তুমি পারবেনা জানি সইতে...! তুমি পারবেনা জানি ওদের সান্তনা দিতে...! কিন্তু পারবে ওই হন্তারক আরো হত্যা করতে!!!
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ৩০ জুলাই, ২০১৩, ০১:২২:১৮ দুপুর
(তুমি কী পারবে এই অবুঝদের সান্তনা দিতে...?পারবে কী অশ্রু ধরে রাখতে...?ওই ডাইনি হন্তারক কিন্তু ঠিকই পারবে এবং পারবে আরো হত্যা করতে...!)
শহিদ রুহুল আমিনের অবুঝ সন্তান বাবার কবরের নিকটে যেয়ে বলে,"আব্বু!এই ঈদে সকলে নতুন জামা কাপড় পরছে,ওই তাহেরের আব্বু ওকে কত সুন্দর জামা কিনে দিয়েছে,তুমি আমাকে দেবেনা,আব্বু?তুমিতো প্রতি ঈদে আমাকে ঈদের নামায পড়তে নিয়ে যেতে,এবার নিয়ে যাবেনা?
তুমি কথা বলছোনা কেন?ওরা তোমাকে এভাবে মাটির ভেতরে রেখে গেল আর সেখান থেকে তুমি একবারো কথা বলুনি,একবারো আমাকে আদর করুনি!কেন আব্বু,কেন?তোমার কী হয়েছে আব্বু,কী হয়েছে?তুমি কী আমার উপর রাগ করেছ এই ঈদে জামা চেয়েছিলাম বলে?দেখ আব্বু আমার জামা লাগবেনা,তোমার কাছে আমি আর কিচ্ছু চাইবোনা|তুমি ওই মাটির ভিতর থেকে উঠে এসো আব্বু,উঠে এসো!''
শহিদ রুহুল আমিন শুধু নয় তারমত শত শত শহিদের অবুঝ সন্তান আর তাদের ভাই বোন,পিতা মাতা,বন্ধু বান্ধবরা যদি কেঁদে কেঁদে চোখ শুকিয়ে ফেলে,আত্মচিৎকারে বুক ফেটে ফেলে ওই জান্নাতের পাখিরা তবুও আর কখন ফিরবেনা,রাখবেনা তাদের সন্তানদের কোন আবদার!
আচ্ছা,কী অপরাধ ছিল আমার ওই ভাইদের?কেন তাদের জীবন দিতে হলো?তোমরা পারবে বলতে,বলো,পারবে?
ওরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল!
তাগুতের চাপিয়ে দেওয়া রায়কে ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করেছিল!
জালিম শাসকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল এই কী অপরাধ?
ওরা কোরানের শাসন চেয়েছিল!
ওরা মুক্তি চেয়েছিল তাগুতের শৃঙ্খল থেকে!
ওরা বাঁচতে চেয়েছিল বাম রামদের শোষণ থেকে এই কী অপরাধ?বল,এটাই অপরাধ?
ওই শহিদানদের অবুঝ সন্তানের চোখের পানি হন্তারক জালিম ডাইনির শাসনকে বন্যা হয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে!
ওদের বুক ফাঁটা আর্তনাদ মেঘের পরিচালক মিকাঈলের গর্জন হয়ে কাপিয়ে দেবে রক্তচোষার শাসন!
ওই অবুঝদের হৃদয়ের ক্ষোভ জাহান্নামের আগুণের ফুল্কি হয়ে জ্বালিয়ে দেবে ওই তাগুতের দেবীর সকল দম্ভ!
একটু অপেক্ষা!সন্তান হারা মায়ের প্রার্থণা ওই মালিকের আরশে পৌছে গেছে!প্রতিক্ষা বেশী নয়,আসবে সে আসবেই নির্ঘাৎ!এইতো আসতে শুরু হয়েছে!
গজব!!!
আল্লহ প্রদত্ত শাস্তি আসতে শুরু করেছে!
বিষয়: বিবিধ
১০৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন