জামায়াত ভেড়ার পালের সিংহ! [{(নিউজইভেন্ট২৪.কম)}]

লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ১৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৩০:৫৪ বিকাল

জামায়াত ভেড়ার পালের সিংহ!

জ.হাসান

***

জামায়াত হলো সেই সিংহ শাবক

যে ছোট বেলায় ভেড়ার

দলে মিশে তার আত্নপরিচয়

ভুলে গিয়েছিল। জামায়াত

মাঠে থাকলেও জোটের

অন্যরা কেবল

মিডিয়া মুখি আন্দোলনের

হুংকার সর্বস্ব। ১৮দলীয় জোট

নীরব থাকলেও চলে জামায়াতের

কর্মসূচী।

মাত্র তিন সপ্তাহের

ব্যবধানে বাংলাদেশ

জামায়াতে ইসলামী ০৬ দিনের

দেশব্যাপী হরতাল আহবান

করে তা পালন ও করেছে।

হরতালে জনদুর্ভোগ হয়েছে,

ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন জায়গায়

পর্যটকরা আটকা পড়েছে।

ঈগের আগে এবং পড়ে ঘরমুখি আর ঘর

ফেরত মানুষ

রাস্তাঘাটে ভোগান্তিতে পড়েছে।

এর সবটাই সত্য। জামায়াত এই সকল

ভোগান্তির কথা স্বীকার ও করেছে।

সাথে সাথে তারা এটা ও

দাবী করেছে যে হরতাল ছাড়া তাদের

বিকল্প ছিলোনা। তাদের ভাষায়,

আমরা মিটিং করতে পারিনা,

আমাদের সমাবেশ

করতে দেওয়া হয়না, আমরা কোন

অফিস

কিংবা বাসাবাড়িতে একত্রিত

হলে “নাশকতার গোপন বৈঠক”

বলে আমাদের গ্রেফতার করা হয়।

তাহলে বিকল্প

হিসাবে থাকে একমা্ত্র হরতাল।

জামায়াত যে জোটে আছে সেই

জোটের নেতারা গত চার বছর ধরেই

তীব্র আন্দোলনের

ফাকা বুলি দিয়ে আসছেন। তাদের

এই হুংকার যে কেবল হুংকার

তা সরকারি জোট খুব ভালো ভাবেই

জানে। এ নিয়ে শরীকদের

মনে যেমন প্রশ্ন, তেমনি, জনগনের

এবং রাজনৈতিক

বিশ্লেষকরা যথেষ্ট সন্দিহান।

বিবিসির সাবেক বাংলা বিভাগের

প্রধান সিরাজুর রহমান তার

কলামে বিএনপির এই ফাকাবুলির

তীব্র সমালোচনা করে লিখেন”

সাধারণ মানুষ জানে ঈদের পর

আগস্ট মাসেরও প্রায় তিন

সপ্তাহ অবশিষ্ট আছে। এ সময়

বিএনপি নেতারা কি নাকে তেল

দিয়ে ঘুমোবেন? শেখ

হাসিনা যদি সেপ্টেম্বরের শেষ

সপ্তাহে কিংবা অক্টোবরের

প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন

ডেকে বসেন (খুব সম্ভবত সেটিই

তার পরিকল্পনা) তা হলে তার

পরে লাগাতার হরতাল ডেকে কার

কী লাভ হবে? মওদুদ

সাহেবেরা উল্টোপাল্টা সময়সূচি ঘোষণা করে কার

উপকার করছেন জানি না, কিন্তু

বিএনপির কোনো উপকার

তারা করছেন না“।

বিএনপির এরকম দোদুল্যমান

অবস্থায় জামায়াতের শক্ত অবস্থান

এবং কর্মসূচী পালন দলটির

সাহসীকতা প্রমান করেছে।

দলটির নেতা ডঃ তাহের বলেছেন

জামায়াত আগামী নির্বাচনে অংশ

গ্রহণ করবেই, আর

সে ব্যবস্থা আমরা করবো।অর্থাৎ

তারা আরও তীব্র আন্দোলন

করবেন।

এর আগে শাহজাহানপুর থানার এক

নেতা বলেছিলেন, আমাদের

সাথে কে এলো আর কে এলোনা,

তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।

আমরা আন্দোলন করবোই।

বিএনপির আন্দোলন

নিয়ে চাতুরীময় হুংকার

এবং জামায়াতের সক্রিয় আন্দোলন

নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ

মাধ্যমে ও যথেস্ট সমালোচন হচ্ছে।

যার বেশির ভাগ ই বিএনপির

আন্দোলনের সক্ষমতার

ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ

করে তীব্র বাণ। আর জামায়াতের

আন্দোলন স্প্রীহার প্রশংসা।

অবশ্য জনভোগান্তির বিষয়টি ও

তারা তাদের সমালোচনায় এনেছে।

জামায়াতের হরতাল এবং আন্দোলন

প্রসংগে ফেসবুকে মিজানর রহমান

এর একটি উক্তি কোট করেন ব্লগার

হাসান।

“মিছিলে লুঙ্গী পড়া মানুষ

দেখে মনে হচ্ছে এই হরতালে সাধারন

গণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে।

যে আন্দোলনে জনতার সায়

থাকে তা সফল হতে বাধ্য। জামায়াত-

শিবিরের চলমান

আন্দোলনে কেবলমাত্র গণমানুষের

সায় নয় প্রবল অংশগ্রহন

দেখা যাচ্ছে। দেশের কিছু কিছু

এলাকায় জামায়াতের ভালো নেতৃত্ব

থাকায় সেখানকার মানুষ সংগঠিত

হবার সুযোগ পাচ্ছেন। অনেক

এলাকায় স্থানীয় নেতৃত্ব দুর্বল

হওয়ায় জনসমর্থন থাকার পরও

সংগঠিত প্রতিবাদ খুব প্রবল নয়।

জামায়াত যে জামায়াত এই

বিষয়টি জামায়াত বুঝতে পারলো এক

বছর আগে। তারা এটা বিশ্বাস

করতে পারলো যে জামায়াত একাই

হরতালের মতো কর্মসূচী বাস্তবায়ন

করতে পারে। জামায়াতের এই উত্থান

আগামী দিনের

বাংলাদেশকে একটি বড়

পরিবর্তনের

মুখোমুখী করবে বলে আমার

বিশ্বাস। জামায়াত হলো সেই সিংহ

শাবক যে ছোট বেলায় ভেড়ার

দলে মিশে তার আত্নপরিচয়

ভুলে গিয়েছিল।”

এটা তো সত্যি কথাই একটি সিংহ

শাবক সে যদি ভেড়ার পালের

সাথে বেড়ে উঠে তবে তো তার আচার

আচরন পরিবর্তন হবেই।

কারো কারো ধারনা জোটের

স্বার্থে জামায়াতের অবদানটা একটু

বেশী হয়ে যাচ্ছে। শতকরা ১৩ ভাগ

ভোটের অধিকারী দলটি নিজেদের

আন্দোলন যখন নিজেরাই

করতে পারছে, তখন আন্দোলন বিমুখ

একটি জোটের প্রধান দলটির

কাছে তাদের মূল্যায়ন কিংবা প্রাপ্য

সম্মানটুকু কি আদায় করতে পারছে?

(লেখাটি একান্তই লেখকের নিজস্ব

মতামত। নিউজইভেন্ট ২৪ ডটকম এর

সম্পাদকীয় নীতির আওয়তা মুক্ত।)

বিষয়: রাজনীতি

৯০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File