"বাঙালি হইবার নব সংজ্ঞা:কইয়া দিলাম এমন বাঙালি হইয়া মুই থাইকবার চাইনা"
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ১০ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:৪৬:১২ বিকাল
‘যারা মাথায় ঘোমটা দেয় তারা আর
যাই হোক বাঙালী হতে পারেনা’ ৯
আগস্ট শুক্রবার পবিত্র ঈদ-উল-
ফিতরের দিন ৭১ টিভির রাত ৮টার
টকশোতে রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিল্পী মিতা হক একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সাধারন
পরিচয় আমরা বাঙ্গালি।
....-.....
আমার ইচ্ছা ছিল মতভেদ নিয়ে আজ কিছু লিখব|কিন্তু ফেসবুক অন করতেই এই নিউজটায় চোখ আটকে গেল!পারলামনা এই বিষয়টিকে এড়িয়ে আমার সিদ্ধান্তকৃত বিষয়ে লিখতে|আমি পরিচিত কিংবা নামি দামি কোন ফেসবুক লেখক বা ব্লগার নই|একদম ইচ্ছা হয় তাই লিখি এবং অতিসম্প্রতিই এই জগতে প্রবেশ করেছি|পাঁচ ছমাস পূর্বে ফেসবুক বা ব্লগ সম্পর্কে তেমন কোন ধারণাই ছিলনা|ব্লগ নামটার সাথে পরিচয় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন এবং ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের কর্মকাণ্ড পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে|যখন এই যগতে প্রবেশ করলাম দেখলাম এখানে অনেকেই আছেন মানসম্মত লেখার মাধ্যমে ইসলাম বিদ্বেষীদের মুখে থুতু নিক্ষেপ করতে|তবে সে সংখ্য খুব বেশী নয়,আরো বেশী সংখ্যক থাকার প্রয়োজন ছিল|
প্রসঙ্গে আসা যাক|মিতা হকের নিকট আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে,উনি এই সংজ্ঞা পেলেন কোথায় যে বাঙালী মেয়েরা মাথায় কাপড় পরেনা,আর যে পরে সে বাঙালী নয়!
উনি কী বুঝাতে চান বাঙালী মানে মুসলমান ঘরের কোন বধূ বা কন্যা হতে পারেনা,যারা শুধু মাথায় কাপড় দেয়না বরকা পরিধান করার মাধ্যমে ইসলামের পর্দার বিধান মেনে চলে?
আমরা দেখি সাধারণত হিন্দু মেয়েরা বা বউয়েরা মাথায় কাপড় নাদিয়েই চলাফেরা করে এবং এক্ষেত্রে তাদের ধর্মীয় কোন বিধি নিষেধ আছে বলে আমার জানা নেই|মুসলিম নারীর জন্য অবশ্যই এক্ষেত্র বিধি নিষেধ রয়েছে|আর মুসলিম মেয়েরা যারা এমনটা করে তারা ইসলামের বিধানকে নামেনেই করে|মিতা হক এর দ্বারা কী বুঝাতে চান বাঙালী মানে মুসলমানিত্বের বাইরের কিছু?
তাই যদি হয় তাহলে এমন বাঙালী হওয়াকে আমি নিজের থেকে ঘৃণা করি|আমার মা বোনকে এমন বাঙালী হতে কখন বলবোনা বরং নিষেধ করব|
এসব মিতা হক আর তথাকথিত মহিলা নেত্রীরা কখন আমাদের মুসলিম মায়েদের প্রতিনিধিত্ব করেনা|এরা আমাদের সামাজিক ব্যাবস্থাকে ভেঙে ফ্রি সেক্সের দেশ বানাতে তৎপর|তাইতো আল্লামা শফী যখন তেতুলের সাথে নারীদের তুলনা করলেন তখন রোকেয়া পেত্নী আর মিতা হকেরা চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে ফেলল|গলা ফাটিয়ে বলতে লাগল নারী অধিকারের কথা অথচ দেড়শ নারীকে দর্ষণ করে তার দৃশ্য ধারণ করে বাজারে ছাড়া হলো তখন এসব নারী অধিকার কর্মীরা মুখে কুলুপ এটে বসে রইলো|আসল কথা হলো,এরা ইসলামের শত্রু,এদের টার্গেট ইসলাম এবং এরা ইসলাম বিদ্বেষীদের নিয়গকৃত এজেন্ট|
copy from omar al faruque
বিষয়: রাজনীতি
১৩৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন