Rose Rose Roseপথের দিশায়...Rose Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ২৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:৩৩:৫১ সন্ধ্যা

১.) সেই ফেরেশতাদের কসম যারা ডুব দিয়ে টানে

২.) এবং খুব আস্তে আস্তে বের করে নিয়ে যায়।

৩.) আর (সেই ফেরেশতাদেরও যারা বিশ্বলোকে) দ্রুত গতিতে সাঁতরে চলে,

৪.) বারবার (হুকুম পালনের ব্যাপারে) সবেগে এগিয়ে যায়,

৫.) এরপর (আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী) সকল বিষয়ের কাজ পরিচালনা করে।

৬.) যেদিন ভূমিকম্পের ধাক্কা ঝাঁকুনি দেবে

৭.) এবং তারপর আসবে আর একটি ধাক্কা।

৮.) কতক হৃদয় সেদিন ভয়ে কাঁপতে থাকবে।

৯.) দৃষ্টি হবে তাদের ভীতি বিহবল।

১০.) এরা বলে, “সত্যিই কি আমাদের আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে?

১১.) পচা-গলা হাড্ডিতে পরিণত হয়ে যাওয়ার পরও?”

১২.) বলতে থাকে “তাহলে তো এ ফিরে আসা হবে বড়ই লোকসানের!”

১৩.) অথচ এটা শুধুমাত্র একটা বড় রকমের ধমক

১৪.) এবং হঠাৎ তারা হাযির হবে একটি খোলা ময়দানে।

১৫.) তোমার কাছে কি মূসার ঘটনার খবর পৌঁছেছে?

১৬.) যখন তার রব তাকে পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় ডেকে বলেছিলেন,

১৭.) “ফেরাউনের কাছে যাও, সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে।

১৮.) তাকে বলো, তোমার কি পবিত্রতা অবলম্বন করার আগ্রহ আছে

১৯.) এবং তোমার রবের দিকে আমি তোমাকে পথ দেখাবো, তাহলে তোমার মধ্যে (তাঁর) ভয় জাগবে?”

২০.) তারপর মূসা ফেরাউনের কাছে গিয়ে তাকে বড় নিদর্শন দেখালো।

২১.) কিন্তু সে মিথ্যা মনে করে প্রত্যাখ্যান করলো ও অমান্য করলো,

২২.) তারপর চালবাজী করার মতলবে পিছন ফিরলো।

২৩.) এবং লোকদের জমায়েত করে তাদেরকে সম্বোধন করে বললোঃ

২৪.) “আমি তোমাদের সবচেয়ে বড় রব”

২৫.) অবশেষে আল্লাহ তাকে আখেরাত ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন।

২৬.) আসলে এর মধ্যে রয়েছে মস্তবড় শিক্ষা, যে ভয় করে তার জন্যে।

২৭.) তোমাদের সৃষ্টি করা বেশী কঠিন কাজ, না আকাশের? আল্লাহই তাকে সৃষ্টি করেছেন,

২৮.) তার ছাদ অনেক উঁচু করেছেন। তারপর তার ভারসাম্য কায়েম করেছেন।

২৯.) তার রাতকে ঢেকে দিয়েছেন এবং তার দিনকে প্রকাশ করেছেন।

৩০.) এরপর তিনি যমীনকে বিছিয়েছেন।

৩১.) তার মধ্য থেকে তার পানি ও উদ্ভিদ বের করেছেন

৩২.) এবং তার মধ্যে পাহাড় গেড়ে দিয়েছেন,

৩৩.) জীবন যাপনের সামগ্রী হিসেবে তোমাদের ও তোমাদের গৃহপালিত পশুদের জন্য

৩৪.) তারপর যখন মহাবিপর্যয় ঘটবে।

৩৫.) যেদিন মানুষ নিজে যা কিছু করেছে তা সব স্মরণ করবে

৩৬.) এবং প্রত্যেক দর্শনকারীর সামনে জাহান্নাম খুলে ধরা হবে,

৩৭.) তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছিল

৩৮.) এবং দুনিয়ার জীবনকে বেশী ভালো মনে করে বেছে নিয়েছিল,

৩৯.) জাহান্নামই হবে তার ঠিকানা।

৪০.) আর যে ব্যক্তি নিজের রবের সামনে এসে দাঁড়াবার ব্যাপারে ভীত ছিল এবং নফসকে খারাপ কামনা থেকে বিরত রেখেছিল

৪১.) তার ঠিকানা হবে জান্নাত।

৪২.) এরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, সেই সময়টি (কিয়ামত) কখন আসবে?

৪৩.) সেই সময়টি বলার সাথে তোমার সম্পর্ক কি?

৪৪.) এর জ্ঞান তো আল্লাহ পর্যন্তই শেষ।

৪৫.) তাঁর ভয়ে ভীত এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক করাই শুধুমাত্র তোমার দায়িত্ব।

৪৬.) যেদিন এরা তা দেখে নেবে সেদিন এরা অনুভব করবে যেন (এরা দুনিয়ায় অথবা মৃত অবস্থায়) একদিন বিকাল বা সকাল অবস্থান করেছে মাত্র।

- (সুরা নাযি'আত)

বিষয়: বিবিধ

১২১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File