গুলশান হামলাকে পূঁজি করে কি এখন জঙ্গি আইএসের নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটা হচ্ছে?
লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১০:৫৩:৪০ রাত
কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর কিছু ছবি পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সব সময়ই একটু খুতখুতে প্রকৃতির। সবকিছুতেই যেন রহস্যের গন্ধ পাই। তাই ছবিগুলো দেখে স্বভাবতঃই আমার মনে কিছু প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
প্রশ্নগুলো প্রতিটি ছবির ক্যাপশনে তুলে ধরলাম।
এখানে শুধু একটি প্রশ্ন, গুলশান হামলাকে পূঁজি করে কি এখন জঙ্গি আইএসের নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটা হচ্ছে? নাকি দেশের উপর জঙ্গি রং লাগাতে এটা ভিনদেশী কোন ষড়যন্ত্র?
অভিযানের মুখে পড়ে নাকি টাকা পুড়ানোর চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। অস্ত্র এবং পতাকা না পুড়িয়ে/ধ্বংস না করে টাকা পুড়ানোর কোন যুক্তি আছে? উদ্ভট মনে হচ্ছে না?
বলা হয়েছে জঙ্গিরা এখানে পড়ালেখা করত। শিক্ষার্থীরা কি এভাবে মেঝেতে এলোমেলো বই রাখে? এগুলো তাড়াহুড়া করে এখানে রাখা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না?
জানালায় আইএসের ফ্লাগ লাগানো। এটা নাকি দৃশ্যপট হিসেবে ব্যবহার করত জঙ্গিরা। প্রশ্ন হল, জঙ্গিরা এরকম একটা আবাসিক ফ্লাটে এমন নগ্নভাবে নিজেদের সিক্রেটকে অপেন করে রাখবে? যেখানে জঙ্গিদের ব্যাপারে স্বয়ং তাদের পরিবারও জানতে পারে না। আপনার কমনসেন্স কি বলে?
তাছাড়া এখানেও তাড়াহুড়ো করে ফ্লাগটা লাগানো হয়েছে। দেখুন জানালার পর্দাটা ভাল করে খোলাই হয়নি। একদিকে ঝুলে আছে।
গুলশান হামলায় জঙ্গিদের পরনে আইএস মার্কা কালো পাঞ্জাবী ছিল না। কিন্তু এখানে জঙ্গিদের পরনে এই পাঞ্জাবী পরা। আবার বাংলা সিনেমার মত মৃতের হাতে ধরা চাকু! আরেকটা ব্যাপার দেখুন, স্বভাবতঃ মানুষ চাকু যেভাবে ধরে এখানে তার উল্টো। চাকুর ফলাটা যেদিকে আছে তা স্বাভাবিক নয়। এই লোকটাকে দাড় করালে চাকুর ফলাটা লোকটার পেছন দিকে যাবে। এটা কি স্বাভাবিক? এটা আই এস জঙ্গি প্রমাণ করার জন্য অতিশয় নির্বোধ প্রচেষ্ঠা নয় কি?
বিষয়: বিবিধ
১৭১২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন