বিদেশের মাটি এবং নিজের সংসার ... (সেই সংগ্রামী ভাইদের তরে,যারা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন বিদেশের মাটিতে|)
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ০৪ আগস্ট, ২০১৩, ০২:১০:০৬ দুপুর
বিদেশের মাটিতে যারা জীবন
চালানোর তাগিদে কঠোর পরিশ্রম
করে চলেছেন,এদেশের ভঙ্গুর
অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ
রেমিটেন্স প্রদানের
মাধ্যমে উন্যয়নে ভূমিকা পালন
করছেন,নিজের সুখকে বিসর্জন
দিয়ে পিতা মাতা,ভাই
বোন,স্ত্রী পুত্রের
মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন এজন্য
আপনাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট
করবোনা|এককথায়
আপনারা সংগ্রামী ,চীর শ্রদ্ধেয়|
#কিছুদিন পূর্বে তাদের
সম্পর্কে লিখেছিলাম যারা উন্নত
এবং চাকচিক্যময় জীবনের
প্রত্যাশায় উন্নত দেশগুলোর
নাগরিকত্ব নিয়েছেন|অনেকেই
আমার সাথে ভিন্নমত পোষণ
করেছিলেন,এজন্য ধন্যবান|
কিন্তু আজ লিখবো সেইসব ভাইদের
সম্পর্কে যারা জীবন
চালানো কিংবা একটু সমৃদ্ধির আশায়
বিদেশে কঠোর পরিশ্রম
করে চলেছেন|যদিও আমার মত
২৩বছরের যুবকের এমন
লেখা কিছুতেই মানায়না,তাই
ক্ষমা চাচ্ছি প্রথমেই|
#প্রথমেই আপনাদের কর্মের
স্বীকৃতি দিচ্ছি|সত্যিই
আপনারা সংগ্রামী|কিন্তু
একটি বিষয় আমার নিকট খুবই
দুঃখজনক বলে মনে হয়েছে|তাই এই
লেখা|
কিছুদিন পূর্বের ঘটনা|দুবাই
প্রবাসী স্বামী তার স্ত্রীর জন্য
এবার ঈদের উপহার পাঠিয়েছে ডাক
যোগে|স্ত্রী খুব আগ্রহ
নিয়ে প্যাকেটটি খুলে যা দেখতে পেল
তাতে সে বেহুশ
হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে|কী এমন
ছিল ওই প্যাকেটটিতে!
যাকিনা তাকে খুশি হওয়ার পরিবর্তে অজ্ঞান করে ফেললো!
এক পিস কাফনের কাপড় আর মৃত্যু ব্যাক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস|সাথে একটা পত্র,সমন পত্র!
#ঘটনাটা আমার এলাকার|কিছুদিন পূর্বে অনেকেই হয়ত পত্রিকায় সংবাদটা পড়েছিলেন|কিন্তু এমন কেন হলো,খুজতে যেয়েই বেরিয়ে আসে এক লজ্জাজনক অথচ সচারাচার ঘটে যাওয়া ঘটনা|
ওই মেয়াটার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তার স্বামী এবং পরিবারের পক্ষ থেকে যে সে তার পিতার বাড়িতে অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িত!যার ফলাফল এমনটা হলো|আচ্ছা,বিবাহের পরে স্ত্রীকে রেখে চলে যাওয়া কী উচিৎ হয়েছিল?রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তী গল্পে পড়েছিলাম একবার নরমাংসের সাধ পেলে সে পুরুষ বা মহিলা বার বার সে সাধ পেতে উন্মাদ হয়ে যায়|আমার এবিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা নেই|তবে হযরত ওমর রাঃ এর সময়কার ঘটনাটা আপনাদের নিশ্চয়ই জানা রয়েছে|অর্থাৎ একজন বিবাহিত মহিলা স্বামী ছাড়া সর্বোচ্চ তিন মাস থাকতে পারে|মানুষ বিয়ে করে একটা সুখের সংসার গড়ে তোলার জন্য|১.২.৩ বছর ধরে বিদেশে থাকার জন্য নয়|ওই যুবকটির উচিৎ ছিল বিয়ে না করে বিদেশে যাওয়া এবং চাহিদামত উপার্জন করে একেবারে দেশে এসে বিয়ে করা|আর যারা বিদেশকে একেবারে কর্মক্ষেত্র বানিয়েছেন,১.২বছর পরপর এসে ঘুরে যান,আমি তাদের বিষয়ে শুধু এটুকু বলবো,"ধন সম্পদ মানুষকে সুখি করতে পারেনা বরং দুঃখ বাড়িয়ে দেয়"|আমাদের সকলের উচিৎ এবিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে চলা|
(আমার এই লেখা কাউকে দুঃখ দেয়ার জন্য নয় বরং সচেতনতা তৈরীর সামান্য প্রয়াস মাত্র|তাই কিছু মনে নিবেন না)
বিষয়: বিবিধ
১৪০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন