সিনেমা, ভাবমূর্তি, আমার দেশ ও আন্তর্জাতিকায়ন
লিখেছেন লিখেছেন প্রেস২৪ ২৭ জুন, ২০১৩, ১১:১৮:০৩ সকাল
লিখেছেন হা সা ন শা ন্ত নু
------------------------------
ক্ষমতাসীন মহাজোট চাচ্ছে ছাপাখানা জব্দ, সম্পাদককে গ্রেফতার করে রেখে আর বিকল্প ছাপাখানা থেকে প্রকাশ করতে না দিয়ে দৈনিক আমার দেশকে দমন করতে। পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করার ‘কঠিন কাজের ঝুঁকিটা’ তাই সরকার নিচ্ছে না। যেমন ‘লিভ টুগেদারে’ কাজ হলে মন্ত্র, বা কলেমা পাঠ করে বিয়ে করে গুরুদায়িত্ব নেয়ার দরকার হয় না। খোলস পাল্টানো আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, স্বঘোষিত কলামিস্ট, ভাড়াটে লেখক, দলীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমার দেশ’র প্রকাশনা বন্ধ ও এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের পদক্ষেপ ‘জায়েজ’ করা যাবে, এমন চিন্তায়ও মগ্ন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। ‘সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল করেনি, বিকল্প ছাপাখানা থেকে প্রকাশ করতে আইনি বাধা নেই’—এ জাতীয় ভন্ডামিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ‘ভাবমূর্তি’ তাই খাড়া রাখতে ও ‘নিষ্পাপতা’ প্রমাণে সরকার সচেষ্ট!
জনগণকে ডাহা মিথ্যে সরকারি বক্তব্য বিশ্বাস করাতে না পারলে রাষ্ট্রীয় খরচে ২০১৩ সালে হজ করার খরচ বা সৌদি ভ্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়া হবে। রাজনৈতিক প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ, মহাজোটের শরিক বাম, আধাবাম দলের নেতাদেরও হজে পাঠানো হবে। হজের আগে দেশে আওয়ামী লীগ ও বাম নেতাদের উদ্যোগে মিলাদ-মাহফিলের অবিরাম আয়োজন চলতে থাকবে। এসবের লক্ষণ এর মধ্যে জনগণ দেখছেনও। কবি, নারী ও গোলাপ ফুলবিষয়ক কবিতার কবি, সাবেক স্বৈরাচারী এরশাদের রাজনৈতিক ভণ্ডামির ফসল ‘জাকের পার্টি’। এ দলের জাতীয় কাউন্সিলে রাশেদ খান মেননের মতো প্রগতিবাদী নেতারা অংশ নিয়ে ‘দলটির সাফল্যের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন’। এভাবে চলতে থাকবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ‘ধর্মসেবা’। তখন হয়তো জনগণ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে, এমন ‘ধার্মিক’ সরকারের পক্ষে আমার দেশ বন্ধ করার মতো খারাপ কাজটি করা একেবারেই অসম্ভব!
তবে বাস্তবতা ভিন্ন রকম। দেশ-বিদেশে কোথাও সরকার আমার দেশ বন্ধের পক্ষে আইনসম্মত ব্যাখ্যা দিতে পারছে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রে গণমাধ্যম নিপীড়নের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মহাজোটের অনেকেই যথেষ্ট অজ্ঞ। আর নামের সঙ্গে ইসলাম শব্দটির ইংরেজি থাকায় যে সরকার ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে, সে সরকারের নিজেকে দেশের জনগণের কাছে ‘ইসলামপ্রিয়’ হিসেবে প্রমাণ করা ভয়াবহ দুঃসাধ্য বিষয়। ইসলামিক টিভি কোনো অর্থেই ভিন্ন মতাদর্শের ছিল না। বারোভাজা এ চ্যানেলের মতাদর্শ আসলে কী, এর সঙ্গে জড়িত অনেক সাংবাদিকেরও বিষয়টি জানা নেই।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বুদুয়েলের ‘এক্সটারমিনেটিং অ্যাঞ্জেল’ সিনেমায় ভণ্ড অধিপতিদের মুখোশ ধসে পড়ার মতো আমার দেশ বিষয়ে সরকারের মুখোশটা স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। পত্রিকাটির উপর সরকারি নির্যাতন, মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রাখার বিষয়গুলোর ‘আইনি’, এমনকি সামান্য বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যাও সরকার জনগণের কাছে হাজির করতে পারছে না। ব্যাখ্যা হাজির করা সরকারের পক্ষে অসম্ভবও। কারণ, গণতন্ত্রই একমাত্র ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় থেকে গণতন্ত্রের বিপক্ষেও কথা বলা যায়। গণতন্ত্রের ‘চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম’ বন্ধ করে ক্ষমতার জোরে একটা ব্যাখ্যা দিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষকে তাই বোকা বানানোটা সহজ নয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী, দলটির সমর্থক সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অনেকে আমার দেশ’র প্রকাশনা বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে। সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় লিখে, টকশো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তারা আমার দেশ’র পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
গত সাড়ে চার বছরে নানা ইস্যুতে দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি এমনভাবে নেতিয়ে পড়ছে যে, পাওয়ারফুল উত্তেজক দিয়েও শিগগিরই দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে না। এসব ইস্যুর পাশাপাশি গতানুগতিক ইস্যু দুর্নীতি, দলবাজি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদির সঙ্গে আমার দেশ, মাহমুদুর রহমান, সবশেষে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভিও অন্যতম। অবশ্য গত সাড়ে চার বছরে সরকারের সব কর্মকাণ্ডই মন্দ, এমনটা কিছুতেই দাবি করা যাবে না।
গত ২০ জুন ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বামপাশে খালেদা জিয়া, ডানপাশে শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে’। বিদেশের পত্রিকায় সাফল্য প্রচারে সরকার চাঁদাবাজি করছে বলে গত ৯ জুন দৈনিক কালের কণ্ঠে খবর বেরিয়েছে। চার বছরের সাফল্য ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে লন্ডনের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দি ইনডিপেনডেন্ট’ পত্রিকায় ছয় পৃষ্ঠার বিশেষ ক্রোড়পত্র সরকার প্রকাশ করতে চায় বলে কালের কণ্ঠের খবরে উল্লেখ করা হয়। অতি আওয়ামী লীগার, নব্য আওয়ামী লীগার, রক্তসূত্রে আওয়ামী লীগার বা বিলেত ফেরত বাম, আধাবামরা মিলেও সরকারের নেতিয়ে পড়া ‘ভাবমূর্তি’ খাড়া করতে পারছেন না। এ কাজে সরকারের সঙ্গে জনা কয়েক কমিউনিস্টও আছেন। প্রতিবেশী ভারতে ‘কমিউনিস্ট’ অসংসদীয় শব্দ। দেশটির লোকসভায় একবার এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ‘বন্ধুত্বের অর্থ এই নয় যে, কমিউনিস্টদের কাছে আমি আমার বউকে দিয়ে দেব।’ এরপর থেকে ‘কমিউনিস্ট’ শব্দটি ভারতে অসংসদীয়। এদেশের জাতীয় সংসদেও অনৈতিক, অশালীন শব্দ ব্যবহার নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। কখন যে কোন শব্দটিকে স্পিকার সংসদে ‘নিষিদ্ধ’ করেন, বলা মুশকিল। এদেশে অনেক কিছুই ঘটে ভারতের অনুকরণে। আগেভাগের সতর্কতা হিসেবে কমিউনিস্ট শব্দটা নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করাই ভালো।
১৯৬৬ সালের ৮ মে সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক, প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া বলেছিলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক দিকও রয়েছে। যে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, সে দেশ বহির্বিশ্বে মর্যাদার আসন লাভ করতে পারে না’। (সূত্র : নির্বাচিত ভাষণ ও নিবন্ধ, বাংলাদেশ বুকস ইন্টারন্যাশনাল)। তার এ বক্তব্য সাতচল্লিশ বছর পর এদেশে আবার সত্য হলো ক্ষমতাসীন মহাজোটের জন্য। সরকার দ্বিতীয়বারের মতো আমার দেশ’র প্রকাশনা বন্ধ করার পর পত্রিকাটির পাশে দেশীয় গণমাধ্যমের পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে নানা দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যম। আমার দেশ, মাহমুদুর রহমান ইস্যুটির আন্তর্জাতিকায়ন হচ্ছেই। এটা ঠেকাতে পারছে না আওয়ামী-বাম মহাজোট। এতে সরকারের ‘ভাবমূর্তি’ কালিমালিপ্ত হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিটফান্ড সারদা গ্রুপের মালিকানাধীন তারা নিউজ মালিকপক্ষ বন্ধ ঘোষণা করলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার চ্যানেলটির সম্প্রচার অব্যাহত রাখতে ও সাংবাদিকদের বেকারত্ব ঠেকাতে এগিয়ে আসে। অর্থ সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে পনের/ষোল দিন আগে ইআরটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ করে দেয় গ্রিস সরকার। দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত গত ১৮ জুন চ্যানেলটির সম্প্রচার পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। আর এদেশের সরকার আদালতকে ব্যবহার করে আমার দেশ’র প্রকাশনা বন্ধ করে রেখেছে। সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির। মহাজোটের ‘ভাবমূর্তি’ তাই খাড়া হবে কিসের জোরে?
আমার দেশ’র ছাপাখানা অন্যায়ভাবে জব্দ করে রাখা, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা বা প্রতিষ্ঠাবিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান নিন্দা জানাচ্ছে। গত ২৫ মে দি ইকোনমিস্টের অনলাইন সংস্করণে ‘প্রেস ফ্রিডম ইন বাংলাদেশ, ইন দ্য বেস্ট ইন্টারেস্ট অব দ্য মিডিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত নিবন্ধে আমার দেশ বন্ধ, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া গত ১২ ও ১৯ এপ্রিল মানবাধিকার সংগঠন এএইচআরসি, ১৩ ও ১৬ এপ্রিল সিপিজে, ১৭ এপ্রিল এফআইডিএইচ, ওএমসিটি, ২০ এপ্রিল রেডিও তেহরান, ২৩ এপ্রিল আফাদ, ২৯ এপ্রিল ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি কমিটি অব মিনবিউন, কোরিয়ান হাউস অব ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি, পিপলস সলিডারিটি ফর পার্টিসিপেটরি ডেমোক্র্যাসি এবং সারাংবাং গ্রুপ অব হিউম্যান রাইটস নিন্দা, প্রতিবাদ জানায়। গত ১১ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের খবর তাত্ক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তাকে গ্রেফতারের পরপরই ওয়াশিংটন পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, আল জাজিরা, বিবিসি, ভারতের দ্য স্টেটসম্যান, দ্য হিন্দু, গালফ নিউজ, এএফপি, এপিসহ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিকরা আমার দেশ’র পাশে আছেন। শুধু খোলস পাল্টানো জনা কয়েক আওয়ামী বুদ্ধিজীবী পত্রিকাটির প্রকাশনার বিপক্ষে। তবে তাদের বিষয়েও আমার দেশ’র কোনো কোনো পাঠক, শুভানুধ্যায়ী নিরাশ নন। তাদের প্রত্যাশা, খোলসওয়ালাদের আমার দেশ বিরোধিতাবিষয়ক মনস্তত্বে পরিবর্তন ঘটবে। যেমনটি ‘আই ভিন্তি’ সিনেমার ব্রিটিশ সংস্করণে সাংবাদিক নায়কের মনস্তত্বে পরিবর্তন ঘটেছিল। ওই সিনেমার নায়ক কেন্ ওয়টন পেশায় সাংবাদিক। তাকে একদিন আউবেরি হেল্লান নামে এক লোক জানান, এক পার্কে এক নারীর লাশ পাওয়া গেছে। যা পত্রিকায় ছাপা হলে আলোচিত সংবাদ হবে। তবে হেল্লান খবরটি বিক্রি করতে চায় সাংবাদিক ওয়টনের কাছে। ওয়টন খবরটি কিনতে রাজি হন। হেল্লান তথ্যবিনিময় করে ওয়টনের কাছে। এক পর্যায়ে হেল্লান স্বীকার করেন যে, তিনি নিজেও খুনের সঙ্গে জড়িত। এতে পুরো ঘটনা পাল্টে যায়। সাংবাদিক ওয়টন তার প্রতিবেদনের পুরোটাই পরিবর্তন করেন। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকের মনস্তত্বের পরিবর্তন ঘটে।
খোলসওয়ালাদের জন্য ‘ব্লো আপ’ সিনেমাটির কথাও বলা যায়। ১১১ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমারও বিষয়বস্তু সাংবাদিকতা। সিনেমার নায়ক টমাস লন্ডন শহরের ফটো সাংবাদিক। টমাস একদিন পার্কে এসে প্রেমরত মাঝবয়সী এক ভদ্রলোক ও ভদ্র নারীর ছবি তুলেন। তাদের প্রেম টমাসের কাছে স্বর্গীয় মনে হয়। তিনি ছবি তোলেন গোপনে। নারীটি এক পর্যায়ে টের পান, কেউ তাদের ছবি তুলছেন। তিনি নিশ্চিত হন যে, টমাস তাদের ছবি তুলছেন। তিনি ছবির রিল পাবার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। সেগুলো না পেয়ে টমাসকে সেক্সের প্রস্তাব দেন। ছবি ধোয়ানোর পর টমাস অবাক! তিনি ভেবেছিলেন, প্রেমে আবদ্ধ নারী-পুরুষ পার্কে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। সেটা আসলে একটা খুনের ঘটনা। এরপর টমাস পার্কে গিয়ে দেখেন পুরুষটির লাশ পড়ে আছে। বাসায় ফিরে টমাস দেখেন ছবি, রিলগুলো কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।
খোলসওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ, সরকারি প্রণয়লীলায় মুগ্ধ না থেকে দয়া করে আমার দেশ-বিষয়ক সত্যটুকু জানুন।
বিষয়: বিবিধ
১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন