সংসদে তথ্যমন্ত্রী আমার দেশ সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন

লিখেছেন লিখেছেন প্রেস২৪ ১০ জুন, ২০১৩, ০৩:৩৪:৩৯ দুপুর



পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দৈনিক আমার দেশ সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, সিটি এডিটর ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ফিচার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, “আমরা আজ এক বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য চক্রান্ত শুরু হয়েছে। খোদ সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং একটি চিহ্নিত মহল মত প্রকাশের অধিকারকে দুর্বিনীত অপপ্রয়াসের মাধ্যমে দমনের পাশাপাশি সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। সংসদের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী বিকল্প প্রেস থেকে আমার দেশ ছাপতে বাধা নেই বলে মিথ্যাচার চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। এর আগেও তিনি আমার দেশ-এর ছাপাখানা খুলে দেয়া ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে দেশের বিশিষ্ট ১৫ সম্পাদকের বিবৃতি নিয়েও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মিডিয়ার শত্রু হিসবে নিজের অবস্থান চিহ্নিত করেছেন।”

তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, পাঠকনন্দিত দৈনিক আমার দেশ-এর ছাপাখানা গত ১১ এপ্রিল থেকে সরকার অন্যায়ভাবে বন্ধ করে রেখেছে। ভিন্নমত প্রকাশের কারণে পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে। ১৯৭৩ সালের প্রেস ও পাবলিকেশন্স অ্যাক্টের ১০ ধারা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (ডিসি) অবহিত করে বিকল্প প্রেস আল-ফালাহ থেকে ১১ ও ১২ এপ্রিল আমার দেশ ছাপা হলেও ১৩ এপ্রিল রাতে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ওই প্রেসে হানা দিয়ে পত্রিকা প্রকাশে বাধা দেয় এবং আমার দেশের ১৯ জন প্রেসকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বৃদ্ধা মা মাহমুদা খাতুন এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রাকর ও দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করে।”

আবদাল আহমদ বলেন, “এর পরেই তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংবাদ সম্মেলন করে ‘বি’ ফরম পূরণের মাধ্যমে বিকল্প প্রেস থেকে আমার দেশ ছাপতে ডিসির অনুমতি নেয়ার কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই সুরে জেলা প্রশাসকও প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্টের ৭ ধারা অনুসরণ করে নতুন করে আবেদন করতে বলেন। ৭ ধারা অনুসরণ না করে এব ‘বি’ ফরম পূরণ ছাড়া আল-ফালাহ থেকে আমার দেশ ছাপাকে বেআইনি উলে¬খ করে রমনা থানায় দায়ের করা মামলাটির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সঠিক নয় চিহ্নিত করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তিন মাসের জন্য স্থগিত এবং সরকারের সংশি¬ষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করে। এমতাবস্থায়, সংসদে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই আমার দেশ বিকল্প প্রেস থেকে ছাপতে বাধা নেই বলে বক্তব্য দিলে নতুন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।”

আমার দেশ নির্বাহী সম্পাদক বলেন, “তথ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রেস ও প্রিন্টিং অ্যাক্টের ১০ ধারা অনুযায়ী একটি অবহিতপত্র নিয়ে গতকাল (৯ জুন, ২০১৩) আমরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তথা ঢাকার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিকল্প প্রেসে অস্থায়ীভাবে আমার দেশ ছাপার বিষয়ে কথা বলি। এ সময় তিনি আমাদের ১০ ধারা অনুযায়ী আমার দেশ পত্রিকা আল-ফালাহ প্রেস থেকে ছাপা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

গতকাল আমার দেশ-এর আইনজীবীরাসহ পত্রিকাটির সিনিয়র সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পত্রিকা প্রকাশে বাধা দূর করার কথা বললে তিনি প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১০নং ধারার উদ্ভট ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এটি পত্রিকার নিজস্ব প্রেস অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জেলা প্রশাসক আমার দেশ-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে এক ধরনের অস্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা আবেদন করতে পারেন। আবেদনটি তদন্ত করা হবে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের তদন্তে আপনাদের পক্ষে রিপোর্ট এলে পত্রিকার প্রকাশককে আমার সামনে নিয়ে এসে ‘বি’ ফরম স্বাক্ষর করে সরকারের অনুমতি পেলে বিকল্প প্রেসে ছাপতে পারেন’।”

তিনি বলেন, “এ সময় আমার দেশ-এর আইনজীবী ও সিনিয়র সাংবাদিকরা আইনের ১০ ধারা এবং অতীতে এ ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসককে অবহিত করে ২০১০ সালে ৩৬ দিন বিকল্প প্রেস থেকে পত্রিকা প্রকাশ, আইনটি সম্পর্কে হাইকোর্ট বেঞ্চের ব্যাখ্যামূলক আদেশ, আল-ফালাহ প্রেসে পত্রিকার ছাপা বন্ধ করে দায়ের করা মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিতকরণ এবং জেলা প্রশাসকসহ সংশি¬ষ্টদের প্রতি রুল জারির বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা ও যুক্তি তুলে ধরেন। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক আবেদনটি অফিসিয়ালি গ্রহণ করেন এবং তার অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানান। তবে তিনি পত্রিকা ছাপতে বারণ করেন। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।”

প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, সিটি এডিটর ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ফিচার এডিটর ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কবি হাসান হাফিজ, পত্রিকার স্পোর্টস এডিটর ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আমার দেশ ইউনিটের প্রধান বাছির জামাল, সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক এম এ নোমান, আমার দেশ-এর প্রধান ফটোসাংবাদিক মীর আহাম্মদ মীরু ও আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।”

তিনি বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসককে জানাই, আমার দেশ প্রকাশে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিভিন্ন স্থানে বলেছেন। এমনকি জাতীয় সংসদেও এ বিষয়টি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানেও তিনি বলেছেন, বিকল্প প্রেস থেকে আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশে আইনগত বাধা নেই। জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে বিকল্প প্রেসে পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে। বিদ্যমান প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্টের ৭ ধারা অনুযায়ী ‘বি’ ফরম পূরণ করার শর্ত আমার দেশ-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা আমার দেশ-এর নিজস্ব প্রেস রয়েছে। প্রেস স্থায়ীভাবে পরিবর্তনের ক্ষেত্রেই কেবল ‘বি’ ফরম পূরণের প্রশ্ন আসে। কোনো কারণে নিজস্ব ছাপাখানায় পত্রিকা ছাপতে বাধাগ্রস্ত হলে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নিজস্ব প্রেস ব্যবহার করা না গেলে প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্টের ১০ ধারা অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে অন্য প্রেস থেকে পত্রিকা ছাপার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, বিকল্প প্রেসে ছাপার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। আমার দেশ কর্তৃপক্ষ আইন মেনেই এটা করেছে।”

সৈয়দ আবদাল বলেন, “এর জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্টের ৭ ধারা অনুযায়ী প্রকাশককে ‘বি’ ফরম পূরণ করতে হবে। এসবি রিপোর্টের পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে অন্য প্রেসে আমার দেশ ছাপতে দেবে কি-না।”

তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসকের এ বক্তব্যের জবাবে আমরা তাকে জানাই, আমরা আইন মেনে বিকল্প প্রেস হিসেবে আল-ফালাহ প্রেসে ছাপতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং একটি মামলা দিয়েছে। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলসহ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের এক সপ্তাহ ধরে শুনানি হয়েছে। আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে এবং কেন মামলাটি বাতিল করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছে। আপনার প্রতিও রুল জারি করা হয়েছে। এ পর্যায়ে হাইকোর্টের আদেশের কপিও জেলা প্রশাসককে দেয়া হয়। এ অবস্থায় আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী আমার দেশ অন্য প্রেসে ছাপতে কোনো আইনগত বাধা নেই। জেলা প্রশাসককে আরো জানানো হয়, ২০১০ সালে একইভাবে আমার দেশ-এর প্রেসে সিলগালা করে দেয়া হলে একই ধারা বলে জেলা প্রশাসক বরাবর অবহিতকরণ পত্র দিয়ে দীর্ঘদিন আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস থেকে পত্রিকা ছাপা হয়েছে, তার প্রমাণ জেলা প্রশাসকের ফাইলে রয়েছে। তখন ১০ ধারার কোনো অপব্যাখ্যা করা হয়নি। আকস্মিক পরিস্থিতিতে যাতে প্রকাশনা অব্যাহত রাখা যায়, সেজন্যই ১০ ধারায় বিকল্প ছাপাখানায় ছাপার সুযোগ রাখা হয়েছে। ছাপাখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন, সে আবেদনের ওপর তদন্ত এবং ‘বি’ ফরম স্বাক্ষরের পর পত্রিকা ছাপতে হলে তো দীর্ঘদিন পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ থাকবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ১০ ধারায় আগে পত্রিকা ছেপে পরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে।”

আবদাল বলেন, “আমার দেশ-এর ঢাকা অফিসে কর্মরত প্রায় তিনশ ও ঢাকার বাইরে কর্মরত আরো পাঁচশ সাংবাদিক-কর্মচারী এবং এজেন্ট-হকার মিলে কয়েক হাজার পরিবার বর্তমানে সরকারের আইন বিরোধী স্বৈরাচারী আচরণের শিকার। দেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ থেকে। এ অবস্থায় এই মুহূর্তে দেশের গণমাধ্যম স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং আমার দেশ বন্ধের সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নেই বলে তথ্যমন্ত্রীর দাবি নির্জ্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা বলি, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আজ বেশি বিপদাপন্ন। বর্তমান সরকারের আমলে আমার দেশ ছাড়াও দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি অতি সম্প্রতি বন্ধ করা হয়েছে। তার আগে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করা হয়েছে, যমুনা টিভির সম্প্রচার শুরু করতে দেয়া হয়নি।”

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, “আপনারা জানেন, আমার দেশ ‘স্বাধীনতার কথা বলে’ শ্লোগান নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার পক্ষে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল। সরকারের দুর্নীতি, অপকর্ম ও সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় আমার দেশ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই সরকারের রোষানলে পড়েছে আমার দেশ। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। যদিও আদালতের প্রতি দেশবাসীর আস্থা আজ তলানিতে। তারপরও আইনি লড়াই ও রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে ইনশাল্লাহ আমরা আবার ছাপার হরফে আমার দেশ অগণিত পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারব। মুক্ত করব অকুতোভয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে।”

সবশেষ সৈয়দ আবদাল আহমদ তাদের লড়াই-সংগ্রামে সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।

সূত্র: নতুন বার্তা

ছবি: নতুন বার্তা

বিষয়: রাজনীতি

১০২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File