মিশরে অস্তিত্তের লড়াই দু'পক্ষের;আমাদের লড়াই ইসলামপন্থীদের আন্দোলনের পন্থা নিয়ে!! আফসোস হে মুসলিম!
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র কবুতর ২৯ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৫২:৩০ রাত
"মিশরীয়রা লড়াই করছে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক মূলনীতি নিয়ে আর আমরা লড়াই করছি তাদের মধ্যে ইসলামপন্থীদের কোন পন্থা সঠিক আর কোনটা বেঠিক পরস্পরের মাঝে সেই বিতর্ক করে"
মিশর নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে|
বলা হচ্ছে মিশরে ইসলামপন্থীদের
গৃহিত পন্থা ব্যার্থ হয়েছে|কেউ কেউ
বলছেন তাদের সশস্ত্র
সংগ্রামে নামা উচিৎ|গণতন্ত্র
বিরোধীরা বলছেন,দেখেছেন
ইখওয়ান ব্যার্থ হয়েছে!কিতালই
একমাত্র পথ ইত্যাদি ইত্যাদি|
আমি সকলের
মতকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু আপনাদের
মতের সাথে আমি দীমত পোষণ করি|
আমি মনেকরি মিশরের ইখওয়ান
কিংবা ইসলামপন্থীরা সঠিক পথ
ধরেই এগিয়ে চলেছে|এর
পিছনে অনেক যুক্তি রয়েছে|
আমি কয়েকটি মাত্র তুলে ধরছি|
যদি বাম পন্থীদের স্বার্থে আঘাৎ
না লাগতো,তাগুতের কর্ণধার
এমরিকা ইসরাইলের বর্বর শাসন
এবং শোষণ নীতিতে ব্যাঘাৎ
না ঘটতো,রাজতন্ত্রীদের শাসন
ব্যাবস্থা যদি না টলে উঠতো,বিশ্বব্
ী মুসলমানরা যদি পুনরায় মুক্তির
স্বপ্ন
না দেখতো তাহলে পারতো ইখওয়ান
ক্ষমতায় থেকে যেতে এবং সেই সূত্র
ধরেই হিসেব করে ফলাফল
আসতো ইখওয়ান সঠিক পথে নেই|
যেহেতে সেটি হইনি,তাদেরকে তাগুত
বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সেহেতু
নির্দিধায় আমি বলবো ব্রাদারহুড
সঠিক পথেই রয়েছে|
মিশরের সেনাবাহিনী দেশটির
জন্মলগ্ন থেকে শাসন
করছে প্রথমে সেভিয়েত
এবং পরে এমরিকার মদদে|এই
সেনাবাহিনী গঠিত সেদেশের বাম
রাম তথা ইসলাম বিদ্দেষীদের
দিয়ে|এদের হাতেই বর্বরতম
নির্যাতনের শিকার হয়েছে ইসলাম
পন্থীরা|এই সেনা শাসকরাই
ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে|
আপনারা কিভাবে ভাবতে পারেন
যে এই কুখ্যাত
বাহিনীটি অতি সহজেই
ব্রাদারহুড প্রনীত ইসলামিক শাসন
ব্যাবস্থা মেনে নেবে?
দেশটির বামপন্থিরাও কিন্তু
শক্তিশালী|দীর্ঘদিন সেকুলার
নীতিতে দেশ শাসনের
ফলে তারা অবাধে মদ
খেতে পারতো,যৌনাচার
করতে পারতো,পাশ্চাত্য সংস্কৃতির
লালন করতে পারতো!ব্রাদারহুড এসেই
তাদের তথাকথিত স্বাধীনতা খর্ব
করবে এটাতো তারা মানতে চাইবেনা!
হোসনি মোবারকের
অপসারণে তাদেরও ভূমিকা ছিল|যখন
তারা দেখলো হোসনী মোবারক
তাদের গর্হিত
কাজে যে স্বাধীনতা দিয়েছিল তার
পতন ঘটিয়ে সেটাও হারাতে বসেছি|
তাইতো বামপন্থীরা এমরিকা ইসরাঈ
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায়
আন্দোলনে নামলো মুরশি সরকারের
বিরুদ্ধে|
বর্তমানে দেশটিতে চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে|স্পষ্টতই দুইটা পক্ষ এখানে বিদ্যমান|একদিকে স্যেকুলার সেনাবাহিনী এবং তাদের সমর্থক বামপন্থীরা অন্যদিকে ইসলামপন্থী জোট|বলা যেতে পারে অস্তিত্তের লড়াই!
আন্দোলনরত ভাই বোনেরা একথা স্পষ্ট করেছে যে তারা হয় বিজয় নিরে ফিরবে নতুবা মৃত্যুকে সাদরে গ্রহর করবে|
তবে যারাই পরাজীত হবে অস্তিত্ত সঙ্কটে তাদের পড়তে হবে এটা নিশ্চিৎ|
ইতিহাস বলছে রক্ত বৃথা যায়না|মিশরবাসী অনেক রক্ত দিয়েছে এবং দিচ্ছে এই সেনাশাসনের জগদ্দল পাথর থেকে পরিত্রাণের জন্য|
একান্ত দোয়া রইলো মিশরের মুক্তিকামীদের মুক্তির জন্য|
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৩০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন