মিত অফিস করছেন। এছাড়া অবসর সময় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।
একস/আরআই
বিষয়: বিবিধ
১০৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন